পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰিধি গ্রগঞ্জ-ৰোধম-নিক্ষেত্তম نسعضغضـع মেদিনীপুরের কোন কোন লোকের হুবিধা! মেদিনীপুর হইতে ধ’হার নির্বাসিত হইয়াছেন, তাহাদের সুবিধ। এই যে, তাহাদিগকে নিগ্ৰহ-পুলিস ট্যাক্স দিতে হইবে না ! তাই বটে ত ? অারও স্বৰিখ এই ষে তাহাদের মেদিনী পুরের ঘরবাড়ি বন্ধ থাকায় অতিথি আসিবে না, সুতরাং ১৪ হইতে ৩০ বৎসর বয়সের অতিথির আগমন-সংবাদ পুলিসকে দিতে হইবে না ! যাহারা নিৰ্বাসিক্ত হন নাই, কিন্তু কেবলমাত্র র্যাহ্বাদের কোন-না-কোন ঘরবাড়ি গম্বন্মেটি লইয়াছেন, তাহাদিগকে ঐঐ বাড়ির নিগ্ৰহ-পুলিস টাঙ্গ দিতে হইবে না এবং তথায় অতিথি-আগমনের সংবাদও পুলিসকে দিতে হুইবে না-পুলিস স্বয়ংষ্ট যে তথাম্ব আইনবলাং অতিথি । বাঙালার সৈনিক কৰ্ম্মচারার পদ প্রাপ্তি দাঞ্জিলিঙের ত্রযুক্ত জয় মজুমদার ইংলণ্ডের স্ত্যাগুইষ্টি রয়্যাল মিলিটারী কলেজ হইতে সামরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হুইয়া লাণ্ডিকোটালের চেশায়ার রেজিমেণ্টে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট পদে নিযুক্ত হইয়াছেন । । তাহার ভ্রাতা করুণ মজুমদার ইংলণ্ডের ক্রানওয়েলস্থিত রয়্যাল এয়ার ফোস কলেজে পড়িতেছেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে ব্রিটিশ বিমান বিভাগে কাজ করিবেন। يمي আশানন্দ টেকির স্মৃতিস্তম্ভ আশানন্দ টেকি শান্তিপুরের এক জন বিখ্যাত শক্তিমান বাঙালী ছিলেন । তিনি ছিলেন মুখুজ্যে, অন্ত লোকে যেমন অনায়াসে লাঠি ব্যবহার করে তিনি তেমনি সহজে টেকি ব্যবহারে সমর্থ ছিলেন বলিয় তাহার টেকি" পদবী হইয়াছিল। গত ১১ই আশ্বিন বীরাষ্টমীর দিনে শাস্তিপুরে তাহার স্মৃতিস্তম্ভের আবরণ উন্মোচিত হইয়াছে। শান্তিপুরবাসীরা যথাযোগ্য কাজ করিমাছেন । তথাকার শুামসুন্দর দৈহিক বল বৃদ্ধির উপায় শিক্ষা দিয়া ও তাহার দৃষ্টাস্ত স্বয়ং প্রদর্শন করিয়া আশানন্দের স্মৃতি অন্য প্রকারে রক্ষা করিতেছেন। বঙ্গের যেখানে যত অসাধারণ বলিষ্ঠ লোক ছিলেন, সকলেরই স্মৃতি কোন-না-কোন প্রকারে রক্ষিত হওয়া এবং শারীরিক উন্নতির চেষ্টা সৰ্ব্বত্র হওয়া আবগুক । সন্ত্রাসন দমন সম্বন্ধে বঙ্গের গবর্ণর কয়েক দিন পূৰ্ব্বে বঙ্গের গবর্ণর স্তর জন এগুলির্ম একটি বক্তৃতায় সম্রাসবাদ ও সস্ত্রাঙ্গক দমনের সরকারী চেষ্টাকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করিয়া, এই চেষ্টা কি প্রকারে সফল হইতে xGOO পারে, তাহা নির্দেশ করেন। সস্থাপন দমনের জন্য গবষ্মেন্ট ঘড রকম উপায় অবলম্বন করিয়াছেন, তাহার সমালোচনা আগে আগে করিয়াছি। সব গুলির সমর্থন করিতে পারা যায় না। গবর্ণর উল্লিখিত নির্দেশে যাহা বলিয়াছেন, তাহার বিরুদ্ধে কিছু বলিতেছি না, যাহা বলেন নাই তাহারই সম্বন্ধে কিছু লিখিতেছি। শত্র নিপাত করিতে হইলে বর্তমানে যাহার শক্ৰ কেবল তাহদেরই বিনাশের উপায় চিন্তা করিলে চলে না, যাহাতে নূতন নূতন লোক শত্রুভাবাপন্ন হইয়া শক্রালে যোগ দিয়া তাহার বল বৃদ্ধি না করে, তাহার উপায়ও চিন্তা করা জীবগুক । কতকগুলি লোক ইংলণ্ডের শত্র বিবেচিত হইয়াছে। ইংলগু ও ভারতবর্যের বর্ধমান সম্বন্ধের প্রতি অসন্তোষ তাহার মূলীভূত একটি কারণ। এই অসন্তোষ বিনষ্ট করিতে না পারিলে বর্তমান শক্রগণ বিনষ্ট হইলেও মৃত্তন নূতন শত্রুর আবির্ভাৰ হইতে পারে। অতএব, ইংলণ্ড ও ভারতবরের সম্পর্কৰুে দ্যায় ও মানবিক ভ্রাতৃত্বের ভিত্তির উপর স্থাপিত করিয়া অসন্তোষ দূর করা আবশুক । - বৰ্ত্তমান অসন্তোষ দূরীভূত না হইলে এবং নৃত্তন করিয়া অসন্তোষ জন্মিবার কারণ ক্রমাগত উৎপন্ন হইতে থাকিলে, যাহারা ইংলণ্ডের প্রতি এবং ইঙ্গ-ভারতীয় বৰ্ত্তমান সম্পর্কের প্রতি বিরুদ্ধভাবাপন্ন হইবে, তাহার যে সবাই সঞ্জাগঞ্চ হইবেই এমন নয়। হয়ত কেহ কেহ তাহা হইবে, হয়ত কেহই হইবে না। কিন্তু ইহাই সম্ভব বোধ হয়, ষে, অধিকাংশ অসন্তষ্ট লোক অহিংস . উপায়ে আপনাদের অভীষ্ট সিদ্ধ করিবার চেষ্টা করিবে । বৰ্ত্তমান অপেক্ষ তাহা ভবিষ্যতে অধিক কাৰ্য্যকর হইতে পারেই না, বলা যায় না । * * বোধন-নিকেতন মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বোধননিকেতন জড়বুদ্ধি ছেলেমেয়েদের দৈহিক ও মানসিক পরিচর্ধ্যা ও শিক্ষার দ্বারা তাহাদের উন্নতি বিধানের জন্য প্রতিষ্ঠিত হইমছে । ইহার কাজ শৃঙ্খলার সহিত চলিতেছে। কিছু দিন হইল ঝাড়গ্রামের মহকুমা-হাকিম মহাশয় ইহা পরিদর্শন করিয়া ইহার খুব প্রশংসা করিয়াছেন। এখন ইহার ছাত্রসংখ্যা সাতটি এবং ছাত্রী একটি। ঝাড়গ্রামের রাজা नब्रनिष्ङ् भल्लrनबद्र बनाछडग्नि ऐशब्र अङिé मखवणब्र হইয়াছে। তাহার ম্যানেজার জীযুক্ত দেবেন্দ্রমোহন ভট্টাচাৰ্য্য নিকেতনটির বিশেষ শুভানুধ্যায়ী। রাজা বাহাদ্বরের বাস্ততায় । প্রতিষ্ঠানটির অনেক ঋণ - শোধ ও অভাব মোচন হইয়াছে। কিন্তু এখনও অনেক ঋণ অপরিশোধিত আছে।. এবং অভাব ত কাৰ্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়াই চলিৰে। সৰ্ব্বসাধারণের সাহায্যে সব অভাব দূর হইতে থাকিৰে,আশা,