পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"আগ্রহায়ণ করিতেছিলেন জানি না, বলিলেন, এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম खेषर्ष बब्रक्झि-ऊ' ७शन, ७iज-कूकूरब्रग्न °zक्र कडकाँ ‘ভোজ ঠিক হইবে তাহা তো জানা নাই। ভাবিলাম, এটুকু আর অজ্ঞাত থাকিলেও ক্ষতি হইবে না । বলিলাম, আপনাকে মিথ্যা কষ্ট দেওয়া—পগুর ডাক্তার বোধ হয় আর সদর ছাড়া পাওয়া যাইবে না—নয় ? সে তো जिन माझेल झूठ । ডাক্তার বাবু সায় দিলেন । ক্রিড-পত্নী আনমনে বলিল, ত্রি-শ-ম-ই-ল ! মামুষের ডাক্তার চলিয়া গেলেন । পশুর ডাক্তার আনিবার জন্য মোটর লইয়া লোক সদরে চলিয়া গেল, তবে ভোরের পূৰ্ব্বে ষে তাহার আসিবার কোনো সম্ভাবনা নাই । সে বিষয়ে নিশ্চিস্ত রহিলাম। তবে ততক্ষণ পৰ্য্যস্ত কিটি টেকে কি-না সন্দেহ । রাত্রি দশটা পৰ্য্যস্ত বসিয়া রহিলাম। এক একবার নিতান্ত বিরক্তি ধরিয়া যাইতেছিল। একটা কুকুর বই তো নয় ? রোজ তো এমন কত ফুকুর পথের ধারে পড়িয়া থাকিতে দেখি কে বা তাহাকে একটু জল দেয়, বরং রাস্ত জুড়িয়া থাকিলে একটা লাথি দিয়া চলিয়া যাই। হইলই বা ইহার পিতা স্বইটুজারল্যাণ্ড-বাসী, হইলই বা ইহার মাতা কোনো ইয়াঙ্কি ধনীর লালিত কম্ভ-- কি যায় আসে ? ক্রিডের দিকে চাহিলাম, তেমনি শোকাওঁ, বিহ্বল ; ক্রিড-পত্নীর দিকে চাহিলাম, তেমনি সজলনয়ন। ভদ্রতায় বাধিয়া গেল, তেমনি বসিয়া জলের পটি দিতে লাগিলাম । কিটির যেন তন্ত্রাচ্ছন্ন ভাবটা কাটিয়া একটু চেতনা জালিয়াছে ; তাহাতে যন্ত্রণা বোধ সম্ভবতঃ বেশি হইতেছে । একটু বেশি অস্থিরতী—একটু বেশি কাতরানি। দূর হইতে মনে হয় যেন কোনো রুগ্ন মানব বেদনায় অস্ফুট ক্ৰন্দন করিতেছে ; মানবের ও পশুর ক্রদনের ভাষা কি এক ? ক্রিস্ত বলিল, তোমার তো কাপড় ছাড়াও হয় নাই ; সারা দিন কাজের পর এক কাপ চা-ও তো পেটে পড়ে নাই। তুমি যাও। স্বলিলাম, তোমারও তো তথৈবচ। এলে, সকলে এক DD DB BBBBB B BBBB BBB BBB BB BBBS BBB BB বাইকে-ভূমিতে বাও। १*~€) ফাক খুজিতেছিলাম, ভদ্রত রক্ষা করিয়া নিৰ্ব্বিারে উঠা পড়িলাম। আমাৰু কামরা আসিয়া স্নান সারিয়া আহার করিলাম। আর যাইবার ইচ্ছা ছিল ন-দরজার ফাক দিয়া দেখিলাম, ক্রিড-দম্পতি তেমনি বসিয়া মরণোন্মুখ পশুর সেবা করিতেছে-ক্লাভি নাই, শ্রাপ্তি নাই ! - অৰ্দ্ধরাত্রে অস্ফুট বেদনাধবনিতে ঘুম ভাঙিয়া গেল। চকিতে সন্ধ্যার ব্যাপারটা মনে পড়িয়া গেল। আস্তে আস্তে উঠিয়া স্বারের কাছে আসিলাম । বারান্দায় বাতি জলিতেছে, অদূরে ক্যাম্প খাটের উপর গুইয়া ক্রিড নিক্রিত কি ৷ অৰ্দ্ধনিত্রিত। সম্মুখে কম্বলাসনে বসিয়া ক্রিডপী পীড়িত কিটির গায়ে হাত বুলাইতেছে, মাঝে মাঝে জলের পটি মাথায় দিতেছে । পশু নিস্তব্ধ, নিশ্চল— শেষ হইয়া গিয়াছে কি-না কে জানে ? • - অবাকৃ হইলাম। সারারাত্রি ধরিয়া এমন অক্লাপ্ত সেব, এই তীব্র মমত, এই উদার স্নেহ দেখিয়া ৰিস্থিত হইলাম। কথা বলিবার ইচ্ছা হইল না। আমার চোখে সমস্ত জগৎ লেপিয়া মুছিয়া একাকার হইয়া গেল। মনে হইল, আকাশ, বাতাস, বৃক্ষ, লত, মানৰ, পশু, নদ, নদী, বন, উপবন, পত্র, পুপ—সমস্ত বিশ্ব যেন অসাড় হইয়া এমন ভাবে নিশ্চল হইয়া পড়িয়া আছে, আর কে যেন এক মাতৃমূর্তি অদৃশ্যে এমনি করিয়া সকলের মাথায়, হাতে, সৰ্ব্বদেহে তাহার অভয় হস্ত বুলাইয়া দিতেছে । রাত্রির সেই সম্মোহন শক্তি বড় ভয়ানক ; সেবারত ক্রিড-পত্নী মহিমময়ী রূপে আমার চক্ষে অমর হইয়া রহিল। চার দিন পরের কথা। শহর হইতে ভাক্তার আলিয়াছিল, কিটি এখন অনেকটা ভালর দিকে। ডাক্তার বলিয়া গিয়াছেন, এখন আর কোন ভয়ের কারণ নাই, তবে সম্পূর্ণ স্বস্থ হইয়া উঠিতে এখনও উহার বেশ কিছুদিন লাগিৰে । সকাল আটটা। আমরা ডাক বাংলার সেই বারানাটিতে বসিয়া স-কলরবে চা পান করিতেছিলাম। একটু শীতের আমেজ লাগিয়া আসিয়াছে। দূরের পাহাড় আজ আর দেখা যায় সা ; বোধ হয় কুহেলি তাহাকে গ্রাল করিঞ্জ আছে। মাঠের পারের বনও অস্পষ্ট ।