পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిహిa, একটি সাধারণ কাৰ্যপদ্ধতি নিরূপণ সহজ হইবে না। কিন্তু একটি কাজ অপেক্ষাকৃত সহজে সম্মিলিত ভাবে হইতে পারে। তাহা হোৱাইট পেপারটার বিরুদ্ধে সম্মিলিত মত প্রকাশ । মুসলমানদের মধ্যে যাহারা স্বাঞ্জাতিক নহেন এবং জবনত শ্রেণীসমূহের হিন্দুদের মধ্যেও যাহারা স্বাঞ্জাতিক নহেন, অর্থাৎ র্যাহারা সমগ্রভারতীয় মহাজাতির মঙ্গল ক্ষিসে হুইবে তাহা না ভাবিয়া কেবল নিজেদের সম্প্রদায় বা উপসম্প্রদায়ের স্বার্থসিদ্ধির কথাই কেবল ভাবেন, এই প্রকার ভারতীয়েরা ছাড়া আর কোন ভারতীয় হোৱাইট পেপারটা পছন্দ্র করেন না। এবং র্যাহারা পছন্দ করেন না, তাহাদের সংখ্যাই খুব বেশী। সকল দলের এই সব লোক একটি কনফারেন্স করিয়া হোমাইট পেপারটার বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত প্রস্তাব ধাৰ্য্য করুন না ? হোয়াইট পেপারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত - মত প্রকাশের আবশ্যকতা সকল স্বাজাতিক সমবেতভাবে হোয়াইট পেপারটার বিরুদ্ধে প্রস্তাব ধাৰ্য্য করিলেই ষে ব্রিটিশ মন্ত্রীমণ্ডল উহা পরিত্যাগ বা পরিবর্তন করিবে, এরূপ আশা করিবার প্রয়োজন নাই। অনেক কাজ আছে, যাহা ফলাফলনির্বিশেষে কৰ্ত্তব্যবোধেই করা উচিত। হোয়াইট পেপার সম্বন্ধে যাহা করা উচিত মনে क्झेख्रकृ, ऊांश भै छांउँौञ्च कांछ । তাহার একটা কারণও আছে । ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ত্রিটিশ মীমণ্ডলের মুখপাত্ররূপে স্তর সামুয়েল হোর এই রূপ ভাণ করিতেছেন, যে, হোয়াইট পেপারটা মোটের উপর রাজনৈতিকমতিবিশিষ্ট (পোলিটিক্যালি-মাইগুেড3) অধিকাংশ ভারতীয়ের অনুমোদিত, তদনুরূপ আইন না হইলে তাহারা বড় অসন্তুষ্ট হইবে। আমরা এটা তাহার ভাণ বলিয়াই মনে করি ; তবে ভ্রমবশতঃ বা ভ্রান্ত সংবাদপ্রাপ্তি বশতঃ তাহার ধারণা সত্য সত্যই ঐরূপ হইতেও পারে। তাহার উপর অধুনা ভারতে অল্পকাল প্রবাসী মিঃ হেলস নামক একজন রক্ষণশীল পালেমেণ্ট-সভ্য খবরের কাগজে লিখিয়াছেন, যে, বিলাতের লোকেরা মনে করে; যে, কয়েকটা লেফগার্ড বা ‘রক্ষাকবচ ছাড়া হোয়াইট পেপারের জার পর অংশ ভারতবর্ষের শতকরা নিরানব্বই জন লোক পছন্দ করে ও চায় । মিঃ হেলস যদি ঠিক তথ্য জানিয় প্তপ্রবাসী for S98O থাকেন, তাহা হইলে বিলাতের লোকরা কি গুরুতর জমে পড়িয়া আছে । আর বিলাতের লোকদের ফী ধারণা, সভ্য জগতের ধারণাও তাই হুইবে ; কারণ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে পৃথিবীর সংবাদ সরবরাহ হয় ইংরেজদের মারফতে। এই জঙ্ক এই ভ্রমট দূর করিবার চেষ্টা করা আমাদের সকলের একান্ত কৰ্ত্তব্য। হইতে পারে, যে, সম্মিলিত চেষ্টাও নিফল হইবে, কিংবা সামান্ত পরিমাণেই ফলবতী হুইবে । কিন্তু তাহা হইলেও কৰ্ত্তব্যবোধে চেষ্টা করা চাই । সত্য কি, তাহা জগতের লোককে জানান উচিত । পরলোকগত এনী বেসান্ট থিয়সফিকাল সোসাইটার শাখা পৃথিবীর সকল মহাদেশে ও দেশে আছে। শ্ৰীমতী এনী বেসান্ট এই পৃথিবীব্যাপী সভার নির্বাচিত নেত্রী দীর্ঘকাল ছিলেন । সম্প্রতি ৮৬ বৎসর বয়সে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি এত কাজ করিম গিয়াছেন, যে, শুধু তাহার তালিকা দিতে গেলেও প্রবাসীর কয়েক পৃষ্ঠা পূর্ণ হইবে। তাহার কৰ্ম্মজীবনের প্রথম অংশে ভারতবর্ষের সহিত ঙাহার কোন যোগ ছিল না। পরে যখন থিয়সফিষ্ট হইয়া তিনি ভারতবর্ষে আসিলেন এবং ভারতবর্ষকেই নিজের স্বদেশ বলিয়া গ্রহণ করিলেন, তখন এই দেশের কল্যাণের জন্য তিনি তাহার জ্ঞানবুদ্ধি অনুসারে সমগ্র শক্তি নিয়োগ করিলেন। কর্মজীবনের প্রথম অংশে তিনি যোদ্ধ ছিলেন, পরেও যোস্ত্রী ছিলেন। সকল মানুষের স্বাধীনতা ও কল্যাণ, জগতে শান্তির প্রতিষ্ঠা এবং সকল জাতি ও ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে সম্ভাব ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপন তাহার কাম্য ছিল। - ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তিনি ধাহা করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে কেবল দুটি বড় কাজের উল্লেখ করিব । তিমি ভারতবর্ষে স্বরাজস্থাপনের জন্ত বিলাতে ও ভারতে সাভিশয় একাগ্রতা, উৎসাহ, সাহস, জ্ঞানবত্ত, পরিশ্রম ও স্বশৃঙ্খলার সহিত চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার নিমিত্ত হোমরুল লীগ স্থাপন, একাধিক সংবাদপত্র পরিচালন, পুস্তক ও পুস্তিক প্রচার, সভা করিয়া নানাস্থানে বকৃত, ভারতবর্ষে স্বরাজস্থাপনার্থ পালেমেন্টে একটি আইনের খসড়া পেশ করান ইত্যাদি কাজ করিয়াছিলেন ।