পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खच८बरच जान्नैौन्न चीन \తిసి) ছেলেমেয়ের মানুষ হইতে থাকে বলিয়াই, বৰ্খা পুরুষ কখনও বর্গানারীকে অবলা ভাবিয়া, তুচ্ছ করিতে সাহস পায় না এবং অন্তঃস্থিত স্বাভাবিক ভাবগুলিকে, সামাজিক বিধানে কৃত্রিম উপায়ে, নষ্ট করিয়া না দেওয়াতে, দৈহিক বলে হউক, বা না হউক, যে সহজাত বীৰ্য্য এবং আত্মপ্রত্যয় নারীর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাইতে থাকে, বৰ্ম্ম নারী তাহারই উপর নির্ভর করিয়া সৰ্ব্বদা আপনাকে রক্ষা করিয়া রাখে। অবগুণ্ঠনে যত বিনম্রভাব এবং যত সৌন্দৰ্য্যই থাকৃ, লতার স্থায় একান্ত ভাবে আপনাকে পরনির্ভর করিয়া রাখায়, যত কমনীয়ভাই ফুটুক এবং উহা কবির কল্পনা বৃদ্ধির যত সহায়তাই করুক না কেন, ঘরের কোণেই একমাত্র তাহার মূল্য। প্রভাতের যুঁই ফুলটির মত বাহিরের আলো এবং রৌদ্রতাপ সে কোমল ঐ নারী- । প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষতই করিয়া দেয়। বাংলার নানাদিকে আঞ্জ নারীর উপর নানারকম অত্যাচারের দিনে, সে কোমল শাস্তন্ত্রীকে আজ সজ্জার পরিবর্তন করিতে হইবে, অনেকবার ঠেকিয় ঠেকিয় বাংলা আজ সে কথা বুঝিতে শিখিয়াছে, বাংলার মেয়েকে তাই এতদিনে একহাতে হাতাবেড়ি ধরিয়া অপর হাতে লাঠিছোরা ধরানোর তুমুল আন্দোলন চলিয়াছে। আপনাকে রক্ষা করিতে হইলে আপনারাই শক্তির প্রয়োজন, বাংলার মেয়েরাও আজ একথা ঠেকিয়াই শিখিতেছেন। এ দেশে মেয়েদের একাকী পথ চলায় কখনও কোন সঙ্কোচ বা আতঙ্ক দেখা যায় না। প্রভাত হইতে রাত্রি পর্যন্ত কত ফিরিওয়ালী চোখে পড়ে, কত দূর দূরান্তর হইতে একাকী আসিয়া নির্তমে, রাস্তায় ফিরি করিয়া বেড়ায়, গরুর গাড়ী বোঝাই করিয়া, কাঠ, খড় ঘাস ইত্যাদি লইয়া মেয়েরা নিজেরাই গাড়ী চালাইয়া শহরে আসিয়া বিক্রয় করিয়া যায়। সম্রাস্ত ঘরের সুসজ্জিত মহিলাদের পথ চলায় যে একটা মহিমময় তেজ ও গৰ্ব্বের সঙ্গে একটি অপূৰ্ব্ব বিনম্র শ্ৰী ফুটিয়া থাকে, তাহা দেখিলে মনে সম্বমেরই সঞ্চার হয়। প্রতিদিন প্রভাতে, জানালাপথে রাস্তার পানে তাকাইলেই, এই সব শোভনী মহিলাদের স্বন্দর একটি সাজি হাতে করিয়া বাজারের পথে চলিতে দেখা যায়, বাজারে তরকারী বা ফলমূলের পসরা সাজাইম যাহারা খরিদদারের অপেক্ষ করিতেছেন, তাহারাও নারী। তবে গরীব দুঃখীর মেয়েরাই সাধারণতঃ তরকারী ইত্যাদির দোকান করেন, কিন্তু বস্ত্ৰাদি বা হীরা মুক্তর দোকান কিংবা কোনও সৌখিন বিলাসের সামীর বাহারা দোকান করেন, উহাদের মধ্যে সান্ত ঘরের মহিলাদের সংখ্যাও কম নহে। পুরুষ দোকানদার প্রায় নাই-ই, থাকিলেও র্তাহারা মহিলাদের সাহায্যকারী মাত্র। রেঞ্জুন বা ম্যাগুলে বা মৌলমিন, বেসিন ইত্যাদি বড় বড় শহরে, বড় বড় ব্যবসা চালাইয়া অতি স্নস্থলে নারীর কাজ চালাইয়া থাকেন। দেখিলে বিস্থিতই হইতে হয় অধিকাংশ স্থলেই পুরুষ ইহাদের অংশীদার এবং সাহায্যকারী মাত্র । কিন্তু কেবলমাত্র সংসারের বাহিরে কঠোর কৰ্ম্মস্থলেই যে বৰ্ম্ম নারীর এইরূপ প্রবল প্রতিপত্তি, তাহা নহে, সংসারের ভিতরে, ইহাদের ষে কোমল স্নিগ্ধ মূৰ্ত্তিটি নিত্য ফুটা উঠে, আত্মীয়-স্বজনের সেবায় অতিথি অভ্যাগতের অভ্যর্থনায়, গৃহপ্রতিষ্ঠিত ফায়ার (বুদেব) পূজা অর্জনায় সে মৃটির বিকাশ হয় আরও মধুর রূপে। অত্যন্ত সংক্ষেপে এবং অতি অল্প সময়ে, ইহার রান্নাবায় এবং খাওয়া দাওয়ার কাজ সম্পাদন করেন এবং এই কারণেই ইহাদিগকে কখনও গৃহকোণে আবদ্ধ হইয়া থাকিতে দেখা যায় না। স্বভাবতঃই আনন্দপরায়ণ বৰ্ম্মাদের আনন্দ করিবার প্রবৃত্তিটুকু এখনও লুপ্ত হইয়া যায় নাই এবং এই জন্যই কোথাও না কোথাও নিত্য উৎসব ইহাদের লাগিয়াই আছে, গৃহকৰ্ম্ম সম্পাদন করিয়া বৰ্মানারী পুত্রকন্যাসহ মুসজ্জিত হইম, সৰ্ব্বদা সে উৎসবে যোগদান করেন। আলোয়, ফুলে পল্লবে ভরা উৎসব রাত্রিগুলি ইহাদের মধুর রূপ এবং সাজসজ্জায় সমুজ্জল হইয় উঠে। বৰ্ম্মানারীর আর একটি বিশেষত্ব অতিথিসেবায়,— যত গরীব গৃহস্থই হউক না কেন, ভাতের হাড়িতে অতিরিক্ত দুই-তিন জনের ভাত সৰ্ব্বদাই ইহাদের রাধা থাকে, আহারের সময় হঠাৎ কেহ কোন কাজে আসিয়া উপস্থিত হইয়া পড়িলে না থাইয়া ফিরিয়া সে কিছুতেই ঘাইতে পারে না, যে কোন তরকারী এবং পরিমাণে যতটুকুই থাকু না, টেবিলের মাঝখানে তরকারীর বাটটি রাখিয়া টেবিলের চতুষ্পার্থে বসিয়া স্ত্রীপুরুষ সকলে সেই একই বাটি হইতেই, সামান্ত পরিমাণ তরকারী লইয়া লইয়া অত্যন্ত তৃপ্তিতে হাস্যপরিহাসের সহিত আহার সমাপ্ত করে। অভাবের হুখে বর্ণ নরনারী এখনও জর্জরিত