পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

យោ মুকুৰ করা হইৰে ? তাহা হইলে তাহাও মঙ্গের ভাল বা শাপে বর মনে করা যাইতে পরিবে । * দেশ হইতে সম্রাসবাদের ও সন্ধাসক কাজের সম্পূর্ণ তিরোধান আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে চাই। কিন্তু তদৰ্থে সরকারী যে-সব উপায় অবলঙ্গিত হইতেছে, তাহার সবগুলি ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত বা সমীচীন মনে করি না। হিজলা জেলের খবর হিজলী জেলে রাজনৈতিক কয়েদীর কিরূপ ব্যবহার পায় সম্প্রতি সে-বিষয়ে খবরের কাগজে অনেক কথা লিখিত হইয়াছে । সেদিনকার আলবার্ট হলের সভাতেও অনেক কথা বলা হইয়াছে। এগুলি সমস্তই ভূক্তভোগী প্রত্যক্ষদশীর কথা । তাই বলিয়। আমরা গবষ্মেন্টকে এগুলি বিনা তদন্তে সত্য বলিয়৷ মানিয়া লইতে বলিতেছি না । কয়েদীদের থাকিবার সাধারণ ঘর, নির্জন কার্যকক্ষ, পরিধেয়, স্বানের ব্যবস্থা, খাদ্য, রোগে চিকিৎসা ও ঔষধ, হাসপাতালগৃহ, প্রভৃতি সকল বন্দোবস্তেরই দোষ দেখান হইয়াছে ও বলা হইয়াছে, যে, বন্দোবন্তগুলি জেল বধির বিপরীত জেল-বিধি অনেক ভাল। গবন্মেষ্ট বলিতে পারেন, যাহা লেখা ও বলা হইয়াছে, তাহা মিথ্যা । কিন্তু গবন্মেণ্ট যাহা বলিবেন, তাহা ত স্থানীয় কৰ্ম্মচারীদের প্রদত্ত বিবরণ অতুসারে বলিবেন । তাহাতে লোকের বিশ্বাস জন্মিবে না। কেননা, আগে এই হিজলীতেই রাজনৈতিক কদীদের উপর গুলি চালান উপলক্ষ্যে যে সরকারী তদন্ত হয়, তাহু দ্বার প্রমাণিত হইয়াছিল, যে, উচ্চপদস্থ ইংরেজ কৰ্ম্মচারীরা পয্যন্ত তৎসম্বন্ধে অপ্রকৃত কথা বলিয়াছিলেন । সেই জন্ত আমরা বলি, নিজের মুখ্যাতি ও সম্মান প্রতিষ্ঠিত করিবার নিমিত্তই প্রকাগু তদন্ত করান গবন্মেন্টের উচিত। এরূপ প্রাপ্ত জন্তে যদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এবং উক্ত সভায় ৰিবৃত সব বৃত্তান্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়, ভালই । তবে, এমনও হইতে পারে, যে, এই সব বৃত্তাস্ত সত্য, এবং কয়েদীদের জন্ত জেল-বিধিতে যেরূপ ব্যবস্থা আছে তার চেয়ে কষ্টকর ব্যবস্থা প্ৰবৰ্ত্তিত করা গবন্মেণ্ট আবস্তক ও ৰাজনীয় মনে করেন। ইহা আমরা সত্য বলিয়া ধরিয়া লইতেছি ন, কেবল জালোচনার জন্য জয়মান করিতেছি। কারণ, গবশ্লেষ্ট কোন কোন বিষয়ে কখন কখন অবস্থা বুঝিয়া ৰিবিধ প্রসঙ্গ-ছিল ricхсэн ч<н ఇSt কঠোরভর বা মৃত্নতর ব্যবস্থা করিয়া থাকেন। তাই বলিতেছি, ধে, গবশ্লেষ্ট ধর্ম মনে করিয়া থাকেন, যে দেশের বর্তমান অবস্থার জেল কোডের ব্যবস্থাস্থায়ী আরামে কয়েদীদিগৰুে না রাখিয়া অধিকতর কঠোর অবস্থায় রাখা দরকার, তাছা হইলে সরকার প্রকাগুভাবে কোডের পরিবর্তন করুন, সংশোধিত নূতন কোড প্রকাশিত হউক, এবং দেশে ও বিদেশে লোকে জাকুক ভুারতবর্ষের কারাগারে বন্দীদিগকে, কিরূপ অবস্থায় রাখা হয়। নতুবা যদি ইহা সত্য হয়, ষে, কোডে আছে অপেক্ষাকৃত মানবিক ও আরামদায়ক ব্যবস্থা কিন্তু হিজলীর জেল কৰ্ম্মচারীর রাজনৈতিক বন্দীদিগকে রাখে অন্যবিধ ব্যবস্থায়, তাহা হইলে গবন্মেণ্টকে এই বৈসাদৃপ্ত শু বৈপরীত্যের জন্য দায়ী হইতে হয়। তাহ বাঞ্ছনীয় নহে। হিজলী জেল সম্বন্ধে আর একটি অভিযোগ এই, ম্বে, তথায় রাজনৈতিক বন্দীদিগকে বলপূৰ্ব্বক হাত তুলাইয়া ও মাথায় ঠেকাইয়া “সরকার, সেলাম” বলান হয় এবং তাহাতে আপত্তি করিলে আপত্তিকারীকে ডাণ্ডবেড়ী সাজা দেওয়া হয়। এবিষয়েও যথাযোগ্য প্রকাগু অনুসন্ধান হওয়া কৰ্ত্তব্য। আমাদের ধারণ, মহাত্মা গান্ধী হইতে আরম্ভ করিয়া কোন রাজনৈতিক বন্দীই জেল কৰ্ম্মচারীদিগকে ভদ্রসমাজে প্রচলিত সম্মান দেখাইতে অনিচ্ছুক নহেন। মহাত্মী গান্ধী এরূপ সন্মান দেখাইয় থাকেন। তাহার একটা কারণ, তিনি বন্দী হইলেও মানুষের মত ব্যবহার, ভদ্রলোকের মত ব্যবহার, জেলে পান । সব রাজনৈতিক বন্দী মহাত্মা গান্ধী নহেন, কিন্তু মানুষ তাহারা সকলেই এবং ভদ্র শ্রেণীর মানুষও বটে। স্বতরাং তাহারাও ভদ্র মানবিক ব্যবহার পাইবার যোগ্য। ইংরেজীতে একটা কথা আছে, “The law is no respecter of persons,” “afoa ston মামুষে প্রভেদ করে না, সকলের উপর সমান ভাবে খাটে ।” আমরাও তাঁহাই চাই। মহাত্মা গান্ধী ও বড় বড় নেতারা জেলে ভাল ব্যবহার পান, এবং ইহা যদি সত্য হয় যে অন্তেরা পান না, তাহা হইলে অসঙ্গতি দোষ ঘটে । সরকার বলিতে বাংলা ভাষায় সাধারণতঃ গবন্মেণ্ট এবং কচিং প্রভু বা মালিক বুঝায়। জেলের উচ্চতম কর্মচারীও গবন্মের্ণ নহেন, বা করেীদের মালিক ও প্ৰভু নহেন। স্বতরাং উহাকে সরকার বলিলে গবয়েন্টের অপমান করা হয়। ইংলও কোন: