পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૦૧૧ সেদিনও মনোজ এই গানটা আমার ঘরে বলে গেয়েছে। দেখলুম বন্ধুরাও চাওয়া-চাওমি করছে। ওকে থামিয়ে দেব কি-না ভাবছি। কিন্তু আর থামাতে হ’ল না। - "শ্রাবণ-ধন-গহন মোহে, গোপন তব চরণ ফেলে’ পৰ্য্যন্ত গেয়েই ও হঠাৎ এমন আচমকা থেমে গেল যে, মনে হ’ল যেন “নিশার মত নীরব কাকে চোখের সামনে স্পষ্ট. দেখতে পেয়েছে। বললুম, চলুক, চলুক। নিয়মের একটু ব্যতিক্রম হ'লেও গানটা ভালই লাগছে। অনুরোধে মনোজ দ্বিতীয়বার গানটা আরম্ভ করলে, কিন্তু ঠিক ঐ জায়গায় এসেই আবার আচমকা থেমে গেল। বিস্থিত হয়ে চেয়ে দেখি, গান থেমে গেছে, কিন্তু ওর চোখে এখনও সেই চঞ্চল দৃষ্টি, হঠাৎ ও ব্যস্তভাবে উঠে পড়ল এবং ভাঙা ভাঙা কতকগুলো শব্দ যোজনা করে বোঝাবার চেষ্টা করতে লাগল, ওর একটা বিশেষ কাজ আছে। ‘দেখুন, মানে আমি আর এখানে—মানে একটা ভয়ানক কাজ— হঠাৎ মনে পড়ল—নম্নানদা কিছু মনে করো না ইত্যাদি বলতে বলতে ও একেবারে মেসের বাইরে। আমরা অবাক হয়ে মুখ-চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলুম-ব্যাপার কি ? নয়ানবাবু শ্লেষের স্বরে বললেন,—ও ইডিয়টের কথা ছেড়ে দাও । এতদিনেও মানুষ হ’ল না। পুরণে একটা গান ধরে ফেলেছিস্ ফেলেছিল। তাতে এমন কি লজ্জার-কথা থাকৃতে পারে যে, একেবারে দৌড়ে পালাতে হবে । রাধামোহন একটু মুচকি হেসে বললে, আহা বেচারী বড়ই ইনোলেন্ট” । অত লার্তাস্ হয়ে গেল কেন বুঝলুম না। বোধ হয় তোর ঐ ছবির দিকে চেয়েই বেচারার মাথা ঘুরে গেছে। ঐদিকে চাইছিল দেখলুম। বিনয় হেসে উঠল,—জারে ক্ষেপেছ? শুধু ছবি দেখেই 'নাৰ্ভাগ । স্কুশল, রাগ করে না ভাই, কিন্তু মনোজও হয়ত তোমার ঐ ছবিরাণীর এক হতাশ-প্রণয়ী। নয়ানৰাৰু হেসে উঠলেন ; বললেন,—আপনারাও যেমন । প্রেমিক চেনেন না মশাই ? ঐ লাজুক-মুখচোরা ছেলে cयष कबाब ? बोक, बारब क्षी शढ़ । बकैनवांबूषक्रम । चांगद्र भाप्नब भद्र गङ उव इन। उषन ब्रांड नाज़ কেউই থাকে না বললে হয়। তার ওপর আবার রবিবার। এ সময়ট এ মেলের কোনও বোর্ডারের সঙ্গে কেউ যদি দেখা করতে চান, তাহলে এখানে না এলে মাঠ, সিনেমা, থিয়েটার বা শ্বশুরবাড়িতে जश्नकांन করলেই সফল হবার সম্ভাবনা । নানবাবু সভাভঙ্গের পরই দ্রুতগতিতে বেরিয়ে গেলেন। বাকি রইলুম শুধু আমি। মনে হ’ল, আউটরাম ঘাট ছাড়িয়ে । ট্র্যাণ্ডের ওপর সোজা খানিকটা বেড়িয়ে আসতে পারলে আরাম পাওয়া যাবে। কিন্তু বেরোবার আগে একটু টাটক হয়ে নেওয়া দরকার । 3 নেয়ে এসে বেশ ফ্রেশ বোধ হতে লাগল। ফল। একখানা কাপড় পরে, গায়ে ধপধপে একটা পাঞ্জাবী চড়িয়ে যখন আয়নার সামনে চুল আঁচড়াবার জন্যে দাঁড়ালুম, তখন বেশ একটু তৃপ্তিবোধ করলুম। এমন কি দেয়ালে-টাঙানো ছবিটার দিকে চেয়ে মনে মনে বললুম—তোমার সঙ্গে গুৰু আমার ঠাট্টারই সম্পর্ক, ছবিরাণী। কিন্তু সম্পর্কটা যদি সত্যি হত তাহলেও বিশেষ ঠকতে না । সত্যি কথা বলতে গেলে, ঐ ছবিরাণীকে উপলক্ষ্য ক’ৱে বন্ধুবান্ধবের কাছে দিনের পর দিন প্রেমিকের ভূমিকা অভিনয় । ক'রে এবং নিজের निङ्घङ কল্পনায় সকৌতুকে ওর কথা ভেবে ভেবে ওর ওপর যেন একটা মায়া পড়ে গেছে। দুপুরে যখন একলা থাকি, দোরটা বন্ধ করে দিয়ে এসে ছবিটার সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বলি,— তুমি কি কেবলি ছবি ? যখন উত্তর মেলে না, তখন বলি ছবি নও, তুমি ছবিরাণী। এারে এত কাও, অথচ এই ছবিরাণী বেচারী তার কিছুই জানতে পারছে না—কথাটা ভেবে ভারি মজা লাগল। গলা ছেড়ে ছেলে ফেলবার উপক্রম করছি, এমন সময় মনে হ’ল কে. যেন দোরের কাছে এসে দাড়িয়েছে। সেদিকে না চেয়েই চুলেতে চিরুণীর শেষ টান দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করলুম—কে । চেয়ে দেখি মনোজ, আর তার পাশে একটি মহিলা! . খুব আশ্চর্য হলুম না; কারণ আমাদের এই জনবিরঞ্জত মেসে মহিলার আবির্ভাব এই প্রখম নয়। ঐ কোশের াঞ্জ