পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"গ্রহায় बाहेब ७ শৃঙ্খলা’ বাংলা অভিধান বৃতের সহিত অপেক্ষাকৃত ক্ষুত্রের সাদৃশ্য দেখাইয়া । বলিতে পারা যায়, ইংরেজী ভাষায় যেমন ডাঃ মারের অক্সফর্ড অভিধান বৃহত্তম, বাংলা ভাষায় বিশ্বভারতী কর্তৃক খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশমান ঐযুক্ত পণ্ডিত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় কৃত বাংলা অভিধান সেইরূপ এপর্য্যস্ত প্রকাশিত অভিধানগুলির মধ্যে বৃহত্তম হইবে। আবার, ইংরেজী ছোট অভিধানগুলির মধ্যে পকেট অক্সফৰ্ড অভিধান যেমন নিত্যব্যবহার্য্য কাজের জিনিষ হইয়াছে, শ্ৰীযুক্ত রাজশেখর বন্ধকৃত “চলস্তিকা" অভিধান সেইরূপ নিত্যব্যবহার্য্য কাজের জিনিষ হইয়াছে। বস্তুত, ইহা ইহা কোন কোন বিষয়ে ইংরেজী পকেট অক্সফৰ্ড অভিধানের চেয়ে বেশী মূল্যবান হইয়াছে। ইহার প্রথম সংস্করণ যখন বাহির । হয়, তখন হইতেই ইহা আমাদের টেবিলে থাকে। দ্বিতীয় সংস্করণে ইহার শব্দসংখ্যা বাড়িয়াছে, অথচ ইহার নিত্য ও অনায়াস ব্যবহার্য্যত রক্ষিত হইয়াছে। সংস্কৃত যে-সব শব্দ সাধারণতঃ বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়, তৎসমুদ্ৰয়ের অর্থ ইহাতে যেমন পাওয়া যায়, সাহিত্যে ব্যবহৃত দেশজ চলতি শব্দসকলের অর্থও তেমনি পাওয়া যায় । বিদেশী পারিভাষিক বহু শব্দের বাংলা প্রতিশব্দও ইহাতে আছে। সংবাদপত্রের লেখক পরিচালক সম্পাদক প্রভৃতি অর্থে ‘সাংবাদিক' কথাটি আমরা প্রথমে রচনা করি ও চালাই। চলস্তিকা’য় ইহা নিবিষ্ট হইয়াছে দেখিয়া প্রীত হইলাম। প্রচেষ্টা’ শব্দটি সম্ভবতঃ সংস্কৃতে আগে হইতেই ছিল। ইংরেজী ‘মুভমেন্ট' শব্দের প্রতিশব্দ রূপে উহা আমরা প্রথমে ব্যবহার করিতে আরম্ভ করি। রাজশেখরবাবু এই অর্থ—“কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্ত বহুলোকের চেষ্ট, movement ( ‘শিশুমঙ্গল-)* —দিয়াছেন। অভিধানখানির শেষে রাজশেখরবাবু যে পরিশিষ্টগুলি দিয়াছেন, তাহাতে র্তাহার প্রতিভ, বিদ্যাবত্তা ও বিচারশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। প্রকৃত বাংলা ব্যাকরণের ষে ভিত্তি রামমোহন রায়ের মত পূৰ্ব্বঙ্গ স্থাপন করিতে প্রয়াস পাইয়াছিলেন, ব্যাকরণঘটিত পরিশিষ্টগুলিতে তাহা পুনঃস্থাপিত হইয়াছে। এই পরিশিষ্টগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবশুপাঠ্য বলিয়া নির্ধারিত হইবার যোগ্য । তাহা নির্ধারিত হউক বা না-হউক, বাংলাশিক্ষার্থী সকলে যেন ইহা অধ্যয়ন করেন । । ·w কামিনী রায় बी भनाि ङतिब्र नेशनौवा बैक्जै कानौि ब्राम মহোদয় ৬৯ বৎসর বয়সে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর দেহত্যাগ করিয়াছেন। অল্প কয়েক দিনের জরে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। ২৩শে সেপ্টেম্বরেও তিনি, রামমোহন রায় শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহিলাদের যে সভার অধিবেশন হইয়াছিল, তাহাতে সভানেত্রীর কাজ করিয়াছিলেন। তিনি প্রধানত: কবি বলিয়াই প্রসিদ্ধি লাভ করেন ; কিন্তু দেশহিতকর নান৷ কাজের সঙ্গে-বিশেষতঃ নারীদের ও নারী শ্রমিকদের হিতকর নানা প্রচেষ্টার সঙ্গে—তাহার যোগ ছিল। তিনি প্রমুখতার ও প্রসিদ্ধির প্রয়ালী ছিলেন না বলিয়, বরং তাঁহাতে সঙ্কোচ বোধ করিতেন বলিয়, হয়ত তাহার দ্বারা জনসেবা যতটা হইতে পারিত, ততটা হয় নাই । তাহার গভীর স্বদেশপ্রতি এবং দলিত জনগণের প্রতি সহানুভূতি অনেক কবিতায় প্রকাশ পাইয়াছে। নিজের শক্তি সম্বন্ধে ষে সন্দিহানত বশত: ‘আলো ও ছায়া রচিত হইবার অনেক পরে বাহির হয়— তাহাও লেখিকার নাম না দিয়—সেই সন্দিহানতা বরাবর ছিল। এবারকার প্রবাসীর প্রথম পৃষ্ঠার দ্বিতীয় কবিতাটিতে এই বিনয়নম্রতার মাধুৰ্য লক্ষিত হইবে। এই সন্দিহানতা না থাকিলে হয়ত তিনি বাংলা সাহিত্যকে আরও অনেক কবিতা দিয়া যাইতে পারিতেন। তিনি মহিলা কবি বলিয়৷ সচরাচর উল্লিখিত হইয়৷ থাকিলেও পুরুষ ও মহিলা সকল বাঙালী কবির মধ্যে র্তাহার স্থান উচ্চে। বাহ সৌষ্ঠব, লালিত্য ও ঝঙ্কার অপেক্ষ তিনি তাহার কবিতায় আস্তরিকতা, সরলতা, গুচিত, সংযম এবং চিন্তা ও ভাবের প্রগাঢ়তার দিকে বেশী মনোযোগী ছিলেন বলিমা মনে হয়। র্তাহার কবিতা পড়িয়া কাহারও মনে হইবে না, যে, নারী পুরুষের ক্রীড়নক । মেদিনীপুরে “আইন ও শৃঙ্খলা” মেদিনীপুরে, নামে না হইলেও, কাজে সামরিক আইন প্রবর্তিত হইয়াছে। তাহার দ্বারা ঐ স্থান হইতে সম্রাসবাদের উচ্ছেদ সাধিত হইবে কি না, এখন তাহ অনিশ্চিত হইলেs, । उाशत्र फेरणहन गषिऊ श्वाब्र नछादना चारह । किरू द्धारई