পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$38 to or S<OBO নূতন যে-সব ব্যবস্থা প্রবর্তিত হইয়াছে, তাহার কার্য্যকারিতার পরীক্ষা সমাপ্ত হইবার, অন্ততঃ কতক দূর অগ্রসর হটবার আগেই খড়গপুরের ইংরেজরা আরও কড়া ব্যবস্থা চাহিয়াছে। তাহাজের মতে এইরূপ বিধান জারি করা উচিত, যে, কাহারও কাছে লাইসেন্স ন-করা অন্ত্রশস্ত্র বারুদাদি পাওয়া গেলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাহার ফাসী হওয়া চাই । এরূপ ব্যবস্থার অন্যায্যতা ও অযৌক্তিকতা প্রমাণ করিতে যাওয়া অনাবশ্বক হইলেও কিছু বলিতে হইতেছে। ইউরোপীয়দিগকে খুন করিবার জন্যই যে কেহ কেহ বিনা লাইসেন্সে অস্ত্রশস্ত্র রাখে তাহা সত্য নহে, চুরিডাকাতীর জন্যও রাখে। চুরিডাকাতী যদি কেহ করে, কেবল তাহাতেই র্যাসী হয় না। দ্বিতীয়তঃ, যাহার বাড়িতে ঐক্লপ অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাইবে, সে যে নিজে তাহ সংগ্ৰহ করিয়াছে ও রাখিয়াছে, তাহা দস্তুরমত বিচারের পর প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক। শক্রতা সাধন জন্ত বা পুলিসের দ্বারা পুরস্কৃত হইবার জন্ত বা হওয়াতেও যে অন্ত লোকে কাহারও কাহারও বাড়িতে ঐক্ষপ অন্ত্রশস্ত্র রাখিতে পারে, ইহা কল্পনা নহে। এরূপ ঘটনা ঘটিয়াছে, এবং পরেও ঘটিতে পারে। ও'ডনোভ্যান নামক এক ব্যক্তি আগে ভারতবর্ষে সরকারী কাজ করিত। এখন ভারতবর্ষের টাকায় বিলাতে পেন্সান ভোগ করিতেছে । সে ষ্টেটসম্যান কাগজে লিখিয়াছে, যে, অতঃপর কোন ইংরেজ মেদিনীপুরে নিহত হইলেই মেদিনীপুর জেলের যে-কোন দু-জন ভদ্রলোক’ কয়েদীকে জেলের বাহিরে আনিয়া দেওয়ালে পিঠ ঠেসান দিয়া দাড় করাইয় গুলি করিয়া মারিয়া ফেলিলে সন্ত্রাসবাদ বিনষ্ট হইবে। এই লোকটা ধরিয়া লইতেছে, যে, ভারতপ্রবাসী ইংরেজ কেবল ভারতীয়ের দ্বারাই নিহত হয়, ইংরেজের দ্বারা নিহত হয় না। ইহা সত্য নহে । দ্বিতীয়তঃ, সে ধরিয়া লইতেছে, যে, কোন ইংরেজ খুন হইলেই তাহ রাজনৈতিক খুন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বা চুরিডাকাতীর জড় খুন নহে । ইহাও সত্য নহে । তৃতীয়তঃ, ঐ লেখক ধরিয়া লইতেছে, ৰে, মেদিনীপুর জেলের প্রত্যেক “ভালোক” কল্পেী স্বাগবাদীদের দলভুক্ত বা তাহাজের সহিত উহাদের गशङ्कडूडि चांtइ । देशe गङ नटश् । कङ्कर्षडः, भै वाङि पब्रिह गशेख्रह, cष, हेएब्रज भून इ३ण बिक्रीट्जब्र नब्रकांब्र নাই, যাহাকে-তাহাকে ধরিয়া গুলি করিলেই প্রতীক্ষার হইৰে । বস্তুতঃ কিন্তু তাহার প্রস্তাব অনুসারে "ক্ষত্ৰলোক" কয়েদী ধরিয়া গুলি করিলে যে প্রকৃত খুনী তাহার শান্তি না হইয়া যাহারা খুন করে নাই, তাহদের শাস্তি হইৰে; স্বতরাং খুনীরা ভীত না হইয়া উৎসাহিত হইতে পারে। ঐ লেখক লিখিয়াছে, কোন কোন দেশে নাকি তাহার প্রস্তাৰ অস্থযায়ী ব্যবস্থা আছে বা ছিল। তাহা সত্য কিনা, জানি না। কিন্তু ইংরেজরা মনে করেন, তাহারা মোটের উপর অন্ত সব জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ । সুতরাং অস্তের কোন একটা অদ্ভূত অন্যায় ব্যবস্থা অনুসারে চলে বলিয়া ইংরেজদিগকেও তাহা চালাইতে হুইবে, শ্রেষ্ঠ ইংরেজরা এরূপ যুক্তিতে সায় দিবেন না। আমরা যে দুটা প্রস্তাবের আলোচনা করিলাম, তাহা আলোচনার যোগ্য নহে। তথাপি আলোচনা হইতে অন্ততঃ এইটুকু লাভ হইবে, যে, লোকে বুঝিবে, সন্ত্রাসবাদ কতকগুলা ইংরেজের কি প্রকার বুদ্ধিভ্রংশের কারণ হইয়াছে। মেদিনীপুরের কড়া ব্যবস্থার বিস্তারিত বিবরণ সংবাদপত্রের পাঠকেরা অবগত আছেন। তন্মধ্যে একটি রকম ব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু বলা আবশ্যক। সেখানে কাহারও কাহারও বাড়ি পুলিসের ব্যবহারার্থ লইবার জন্ত ২৪ বা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্তাহাদিগকে বাড়ি ছাড়িয়া দিতে বলা হইতেছে। ইহা অবশু নূতন ব্যবস্থা নহে। অন্যত্রও ইতিপূর্বে এরূপ কাজ হইয়াছে। কিন্তু যাহা পুরাতন তাঁহাই স্কাষ্য নহে। মেদিনীপুরে যাহা ঘটিয়াছে, তাহার সংবাদ পড়িয়া ইংরেজদের স্বগৃহ সম্বন্ধে ইংরেজী উক্তিটি মনে পড়িয়া গেল—“প্রত্যেক ইংরেজের গৃহ তাহার দুর্গ"। মেদিনীপুরের লোকদের গৃহ সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে, “প্রত্যেক মেদিনীপুরীর গৃহ সম্ভাবিত বা সম্ভাব্য পুলিস-আড্ডা।” মেদিনীপুরে যাহাজের বাড়ি লওয়া হইয়াছে, তাহাতে তাহাজের অন্ধবিধা ও ক্ষতি হইতেছে, সুতরাং তাছায়া দণ্ডিত হইতেছে । অথচ তাহার কোন দোষ করিয়াছে এরূপ প্রমাণ করিবার কিংবা অনুমান বরিবারও আবগুক নাই! আশা করা যাইতে পারে কি, যে, যাহাজের বাড়ি লওয়া হইয়াছে, তাহদের সেই বাড়ির উপর নিগ্রন্থ-পুলিস-ট্যাঙ্গট