পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯১ গবয়েণ্ট এক সময়ে উত্তাক্ত হইয়৷ उशबू चाशैनड इज़न করিয়াছিলেন । - 妙 র্তাহার দ্বিতীয় বড় কাজ এই, যে, তাহার রচিত গ্রন্থাদি ও তাহার প্রদত্ত বক্তৃতাদি দ্বারা পাশ্চাত্য উভয় মহাদেশে ভারতবর্ষের ধৰ্ম্ম দর্শন সাহিত্য ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাবান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইয়াছে। তিনি আপনাকে ভারতীয় করিবার জন্ত কিরূপ চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং কিরূপ ভারতীয় হইয়াছিলেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে তাহার বাহ আচরণের বর্ণনা হইতে তাহা বুঝা যায়। ছুটি দৃষ্টান্ত দিতেছি । শ্রযুক্ত নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সম্প্রতি একটি ইংরেজী প্রবন্ধে লিখিয়াছেন, যে, তিনি যখন লাহোরে টিবিউন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, সেই সময়ে শ্ৰীমতী এনী বেসান্ট, লাহোর যান। যে বাড়িতে র্তাহাকে সম্মানিত অতিথি-রূপে রাখা হয়, তাঙ্গতে পাশ্চাত্য ধরণের আসবাবের অভাব ছিল না, সেইরূপ আসবাবে সজ্জিত কক্ষ বেসান্ট মহোদয়াকে দেওয়া হইয়াছিল। কিন্তু তিনি চেয়ারে উপবেশন না করিয়া মেজেম বিছান কাপেটে দেশী রীতিতেই বসিতেন। সাংবাদিক ঐযুক্ত সেন্ট নিহাল সিং একটি ইংরেজী প্রবন্ধে লিথিয়াছেন, যে, তিনি একবার মাম্রাজে শ্ৰীমতী এনী বেসান্টের সহিত দেখা করিতে যান। তাহার বৃহৎ কামরাটিতে ঢুকিয় দেখিলেন তাহার এক কোণে একটি নীচু বড় তক্তপোষের উপর পুরু তোষক বিছান, তাহার উপর তুষারগুল্ল চাদর পাতা রহিয়াছে। ক্রমতী এনী বেসান্ট তাহার উপর হিন্দু রীতিতে বসিয়া কাগজের প্যাড হাটুর উপর রাখিয়া পেন্সিল দিয়া কি লিখিতেছেন। তিনি আবার ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করিবেন, তাহার এই ইচ্ছা প্রকাশ হইতেই বুঝা যায় তাহার ভারত-প্রীতি কিরূপ গভীর ছিল । তিনি তাহার উইলে তাকার ভূতাদিগকে তাহাদের মৃত্যুকাল পর্যন্ত পুরা বেতন দিবার ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। ইহা হইতে সাধারণ লোকদের প্রতি র্তাহার সহানুভূতি, এবং তাহার স্থায়পরায়ণতা ও দালুতা বুঝা যায়। ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা এখন ৩৫ কোটিরও উপর । সমগ্রভারতীয় সেন্সস রিপোর্টে লেখা হইয়াছে, যে, ভারতের লোকসংখ্যা বৃদ্ধি কৃত্রিম উপায়ে বদ্ধ না করিলে ভারতবর্ষের দারিন্দ্র্য ও মৃত্যুর হার আরও বাড়িবে। ফ্রান্স, ইংলও প্রভৃতি দেশে এইরূপ উপায় অবলম্বিত হইয়া আসিতেছে । তাহাতে শিশুজন্মের হার বড় বেশী কমিয়া যাওয়ায় ইটালী প্রভৃতি দেশে প্রতিক্রিয়াও আরম্ভ হইয়াছে। লোকসংখ্যা সীমাবদ্ধ করিবার কৃত্রিম উপায় অবলম্বন সম্বন্ধে আলোচনা ভারতবর্ষে জাগে হইতেই হইতেছিল। সেন্সসে পূৰ্ব্বোক্ত কথা বাহির হওয়ার পর আলোচনাট বাড়িয়াছে। এই আলোচনা এখানে না করিয়া এই বিষয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট শ্ৰীমতী এনী বেসান্টের জীবনের একটি ঘটনা ও তাহার একটি কথার উল্লেখ করিব । র্তাহার কৰ্ম্মজীবনের প্রথম অংশে তিনি কোন কোন বিষয়ে মি: ব্র্যাডলর সহকর্মিণী ছিলেন। ইংলগুের গরিব লোকদের মঙ্গল হইবে মনে করিয়া তিনি ও ব্র্যাডল লোকসংখ্যা বৃদ্ধি নিবারণার্থ রুত্রিম উপায় অবলম্বনের সমর্থক ও তাহার বর্ণনাযুক্ত একটি পুরাতন পুস্তিক পুনমূদ্রিত করেন। তাহাতে বিলাতে তুমুল আন্দোলন হয় এবং শ্ৰীমতী এনী বেসান্টকে বহু দুঃখ ভোগ করিতে হয়। র্তাহার পরবর্তী জীবনে র্তাহার সহিত ঐযুক্ত সেন্ট নিহাল সিং ও তাহার পত্নীর একবারকার সাক্ষাৎকারের সময় ঐযুক্ত সেন্ট নিহাল সিংহের পত্নী তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন, লোকসংখ্যাবৃদ্ধি নিবারণের জন্য কৃত্রিম উপায় অবলম্বন সম্বন্ধে আপনি এখনও কি পূৰ্ব্বেকার মত পোষণ করেন ? শ্ৰীমতী এনী বেসান্ট খুব জোরের সহিত বলিলেন, “নিশ্চয়ই নহে। অসবর্ণ বিবাহ সম্বন্ধে গান্ধীজীর মত কিছু দিন হইল, মহাত্মা গান্ধীর এক ভ্রাতুম্পৌত্রের সহিত আগ্র-অযোধ্য প্রদেশের একটি কস্তার বিবাহ হইয়াছে। ইহা অসবর্ণ বিবাহ নহে, কিন্তু দুই বিভিন্ন প্রদেশের পাত্রপাত্রীর বিবাহ। এই উপলক্ষ্যে মহাত্মাজী বলিয়াছেন, নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অসবর্ণ বিবাহের তিনি সমর্থন করেন। সত্তরণসামর্থ্য সম্প্রতি রেজুনে ঐযুক্ত প্রফুল্লকুমার ঘোষ ৭৯ ঘণ্টা ২৪ মিনিট অবিরাম সস্তরণ করিয়াছেন। পৃথিবীতে এ-পর্যন্ত বে এত দীর্ঘকাল অবিচ্ছেদে সাতার দিতে পারে নাই। . _