পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখতে ভালই, চোখ ছুটি বেশ বড় বড়। কৌতুহল হ’ল, জিজ্ঞাসা করলুম, কার ছবি রে ? * প্রফুল্প গষ্ঠীর হয়ে বললে,—সে তুমি চিনবে ন— এ অবস্থায় প্রফুল্পকে জবা করবার একমাত্র উপায় যা জানা ছিল অবলম্বন করলুম। ছবিটা নির্লিপ্তভাবে কাগজে প্যাক করতে লাগলুম। মুহূর্ভে প্রফুল্লর গাম্ভীৰ্য্য খলে গেল—মুখটা হাসি হাসি ক’রে বললে,—দেওঘরে একটি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, তার ছবি। তারাও কলকাতায় ফিরে এসেছে, তাদের কলকাতার ঠিকানায় ছবিটা দিয়ে আসতে হবে। বাঁধান কেমন হয়েছে বল ত ? ছবিটা আবার বার করলুম। দেখতে লাগলুম— বাধানোর কৌশল নয়, মেয়েটিকে । খানিকক্ষণ পরে ভুরু কুচকে গভীরভাবে বললুম, হ্য, বাধানে মন্দ হয় নি। কোথা থেকে করালি ? গর্বের হাসি হেসে প্রফুল্ল বললে, আমি নিজের হাতে বঁধিয়েছি। নীচের দিকে বেশী চওড়া কার্ডবোর্ড দেওয়াম কি অদ্ভূত দেখাচ্ছে বল ত ? বাস্তবিকই ভাল দেখাচ্ছে, কিন্তু তার প্রধান কারণ এই যে, মেয়েটি স্বন্দর। প্রফুল্পকে উদাসীন ভাবে জিজ্ঞাসা করলুম, মেয়েটির নাম কি ? ‘ছবিরাণী দত্ত—ছবিতে যা উঠেছে তার চেয়ে ঢের বেশী স্বদের দেখতে!—বলে প্রফুল্প অর্গ্যানে বিলিতি কয়েকটা "কর্ড বাজাবার চেষ্টা করতে লাগল। বিরক্ত হয়ে বললুম,—কি প্যা প্যা করছিল, শোন না— ওরা কলকাতার কোথায় থাকে ? প্রফুল্ল হে হে ক'রে হেসে উঠল-কেন, সে খবরে তোমার দরকার কি ? ছবিটা আলগা ভাবে ধরেছিলুম, ওর হাসির আওয়াজে চম্কে উঠে—কি হ’ল আন্দাজ করুন তো–ছবিটা গেল হাত থেকে পড়ে। ব্যস্ত হয়ে তুলে নিয়ে দেখি কাচটা নীচের দিকে অর্থাৎ যে দিকে চওড়া কার্ডবোর্ড দেওয়া আছে সেই দিকটায়-এখার থেকে ওখার পর্য্যন্ত ফেটে গিয়েছে। মৰা জ্ঞাত হয়ে পড়লুম। প্রচুর জাখাল দিয়ে বললে, पाकcन-भांब अक्थान नङ्कन काव् नागिन निगरे কৰে । তবে এখন আর ছবিটা দেওয়া যাবে না । ছবিটা খুব নিরীক্ষণ করে , ... * * . هوه : এখন এখানেই থাকৃ ; আমাকে লাজ স্থাতেই জীবীর দেওঘর যেতে হবে— । , ' বললুম-তোরি দোষ; যে জোরে হেসে উঠলি এক্ষণ লোকদের কাছে কথার খেলাপ হ’ল তো ? : o —তা হৰে কেন, ওদের কাছে তো আমি প্রমিল করিনি যে এতদিনের মধ্যে দেব। বাকু গে, যদি 'রোমান্স করার ইচ্ছে থাকে তো ঠিকানাট জেনে রাখ—১২নং শুমে ঘোষের ষ্ট্রীট। এটর্ণি বাবু অবনীভূষণ দত্তের বাড়ি—বলতে বলতে প্রফুল্ল বেরিয়ে গেল। • ছবিটা টেবিলের ওপর উলটে রেখে দিলুম। ... " এমন সময়ে বন্ধু শৈলেনের প্রবেশ —বা, বেশ ঘরটি পেয়েছিস তো ! আনন্দে উৎফুল্প হয়ে বললুম-দশ টাকায় ঘর পাওয়ার কথায় না হেসে উঠেছিলি ? কেমন রে, কি বলিস - ‘বলিস’ এর দস্ত্য সিটি একেবারে ইংরেজী S এর মত উচ্চারণ ক’রে দিলুম। শৈলেন খুঁত ধরবার জন্তে চারদিকে চাইতে লাগল। থেকে থেকে বলে উঠল, তোর যেমন ! ঘরসাজানো সম্বন্ধে কোন ‘আইডিয়া নেই— শোন একবার কথা ! ঘর সাজানো সম্বন্ধে আমার কোনও ‘আইডিয়া নেই। তাহলে পৃথিবীর মধ্যে কার আছে তাই জানতে চাই। শ্লেষের স্বরে জিজ্ঞাসা করলুম-কেন, ‘আইডিয়ার’ অভাবটা কি দেখলি ? —বড় বড় দেওয়ালগুলো ফাক পড়ে রয়েছে, লোকে অন্ততঃ একটা ক্যালেণ্ডারও ঝুলিয়ে দেয়। হেসে বললুম,—ওইটিই আমি পারব না, ক্যালেণ্ডার টাঙানো আমার দ্বারা হবে না। দেওয়ালে থাকবে মাত্র একখানা ছবি যা— শৈলেন বাধা দিয়ে বলে উঠল,—থাক থাক, ঢের হয়েছে । ছবি সম্বন্ধে আর ‘লেকচার শোনবার জাগ্রহ নেই। মুখে রাজা উজীর না মেরে সেই একখানি ছবি এনে টাঙিয়ে ফেললেই বন্ধুমানুষরা বেশী খুলী হবে। আগের মুহূর্তে কিছু ভাবিনি, হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এসে গেল। গভীরভাবে উঠে টেবিলের ওপর উলটে রাখা ছবিখন নিয়ে দেওয়ালের একটা স্থকে টাঙ্গিম লিম জ্ঞ