পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 খুজিয়া পাওয়যায় নাই, সে কথা এতক্ষণে বুঝিতে পারিলাম। আজ সমস্ত বাড়ির মধ্যে সে অবাস্তর। নিজের ছরাষ্টের লজ লুকাইবার জন্ত সে কোথায় আত্মগোপন করিয়া আছে দেখিবার জন্তু অজিতার সঙ্গে নীচে নামিয়া গেলাম। রামান্বরের পাশটিতে ছোট ষে-ঘরখানির মধ্যে ভাড়ারের সরঞ্জাম জমা থাকে তাহারই মাঝখানে গায়ত্রীর সন্ধান পাওয়া গেল। সামনে পান সাজিবার সরঞ্জাম-স্বপারি, লবঙ্গ, এলাচের চারিদিকে ছড়াছড়ি ; তাহারই মধ্যে ছোট ছেলেটিকে কোলে করিয়া তন্ত্রাগ্রস্তের মত গান্ধত্রী বসিয়া আছে। এদিকে লোকজনের যাতায়াত অল্প, তাই কেউ তার ধ্যান ভাঙে নাই। সবাই মনে করিয়াছে গায়ত্রী এখন মন দিয়া পান সাজিতেছে —কিন্তু দেখিলাম পানগুলি সাজা হয় নাই ; বসিয়া বসিয়া সে বোধ করি তার ছেলেটিকে মনের মত করিয়া সাজাইয়াছে। মনের মত করিয়া সাজাইয়াছে বটে, কিন্তু তার মধ্যে একটা অস্বাভাবিক নৃতনত্ব ছিল। কোথা হইতে একটি ছোট্ট শাড়ী জোগাড় করিয়া সে তার ছেলেটিকে সাজাইয়াছে, তার চুলগুলির মাঝখানে একটি সিথি টানিয়া দিয়া কপালে পরাইয়াছে সিদূরের একটি টিপ , নিজের হার দিয়াছে গলায়, পায়ে দিয়াছে তোড়া ! যে তারের বালা এককালে তাহার হাতে উঠিত সে দুইটি ছেলের নীচের হাতের পক্ষে অনেক বড়, তাই সেই দুইটি সে থোকার উপর-হাতে জামার উপর পরাইয়া দিয়াছে। পান সাজিয়া একটি বোধ করি সে খোকার মুখে দিয়াছে—ঠোট দুইখানি তার রাঙা টুকটুকে হইয়া উঠিয়াছে এবং কোথা হইতে খানিকট আলতা কিংবা লাল রং সংগ্ৰহ করিয়া খোকার দুইটি পায়ে পরাইয়া দিতেও সে ভোলে নাই। এই বিচিত্র বেশভূষায় পাৰিম৷ খোক যে বিলক্ষণ খুণী হইয়াছে সেকথা ঘরে পা দিয়াই বুঝিতে পারিলাম ; এখন একবার ঘরের বাহিরে গিয়া সকলের সামনে ছটাছুটি করিয়া আসিতে পারিলে সে বীচে। কিন্তু গায়ত্রী তাঁহাকে কিছুতেই ঘরের বাহিরে যাইতে দিবে না-বোধ করি কেউ যদি তার ছেলের এই বিচিত্র রূপসজ্জা দেখিয়া পরিহাস করে, এই ভয়ে। জামাকে দেখিয়া গান্ধী যেন বিত্রত বোধ করিল, কাপড় পরোনি দা লক্ষ ত বোধ হয় আর বেশী নেই।

  • সহামা ;

SOBO —ন, কিন্তু তুই বসে বলে ছেলেটাকে নিয়ে করেছি। कि ? গায়ত্ৰী বলিল,—কি আবার এমন । হঠাৎ ইচ্ছে গেল ওকে মেয়ের মত ক'রে সাজাই, সত্যি জান দাদা, খোকা যদি আমার ছেলে না হয়ে মেয়ে হ’ত— তাহা হইলে গায়ত্রী কি করিত জানি না, কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি ঘর হইতে চলিয়া আসিলাম। ব্যাপারটা হয়ত এমন কিছুই নয়, হয়ত অহেতুক একটা খেয়াল ; কিন্তু আমার মনের মধ্যে গায়ত্রীর আজিকার আচরণ একটা বিচিত্র ব্যাখ্যা লইয়া হাজির হইল। ইতিপূৰ্ব্বে দে আমাকে অনেকবার বলিয়াছে—‘ভগবান ভাগি আমাকে মেয়ে দেননি। কিন্তু আর এ-কথা সে বলিল কেমন করিয়া ? সমস্ত বাড়ির মধ্যে যখন উংসবের হট্টগোল পড়িয়া গিয়াছে, ঘরে ঘরে পড়িয়াছে অঙ্গসজ্জার ধুম, তখন বাড়ির এক প্রাস্তে সকলের অগোচরে বসিয়া সে কি আপনার গহন অন্তরশায়ী কোন কামনাকে রূপ দিবার চেষ্টা করিল ! বাহিরে এইবার কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদের প্রবল চীৎকার স্বরু হইয়াছে। বরের গাড়ী আসিয়া পৌছিয়াছে, কিন্তু এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বরানুগমনকারীরা কি করিয়া যাইবে তাহার কোন ব্যবস্থাই ন-কি হয় নাই। ছোটমাম বারকয়েক অকারণ ভিতরে-বাহিরে ছুটাছুটি করিয়া বাবার কাছে গিয়া বলিলেন,—তাহলে কয়েকখানা ট্যাক্সিই আনতে পাঠিয়ে দিই, কি বলুন ? : ళే বাবা বলিলেন,—সে ব্যবস্থা আরও আগেই করা উচিত ছিল। যাক গে, এখন কত তাড়াতাড়ি কি করতে পার তারই চেষ্টা কর। ছোটমামা আর একবার অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া প্রায় ছুটিতে ছুটিতে বাহির হইয়া গেলেন। মিনিট-কক্ষেকের মধ্যেই যাত্রার আয়োজন সম্পূর্ণ হইল । শাখ বাজিল, হলুধ্বনি উঠিল । - মেয়েদের প্রসাধন এতক্ষণে সম্পূর্ণ হইয়াছে। কলরব করিতে করিতে নীচে নামিয়া আসিয়া তাহারা আমাকে छाििक श्हेप्ड बिद्राि मास्त्रहेन। श्रृङ्ख्याकरण शुरुवाखान्न পূৰ্ব্বে পুরনারীগণ যেমন সৈনিককে বিরিয়া দাড়াই প্রশক্তি