পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سرانجe\ ८डयन आनम श्रिउ जडि चल्ल प्रबद्र अछारे पनि থাকে । o স্বামী পিতা ভ্রাতা বা পুত্রের জন্ত, সংসারে ষে প্রাণপাত পরিশ্রম এবং সেবার ইহাদের ভিতর ষে একটি মহিমময়ী মূৰ্ত্তি ফুটা উঠে, তাহাতে কখনও দাসীত্বভাবটুকু ইহাদের মনের কোণেও জাগিতে পারে না। এই দাসীস্বভাবটুকু নাই বলিয়াই, কার্ঘ্যে বা সংসারের কোন কিছুতে কোন বাধ্যতা বা কঠোরতা নাই বলিয়াই সেবায় এবং কাঁধ্যে বর্শানারীর এত আনন্দ, এই আনন্দময় ভাবটিই বর্শানারীর জীবনে স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্ঘ্য অক্ষুণ্ণ রাখিয়া সংসারটিকে মধুময় করিয়া রাখে। দাসীর ভাবে পুরুষও কখনও ইহাদের প্রতি তাচ্ছিল্য বা অবহেলার ভাব প্রকাশ করেন না, জীবনের প্রতি কাজে, ইহাঙ্গের প্রতি একান্তভাবে নির্ভর করিম, বৰ্খার পুরুষও তাই সদানন্দ স্বর্থী। পরস্পরের প্রতি এই একান্তবিশ্বস্ত নির্ভরতা এবং এই পরিপূর্ণ শ্রদ্ধার ভাবটুকু যেখানে থাকে না সেখানেই নিত্য ক্ষমাহীন অসংখ্য অমুযোগ প্রকাশ পাইতে থাকে, সংসার এবং সমাজের পক্ষে, ইহাতে যে অকল্যাণ সাধিত হয়, জাতির মেরুদণ্ড তাহাতে দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে। প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের দিক দিয়া এই পরাধীন ব্ৰহ্মদেশ ইউরোপের কোন কোন স্বাধীন দেশের সঙ্গে তুলনায় দাড়াইতে পারে। সমগ্র দেশটায় নিরক্ষর অল্পই দৃষ্টিগোচর হয়। অতিক্ষুত্র গওগ্রাম যেটি, পাঠশালা বসাইবার সুবিধা হয়ত যেখানে নাই, সেখানেও ফুঙ্গিচাউজ বা ব্ৰহ্মচৰ্য্য আশ্রম একটি আছেই এবং গ্রামের শিশুসস্তানগুলিকে প্রাথমিক শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মগ্রন্থও কিছু কিছু পড়াইয়া মানুষ করিয়া তুলিবার ভার এইসব আশ্রমের ফুজিরাই গ্রহণ করেন। এই ফুঙ্গি বা ভিক্ষুর সংসার স্বখ এবং জীবনের সকল কিছু ঐহিক কামনা বিসর্জন দিয়া, নিজের ধৰ্ম্মালোচনার সঙ্গে সঙ্গে দেশের যে কত বড় হিতসাধন করেন, ভারতবর্ষের অঙ্ক যে-কোন প্রদেশের পক্ষেই তাহ অন্ত্রকরণযোগ্য। . মেয়েদের ভিক্ষার এবং সাধারণের ভক্তির দানেই সাধারণতঃ আশ্রমগুলির ব্যয় নির্বাহ হয়, কোন কোন আশ্রম, কোন কোন বিশিষ্ট ধনী ব্যক্তির দানেও চলে। ধৰ্ম্ম এবং এই সব ফুজিচাউজগুলির রক্ষণ সম্বন্ধে, এই সমগ্র দেশটার যে প্রবল আগ্রহ এবং যত্ন দেখা যায়, তাহতে বিস্থিত হইতে হয়। " সেবাসাট SOBO গ্রামে বা শহুরে যেসব দরিদ্র পিতামাত-পুত্র-কন্যার ব্যয়ভার বহন করিতে পারেন না, এই-সব আশ্রমগুলিই সঙ্গেহে উহাদিগকে আশ্রয় দেয়। আশ্রমের ফুঙ্গিদের পাণ্ডিত্যের কথা প্রচার হইলে, দূর দূরান্তর হইতেও বহু শিষ্য আঁসি, ঐ আশ্রমে বিদ্যাশিক্ষা করিয়া যায়। জাপ্রমের সকল কাজ শিষ্যেরাই সম্পাদন করে, ঘাস জঙ্গল তুলিয়, রাস্তাঘাট তৈয়ার করিয়া, দূরের বা নিকটের জলাশয় হইতে জল তুলিয়, ছেলেরা পরম মুখে এসব আশ্রমে বাস করে । দারুশ গ্রীষ্মের দিনে নিকটস্থ পল্লীগুলির মেয়ের মাথায় করিয়া কলসী কলসী জল আশ্রমে তুলিয়া দিয়া পুণ্যসঞ্চয় করে । ফুঙ্গিদের আশ্রমের মত পৃথকৃ স্থানে ভিক্ষুণীদের আশ্রমও আছে । আগ্রহ এবং উৎসাহ থাকিলে, এই ভিক্ষুণীদের মধ্যেও কেহ কেহ গভীর জ্ঞান লাভ করিয়া থাকেন । বৎসর তিনেক আগে, ম্যাণ্ডালের কোন ভিক্ষুণী সংঘ হইতে একজন ভিক্ষুণী, বৌদ্ধধৰ্ম্ম সন্ধন্ধে গভীর জ্ঞান লাভ করিয়া, দার্জিলিঙের কোন বৌদ্ধধৰ্ম্ম শিক্ষালয়ে মহিলাদের অধ্যক্ষ হইয়া গিয়াছেন। এদেশে যদিও ছেলেমেয়েদের একই সঙ্গে পড়িবার রীতি আছে, তথাপি ফুজিচাউজগুলিতে মেয়েদের পড়িবার নিয়ম নাই, ফুঙ্গিরা কখনও মেয়েদের শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন না। বালক বালিকা উভয়েই একই স্কুলে একই ভাবে অধ্যয়ন করিয়া থাকে, এখনও কনভেণ্ট জাতীয় বিদ্যালয়গুলি ব্যতীত ছেলেমেয়েদের পৃথক স্কুল কোথাও নাই। পূৰ্ব্বে, মেয়ের স্কুলে থানিকটা বিদ্যালাভ করিবার পরই, স্কুল ত্যাগ করিয়া গৃহকৰ্ম্মে মনোযোগ দান করিত, কেবল পাশ্চাত্য ভাবাপন্ন পিতামাতার কস্তারাই নিয়মিত কাল পর্যন্ত স্কুল কলেজে অধ্যয়ন করিয়া, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হইত, কিন্তু এখন প্রায় সৰ্ব্বত্রই পিতামাতার অবস্থানুসারে পুত্রের স্বাক্ষ কস্তারাও একই ভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হইয়া এবং পুরুষদের সঙ্গে কৰ্ম্মক্ষেত্রে সমান প্রতিযোগিতায় নামিয়া নিজেদের কৰ্ম্মদক্ষতার পরিচয় দিতেছে। পোষ্টাপিলের কেরাণী, উকিল, ব্যারিষ্টার, বড় বড় ব্যবসায়ী, মেয়েদের ভিতর আজকাল সৰ্ব্বদাই দেখা যাইতেছে। রেঞ্জন হাইকোর্টেও একটি অতি উচ্চপদে একজন বি-এল পাস মহিলা উচ্চ মাহিনায় নিযুক্ত আছেন। অতি শৈশব হইতেই একই সঙ্গে এবং একই ভাবে,