পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ب: s:-: . পায়লুম যে, শৈলেন অবাক হয়ে একবার ছবির দিকে আর একবার আমার মুখের দিকে চাইছে। কিন্তু সেদিকে যেন খেয়ালই নেই এমন ভাবে চোরে বলে একটা চুরুট ধরিয়ে ফেললুম। থামিকক্ষণ চুপ করে থেকে শৈলেন আর আগ্রহ দমন করতে পারলে না। জিজ্ঞাসা করে ফেললে,—কার ফোটাে রে ? ' চুরুটের ধোয় ছাড়তে ছাড়তে নিলিপ্ত ভাবে বললুম,— মানিয়েছে কি না আগে তাই বল । -श्मद्र यांनिप्छ्रश्-क्रूि ८क ? এমনভাবে ভূয়ট কুঁচকে চুপ করে রইলুম যে, শৈলেন বেশ অপ্রতিভ হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি বললে,—বলতে যদি কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে অবিশ্যি— খুব মোলায়েম গলায় বললুম, ন, আপত্তি আর কি ? কিন্তু তখনও কিছু না বলে চুপ করে রইলুম। . কি বলব তখন মনে মনে গুছিয়ে নিচ্ছি । , অবশেষে খুব অর্থপূর্ণ একটু হেসে বললুম, যখন না গুনে ছাড়বি না। এখন শুধু ছবিটা দেখছিল, আসছে অম্ৰাণ মাসে মেয়েটির সঙ্গে তোর পরিচয়ও হবে। বলিস্ কি রে -বলেই হঠাৎ শৈলেনের উৎসাহ কমে এল। একটু হেসে বললে, ও, ঠাট্ট হচ্ছে। গম্ভীরভাবে বললুম,–তুমি অবিপ্তি তা ভাবতে পার আমার কোনও আপত্তি নেই । . শৈলেন হাসিমুখে বললে,—ও নিশ্চয় তোর কেউ আত্মীয়া— আমি একটু বিরক্তির স্বরে বললুম-ই, আত্মীয়া না হ’লে আর এ ধরণের ঠাট্টা কাকে নিয়ে করব বল । শৈলেন ভড়কে গেল। বললে,—ত এ খবর আমাদের সিনি কেন ? :: -জাগে তো ঠিক ছিল না ভাই । पञांखहें ঠিকৃ হ’ল ; তাই ত ছবিটা নিয়ে আসতে পারলুম, নইলে কি চাইতে সাল कुकुम ? মাঝে মাঝে আমার মাথায় এমনি দুষ্টুমির ভূত চাপে। শৈলেনকে একটি জান্ত উপস্তল বানিয়ে বললুম। প্রায় এক বছর জাগে শুঙ্গি খেৰ, ট্রটের মোড়ে ছবিরাগীর সঙ্গে আমার লেখা। স্কুলের বলের জন্তে লে গাড়িয়ে আছে। এমন সময় স্ট্র প্রবাসী ; Sన98లి" ভগ্নানৰ বৃষ্টি। আমি ছাতিটা দিলুম অর্থাৎ দিতে চাইলুম এবং ওরই কথায় শেষ পৰ্যন্ত ছাতির মধ্যে ওকে নিলুম। ও হঠাৎ স্বীকার করে ফেললে ইনষ্টিটিউটে আমার গান গুনেছে। তারপর ওর বাড়িতে নেমস্তয়, আলাপের ঘনীভূত অবস্থা এবং ক্রমশ: প্রেম । খালি বাধা ছিলেন ছবির এটর্নী বাবা অবনীবাবু। আমি গরীব বলেই তার আপত্তি ; কিন্তু এবার দেওঘর থেকে ঘুরে এসে হঠাৎ তার মত বদলে গেছে। শৈলেন ই করে শুনলে, তারপরে সজোরে আমার দু’টাে কাধ ধরে ঝাকানি দিতে লাগল। আমার সত্যিসত্যিই বোধ হতে লাগল, যেন ছবিরাণীর সঙ্গে আমার বিয়ে অবগুস্তাবী এবং আসন্ন । আমার যেমন স্বভাব । শৈলেন চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই কথাটা বেমালুম ভুলে গেলুম। কাজেই তার পরদিন যখন শৈলেন এসে বললে, তোর ছবিরাণীকে দেখে এলুম, তখন আর একটু হলেই বলে ফেলেছিলুম, কে ছবিরাণী ? শৈলেন ঠকৃবার পাত্র নয়। সে আজ সকালে খাম ঘোষের ষ্ট্রীটে অবনীবাবুর নাম-লেখা বাড়ি দেখে এসেছে, এমন কি শু্যাম ঘোষের মোড়ে সেই বাড়ির যে মেয়েটি বাসের জন্যে এসে দাড়িয়েছিল, আমার ঘরের ফোটোর সঙ্গে তার হুবহু মিল আছে ৷ ক্রমে এই উপকথাটা রাষ্ট্র হয়ে গেল। সেদিন আমি আর শৈলেন বসে আছি এমন সময়ে আমাদেরই মেসের এক বোর্ডার, নাম নয়ানবাবু, ইকনমিক্স এ এম্-এ, আমার ঘরে উপস্থিত হলেন । ইকনমিক্স’ শাস্ত্রটা নয়ানবাবুর চরিত্রের ওপর বেশ একটু ছায়াপাত করেছে, তবে একটু বিপরীতভাবে । অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি নিয়ে তিনি মাথা না ঘামালেও শব্দের অর্থতত্বের ওপর যে তার বেশ দখল আছে, তা তার শাণিত কথাবার্তা থেকে বেশ বোঝা যায়। দেয়ালে টাঙানো ছবিটা দেখে নিঃসংশয়ে বলতে আরম্ভ —ওহে, হতাশ প্রেম ! তাই ত বলি ভদ্রলোক দিনরাত মুখ গুজে এত লেখেনই বা কি, আর মেলের এই খাওয়া খেয়েও দিন দিন ফুলছেন কি করে ? : আমি একটু জাহতভাবে অন্যদিকে চেয়ে চুপ করে রইলুম। শৈলেন বললে,-কিন্তু ও-কথা নিয়ে ওর সামনে ঠাট্টা কয় উচিত নয়, নানবাবু : ;