পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪ الأسس ইহার এখনও পারে, ছোট বড় ভেদাভেদের জ্ঞান, এখনও বাদের ভিতর তেমন তীব্রভাবে জয়ে নাই, তাই অতি সামান্ত পরিমাণ সম্বল লইয়াও অসঙ্কোচে সকলকেই গৃহে সাদরে আহান করিয়া নিজেও তৃপ্ত হয়, অতিথিকেও তৃপ্ত করিম। থাকে । , e খুব কড়া বাধাবাধি না থাকিলেও, গৃহস্থসংসারে সামাজিক জয়শাসনগুলি প্রায় সকলেই মানিয়া চলিতে চেষ্টা করে, কাজেকর্শ্বে, উৎসবে এবং নিত্যকার গৃহকৰ্ম্মে ফুজিরা যে বিধান দিয়া থাকেন, সকলে অকুষ্টিতচিত্তে তাহ মানিয়া চলে। ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মে এদেশে মেয়েদের যে বিপুল উৎসাহ দেখা যায়, তাহাতে মন মুগ্ধ হয়। বাংলা দেশের মত বারোমাসে তেরটি পরব ইহাদের লাগিয়াই আছে। যে-কোন গৃহে যে-কোন অনুষ্ঠান হয়, প্রতিবেশী ভগিনীরা আসিয়া আনন্দিত মনে তাহাতে যোগদান করেন, ইহার জন্য প্রতি গৃহে গৃহে, আলাদা করিয়া নিমন্ত্ৰণ করিবার প্রয়োজন হয় না, রাস্তায় রাস্তায় ঘণ্টা বাজাইয় একজন কেহু, গৃহকর্তা এবং কত্রীর নাম করিম, প্রতিবাসী সকলকে, তাহদের সসম্মান আমন্ত্রণ জানাইয়া যায় মাত্র। ইহা ছাড়া কোন ভয়াবহ মহামারী দূরীকরশার্থে বা অন্ত কোনও কারণে পল্লীতে পল্লীতে যখন বারোয়ারী উৎসবের অঙ্গুষ্ঠান হয়, মেয়েরাই তখন মুন্দর স্থসজ্জিত বেশে, কারুকাৰ্য্যশোভিত বড় বড় রৌপ্য পাত্র হাতে লইয়া বাড়ি বাড়ি চাদ তুলিয়া বেড়ান। ধৰ্ম্মক স্বামী উভয়ে একই সঙ্গে করিয়া থাকেন, বৰ্ম্মদের ভিতর অন্তধৰ্ম্মাবলম্বী খুব কমই দেখা যায়, সম্ভবতঃ অপূৰ্ব্ব শক্তিশালিনী এবং স্বধৰ্ম্মপরায়ণ বৰ্খানারীদের যে আশ্চৰ্য্য প্রভাব সৰ্ব্বদা এদেশের পুরুষদের উপর আধিপত্য করিয়া থাকে, তাহাতেই বহুজাতির সহিত অবাধ সংস্পৃপ্ততা সত্ত্বেও এদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম এখনও পূর্বেরই স্কায় সমান তেজোময়। জামাদের দেশের মেয়েদের মত, কোনরূপ অপূর্ণতা ইহাদের নাই বলিয়াই, এক পরিপূর্ণ প্রবল শক্তির প্রভাবে এ দেশের মেয়ের, সমাজে নানারূপ কাচার ব্যভিচার থাকা সত্বেও, জাতিৰে সৰ্ব্বা ধ্বংসের মুখ হইতে রক্ষা করিয়া আলিতেছেন। সমাজের স্বরবর প্রথা এবং কোর্টশিপের পর বিবাহের SOBO বাংলা দেশের ব্রাহ্মবিবাহ পদ্ধতির অঙ্কুরুপ। বিবাহের পর কস্তাদের স্বামীসহ পিত্রালয়ে বাস করাই সামাজিক বিধান, অবশ্য চাকুরি ইত্যাদি উপলক্ষ্যে স্বামীকে বিদেশে যাইতে,হইলে, পিত্ৰালয় ত্যাগ করিয়া পত্নীও স্বামীর অমুগামিনী হইয়া থাকেন। সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বিধবা বিবাহ প্রচলিত আছে । পরস্পরের কোনও দোষ না থাকিলেও কেবলমাত্র উভয়ের ইচ্ছানুসারেই বিবাহবিচ্ছেদ হইতে পারে, সমাজে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা থাকিলেও অনেক মেয়েকেই চিরকুমারী থাকিতেও দেখা যায়, বিবাহের কোন বাধ্যবাধকতা বা সামাজিক নিন্দ নাই। অনেক কুমারী মেয়েই ভিক্ষুণী হইম সংসার ত্যাগ করিয়া আশ্রমে চলিয়া যান, আবার কাহাকেও কাহাকেও ভিক্ষুণীর বেশে সংসারের ভিতরে থাকিয়াই ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম সাধন করিতে দেখা যায়। নিজেদের সকল সম্পত্তি তাহারা আশ্রমের কল্যাণে, বা কোন ফায়ার পাশে যাত্রীদের জন্ত বিশ্রামাগার নিৰ্ম্মাণ করিতে দান করিয়া নিজেকে সার্থক জ্ঞান করেন । গৃহকৰ্ম্মে সংসারের সকল কিছুরই উপর নারীর প্রবল একাধিপত্য সৰ্ব্বদাই বিদ্যমান থাকে, স্বামীর উপার্জনের পাইপয়সাটিও পত্নী অত্যন্ত কড়াবিধানে হিসাব করিয়া করিয়া স্বয়ং গ্রহণ করেন এবং ইহার পর সংসারের মাসিক ব্যয়, ধার শোধ, দোকানবাকী শোধ এবং অন্ত যাহা কিছু, পত্নীই সমস্ত আপনি হিসাব করিয়া সংসারের স্বব্যবস্থা করেন । স্বামি-স্ত্রী উভয়েরই সম্পত্তিতে উভয়েরই তুল্য অধিকার থাকে, সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় বা ধার করা, ধার শোধ করা ইত্যাদিতে মেয়েরাই অগ্রণী থাকেন। পত্নীর স্বাক্ষর ব্যতীত কেবলমাত্র স্বামীকে ঋণদান করিলে মহাজনদিগকে ঠকিতেই হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর উভয়ের সমস্ত সম্পত্তিরই অধিকারী পত্নীই হইয়া থাকেন । পুত্ৰকস্তার তখন সম্পত্তিতে কোনও অধিকারই থাকে না। অবশু বিধবা হওয়ার পর তিনি পুনরায় বিবাহ করিবার ইচ্ছা করিলে, পূর্বেই সমস্ত সম্পত্তি পুত্রকন্যাদিগকে ভাগ করিয়া দিয়া থাকেন। সম্পত্তি বণ্টন করিবার কালে, পুত্র বা কন্যা বলিয়া কোন ভেদাভেদই থাকে না, কন্যারাও পুত্রদেরই মত সমান অংশই পাইয়। থাকে।" - - - - དྷིའི་ཆ།