কাত্তিক থাকিতে পারে ? এ যেন অতীত ভারতের শ্মশানের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছি । শুধু আমার নহে, যাহারাই প্রথম বার কোণার্ক দেখিতে যান, তাহদেরই মনে এমনি একটি ভাবের উদয় হয় । কিন্তু প্রথম দর্শনের হতাশা যখন কাটিয়৷ যায় এবং মন্দিরের অপূৰ্ব্ব গঠন ও অসংখ্য মূৰ্ত্তিরাজি যখন ধীরে ধীরে আমাদের মনকে বর্তমান হইতে সরাইয় অতীত ভারতের জীবনধারার মধ্যে ভাসাইয়া দেয়, তখন চিত্ত নব পরিচয়ের আনন্দে ভরিয়া উঠে। বাস্তবিক কোণার্কের মন্দিরের মধ্যে ভারতবর্ষের স্বাধীন অবস্থার যে ছবি ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহার তুলনা ভারতে পাওয়া দুষ্কর। কোন শিল্পী যে ইহার ఫిన్స్ట్ర মন্দিরের দক্ষিণ দিকে অশ্বের মুষ্টি পরিকল্পনা করিয়াছিলেন তাহার সন্ধান পাওয়া যায় না বটে, তবে বার-বার বলিতে ইচ্ছা করে যে তিনি ধন্য, কেননা যে বস্তু তিনি স্বষ্টি করিয়া গিয়াছেন তাহা যে শুধু বিরাট তাহা নহে, রসের প্রাচুর্য্যে, প্রাণের আবেগে ও পরিপূর্ণতায় তাহার সমকক্ষ আর কোথাও দেখা যায় না । কোণার্কের মন্দির রচিত হইবার বহু পূৰ্ব্বকাল হইতে উড়িষ্যায় মন্দির গঠনের একটি বিশেষ রীতি প্রচলিত হইয়া আসিতেছিল। র্যাহারই কিছু অর্থ হইত, তিনি সমাজে প্রতিপত্তি লাভের জন্ত একটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া স্থায়ী কীৰ্ত্তি রাখিয়া যাইতেন। এই সকল মন্দিরের মধ্যে নানাবিধ মুক্তি খোদিত করিবার রীতি প্রচলিত ছিল।
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।