পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉ3 আমাদের দেশে পোস্যকন্যা গ্রহণ করিবার রীতি নাই, কিন্তু এদেশে পোস্যকন্যা এবং পোষ্মপুত্র দুই-ই গ্রহণ করা হইয়া থাকে এবং এই নিয়ম থাকাতে গরীব দুঃখীর মেয়েদের নিরাশ্রয় হইয়া পথে ভাসিতে হয় না। ধনী আত্মীয়স্বজনেরা প্রায়ই উহাদিগকে পোষ্যকন্যা রূপে গ্রহণ করিয়া সযত্বে লালন পালন করিয়া থাকেন । অবশু বৰ্ম্মমেয়েদের পথে ভাসিতেও হয় না। অতি শৈশব হইতেই এমনই দৃঢ় উপাদানে মন ইহাদের গঠিত হইয়া থাকে যে, নিরাশ্রয় হইলেও বারো তেরো বছরের মেয়েটিও ফিরি করিয়াই হোক বা অন্য যে-কোন উপায়েই হোক, নিজের জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিম চলিতে পারে, গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য পরপ্রত্যাশী ইহাদিগকে কখনও হইতে হয় না। কত গরিব-দুঃখীর ঘরেও দেখিয়াছি, পিতৃমাতৃহীন হইলে অথবা স্বামী মারা গেলেও মেয়ের নিরূপায় হইয়৷ হতাশ হইয় পড়েন নাই, চোখের জল মুছাইয়া মনটিকে শক্ত করিয়া লইয়া ভবিষ্যতের ব্যবস্থার জন্য উঠিয়া বসিয়াছেন । আমাদের দেশের মত পুত্রকন্যাসহ পরের গলগ্ৰহ হই, নিজের এবং বস্তানদের জীবনগুলিকে ইহাদের স্বর্ভর করিয়া তুলিতে হয় না। । - হাসপাতালের কমিটির সদস্তরূপে, জেলের বেসরকারী পরিদর্শকরূপে বর্শানারীরা সৰ্ব্বদা দেশের একটা মহৎ কাজে সাহায্য করিয়া আসিতেছেন। মাতৃরূপিণী, কল্যাণময়ী এই নারীদের সর্বদা চোখের সম্মুখে দেখিয়া দেখিয়া জেলের দুৰ্দ্দাস্ত কয়েী বা হাসপাতালের বীভৎসতার ভিতর জীবনে হতাশ ক্লান্ত রোগীদের মনে যে কিরূপ আনন্দ ও আশার সঞ্চার হয়, তাহ সহজেই অল্পমেয় । প্রকৃতপক্ষে নারী এবং পুরুষ উভয়ের মিলিত শক্তিতেই ব্ৰহ্মদেশের স্বখ স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্ঘ্য আজিও প্রায় অঞ্চ রহিয়াছে। তুচ্ছ না করিলে নারীর শক্তিও যে অপরাজের হইতে পারে এবং সসম্মানে নির্ভর করিয়া থাকিলে, এই অপরাজেয় শক্তিই যে গৃহে এবং বাহিরে সর্বত্র কল্যাণ সাধন করিতে পারে, ব্ৰহ্মদেশের নারীদের দেখিলে, এই কথাটি বেশ ভাল রকমেই বুঝিতে পারা যায়। ছবির মালিক শ্ৰীমুনীলচন্দ্র সরকার, এম-এ এতকাল মেসে মেসে টু-লীটেড এমন কি ‘খ্রিস্টীটেড3 ঘরে থেকে বিরক্তি ধরে গেছে। অগুনতি লোকের সঙ্গে দিনরাত মেলামেশা করে সামাজ্ঞান হওয়া দূরে থাকৃ—ঘোরতর অসাম্যবাদী হয়ে উঠেছি। লোক দেখলে গা জলে যায়, নিরীহ ভদ্রলোকেরা কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করতে এলে অকারণে রূঢ় হয়ে উঠি—মাঝে মাঝে কয়েকজন গায়ে-পড়ে আলাপ-জমানে লোককে উত্তম-মধ্যম দেবার আকাঙ্ক্ষা অতি কষ্টে দমন করেছি। বন্ধুরা চিন্তিতমুখে বললে, ব্যাপার কি য়ে, তোর হ’ল কি ? বিনা কারণে এমন নিদারুশ একটা ফিয়ানখোপ হয়ে উঠলি কেন ? কিছুকাল গভীর হয়ে থেকে মনের কথা ভেঙে বললুম— अश्, निर्बनडा श्रहे। ५३ बाजारब्रब मश जाब्रथाक्रड - جهسـ-« و . . . পারি না, ভেতরটা একদম চাপা পড়ে যাচ্ছে—শুধু বাইরের নাড়াচাড়াম ক্ষেপে যাবার উপক্রম হয়েছে। পারিস তো কোথাও খুব নির্জনে একটা সিংগল লীটেড রুশ জোগাড় করে দে—জার তা নইলে আর আমার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসিনি। / জনৈক বন্ধু বললেন,–একটা ঘরে একলা থাকতে চাল ? কত ভাড়া দিবি ? দীর্ষনিঃশ্বাস ফেলে বললুম-দশটাকার বেশী তো পারব না। - বন্ধুবৰ্গ কৌতুক-হাস্তে উচ্ছসিত হয়ে উঠলো। বললে,— ন, ন, ঠাট নয়, সত্যি কত দিতে পারবি বৰ্ণ-তাহলেন: