পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেলের স্বপারিন্টেগুেন্টকে কয়েদীরা "গুড মনিৰ্ধ, গবক্সেণ্ট, বা ‘গুডমনিং, মাই লর্ড এও মাষ্টার” বলে বলিয়া আমরা কখনও শুনি নাই। বাংলাদেশে কেহ কাহাকেও “সরকার, -সেলাম” বলিয়া অভিবাদন করে না । সেলাম শৰাট আরবী। বাংলা দেশের মুসলমানেরা যখন উহা অভিবাদনার্থ ব্যবহার করেন, তখন তাহারাও "সরকার, সেলাম” বলেন না। উহ বাংলা দেশের কোন সম্প্রদায়ের লোকেরই অভিবাদন নহে । “সেলাম আলেকুম" বা “আলেকুম সেলাম”এর মানে "আপনি -শাস্তিতে থাকুন।” যদি ইহা সত্য হয়, যে, হিজলী জেলের কয়েীদিগকে জোর করিয়া “সরকার, সেলাম” বলান হয়, তাহা হইলে কাৰ্য্যতঃ তাহার মানে দাড়ায়, “হে প্ৰভু, বা, হে গবন্মেষ্ট, আপনি শাস্তিতে থাকুন এবং জামরা অশান্তিতে থাকি।” রাষ্ট্রীয় সব ব্যাপারই গম্ভীর। তাহাতে হাস্তরসের আবির্তাব অবাঞ্ছনীয়-অনভিপ্রেড আবির্ভাবও অবাঞ্ছনীয় । গুরুতর পীড়াগ্রস্ত বন্দী পণ্ডিত জওআহরলাল নেহরু রাজনৈতিক বন্দী ঐক্ত মানবেন্দ্রনাথ রায় সম্বন্ধে খবরের কাগজে একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন। তাহ হইতে জানা যায়, মানবেন্দ্রনাথ রায় জেলে কঠিন পীড়াগ্রস্ত এবং তাছাকে পড়িবার বহি ও লিখিবার কাগজ আদি সরঞ্জাম সামান্তই দেওয়া হয়। আদালতের বিচারে মানবেন্দ্রনাথের প্রাণদণ্ড হয় নাই। সুতরাং তাহার বাচিয়া থাকিবার অধিকার আদালতে স্বীকৃত হইয়াছে। জেল কোডেও চিকিৎসার ও ঔষধপত্র দিবার ব্যবস্থা আছে ; দেহের খোরাক খাদ্য এবং মনের খোরাক পুস্তকাদি দিবার বিধানও আছে। অতএব, এই সমস্তই প্তাহার প্রাপা ৷ অন্ত জনেক রাজনৈতিক বন্দীরও গুরুতর পীড়ার সংবাদ কাগজে বাহির হইতেছে বা লোকমুখে গুন ধাইতেছে। প্রসিদ্ধ দু-এক জন বন্দীর চিকিৎসাদির বন্দোবস্ত করিয়াই গবশ্নেটের ক্ষান্ত ও সন্তুষ্ট হওয়া উচিত নহে। জেল কোণ্ডে বা অন্ত কোন আইনে জেলকৰ্মচারী ও তাহদের উপরआननग्न क्ङकङनि कौष्क नमूना चक्रण जण चदशब রাখার ও অপর সকলৰে অবহেলা করিবার কোন নিয়ম নাই। গডএখ, গবশ্লেষ্টের এই রূপ হুকুম পুনঃ পুনঃ দেওয়া to it 3' - উচিত, যে, সকল বন্দীকেই জেল কোভের অনুযায়ী” অবস্থায় রাখিতে হইবে। বালিক-বিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্ৰী নিয়োগ নারীর অধিকার পূর্ণমাত্রায় সমর্থন করিতে গেলে বলিতে হয়, যে, যেমন মেয়েদের স্কুলকলেজে পুরুষ-শিক্ষক নিযুক্ত করা হয়, ছেলেদের স্কুলকলেজেও তেমনি শিক্ষত্রিীর নিয়োগ হওয়া উচিত । ( তাহা দু-এক স্থলে হইয়াছেও। ) কিন্তু আমরা এখন তাহ বলিতেছি না। আমরা বলিতেছি, এখন আগেকার চেয়ে অনেক বেশী নারী বি-এ, এমৃ-এ পাস করিতেছেন এবং এখন তাহার গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, সংস্কৃত প্রভৃতি বিষয়েও পারদর্শিতা দেখাইতেছেন ; অতএব, এখন যোগ্য শিক্ষয়িত্রী পাওয়া গেলে মেয়েদের স্কুলে পুরুষশিক্ষক নিযুক্ত করা উচিত নহে; মেয়েদের কলেজেও যোগ্য অধ্যাপিকা পাওয়া গেলে তাহাদিগকেই নিযুক্ত করা উচিত। একটা আপত্তি হইতে পারে, যে, মেয়ের বিবাহ হইলে কাজ ছাড়িয়া দেন এবং তাহাতে পুনঃ পুন: শিক্ষাদাতার পরিবর্তন রূপ অস্থবিধা ঘটে। কিন্তু শিক্ষিতা মহিলাদের মধ্যে চিরকুমারীও আছেন, বিবাহের পরেও কেহ কেহ কাজ করেন বা করিতে প্রস্তুত, এবং অনেকে অনেক বৎসর অবিবাহিত থাকেন। তন্তিয়, ইহাও বিবেচ্য, যে, বেসরকারী অনেক বিদ্যালয়ে বেতন কম ও পদোন্নতি যথেষ্ট না হওয়াম পুরুষ-শিক্ষকেরাও অনেকে একই স্কুলে দীর্ঘ কাল কাজ করেন না, স্বতরাং তাহাতেও পুনঃ পুন: শিক্ষক পরিবর্তন দোষ ঘটে ; অথচ সেই কারণে । পুরুষ শিক্ষকের নিয়োগ বন্ধ করা হয় নাই। রামমোহন রায় শতবার্ষিকী - রামমোহন রায়ের মৃত্যুর দিন ২৭শে সেপ্টেম্বরে প্রতি বৎসর নানা স্থানে তাহার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনার্থ সভার অধিবেশন হয়। এক শত বৎসর হইল তাহার মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া এবংসর শতবার্ষিক সভা কেবল ২৭শে সেপ্টেম্বর না হুইয়া তাহার আগে ও পরেও হইতেছে। এ-পর্য্যন্ত ভারতবর্ষের बफ़ गद eणप्त ५षः ग७न ७ बिहेन गङ श्वारई। কলিকাতার সাৰ্ব্বজনিক উৎসব ডিসেম্বরের শেষে হইবে। বাংলা দেশের নানা জায়গায় সভা হইয়াছে। ঠিক যত