পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 烹.* * sasa.g. · 凯 সময় আমি হো হে করে হেসে উঠলুম-দেখুন, ব্যাপারটাকে কমিডি করে তোলবার ঐ একমাত্র উপায়। জানি, আমার উত্তপ্ত রসিকতায় মনোজের গাম্ভীৰ্য্য বিগলিত হবেই। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিলে আমার আগেকার পরিচিত সেই লাজুক, অল্পভাষী, মধুরস্বভাব মনোজ। এমন কি, একটু ইতস্ততঃ করে ক্রমশ: ব’লে ফেললে,-কিছু মনে করবেন না স্বশীলবাবু।–হঠাৎ— তার কাধের ওপর একটা নাড়া দিয়ে তাঁকে থামিয়ে দিলুম। শেষ পৰ্য্যস্ত ওদের বাড়িতে চাষের নেমস্তক্স । ওরা যখন নীচে নেমে গেল, তখন আয়নার সামনে একবার না দাড়িয়ে পারলুম না –সেই পুরণে হাসি *if no on, One may smile and smile and be a villain—ঐ মুখের জোরটুকু ছিল স্বশীল মিত্তির, তাই এ ধাত্রায় তরে গেলে— ঐ স্থাৎ, ছবিটা যেখানে সেখানেই রয়ে গেল যে ! ধাবার সময় ওরাও ভুলে গেছে, আমারও খেয়াল নেই! চেম্বারের ওপর উঠে ছবিটা পাড়লুম ! হু, ছবির চেয়ে ছবিরাণী ঢের ভাল। ভারি কৌতুক বোধ হ’ল—এবার তাহলে আমি ছবি থেকে ছবিরাণীতে উত্তীর্ণ হলুম ? প্রথম আলাপ এই রকম রোমাটিকৃ তার ওপর আবার চায়ের নেমস্তয় । মেমোট ষে-রকম সপ্রতিভ, আলাপটা দেখছি ত্রুত গতিতে অগ্রসর হবে। এমন কি অজাণ মাসে হয়ত বন্ধু শৈলেনের সঙ্গে চটচটি না-ও হতে পারে! —ও, ছবিটা নামিয়েছেন ? . চম্কে দেখি ছবিরাণী । –কি স্কুল দেখুন ! আদত জিনিষটাই ফেলে গিয়েছি। দাদাকে গলির ষোড়ে দাড়াতে বলে আমি আবার 2. ' , భొజ్జ : ജ്ജിഞ്ച് নিষ্ট লে—ন, গঙ্গা না, কিন্তু এই রাত ন’টার গিয়েছে। মনোজ নিশ্চয় আসতে চেয়েছিল, ৰঞ্জি জোর করে এসেছে। . - .. ‘. . ছবিরাণী একটু যেন অপ্রতিভ হয়ে গেল, বললে,-গান্ধীয় ষ্টেশনরী দোকানে কি নিছে, তাই আমি এলুম।-- তারপর একটু হেলে,--“আপনার সঙ্গে একটু কথা আছে।’ —বলুন । —আচ্ছ, আপনি কি শুধু ঠাট্টার খাতিরে ছবিটা । টাঙিয়ে রেখেছিলেন ? - প্রশ্নটা কেমন যেন ভাল লাগল না, বললুমূ-ত্ব, তা ছাড়া আর কি ? - দেখি মুখ টিপে হাসছে। * - মনে মনে সন্দেহ হ'ল, ও যেন আমার কাছে একটা স্বীকারোক্তি চায়। তাতে ওর আর কিছুই দরকার নেই, শুধু একটু আত্মপ্রসাদ আর কৌতুক । - বললুম,--ছবিটা নিন। . . . . ; সে কথা কান না দিয়ে ও বলে বলল,—তাই যদি হবে, । তবে ছবির ওপর যুই ফুলের মালা কেন ? গম্ভীর গলায় বললুম,—জানি না, আজ সক্ষ্যেবেল অনেক বন্ধু এসেছিল। তাদের মধ্যে কেউ ঠাট্টা করে পরিয়ে দ্বিন্ধে. ও বলে ও ছবিটা নিলে। বোধ হ’ল যেন একটু নিরাশ হয়েছে। দয়া হ’ল। মনে মনে ওকে ক্ষমা করলুম। হাজার হোক কলেজের মেয়ে তো? একটু ভ্যানিটি থাকবেই। সে এমন কিছু দোষের কথা নয়। - হঠাৎ কখন ছোট টেবিলটার ওপর থেকে আমার চিন্তাধারখানা তুলে নিয়ে ও একনিমেষে একখানা পাতা বার করে আমার চোখের সামনে ধরলে,--আর এটা ? . দেখি কখন অস্তমনস্কভাবে পাতাটার ওপর থেকে নীচে পৰ্যন্ত ছোট ছোট অক্ষরে বোধ হয় পঞ্চাশ ৰার শুধু ছবিরাণী নামটাই লিখে গিয়েছে । ‘. . এর পর আমাকে আর কিছু বলবার অবসর না দিয়ে পড়ছে :