কোণার্কের মন্দির »ፋ সেখানকার তক্ষণ-কাৰ্য্য সময়ে সময়ে কোণার্ক অপেক্ষ অনেক উংকৃষ্ট বলিয়া মনে হয়। নারীদের কমনীয়ত, তাহদের সলঙ্গ পদক্ষেপ যেমন ভাবে সেখানে ফুটাছে উড়িষ্কায় হয়ত তাহার তুলনা হয় না। কিন্তু খাজুরাহোর পিছনে কোনও শিল্পীর বিরাট মনের পরিচয় পাওয়া যায় না। র্তাহাদের দক্ষত হয়ত বেশী, কিন্তু মন কোণার্কের মত বিশাল নহে। মন্দিরের রচনা-কৌশলে পদে পদে র্তাহাদের ভীরুতা ধরা পড়ে। মন্দির যেন উচ্চে উঠবার আকাঙ্ক্ষায় ভারাক্রান্ত। পদে পদে তাহার বাধিয়া যাইতেছে, কিছুতেই সে তাহার বিস্তারের শেষ যেন খুজিয়া পাইতেছে না। আত্মপ্রকাশের চেষ্টা মন্দিরের গঠনে এতই প্রকাশিত হইয়াছে যে তাহাতেই গঠনের অন্তনিহিত দৃঢ়তাকে অনেকখানি যেন ক্ষুণ্ণ করিয়া দিয়াছে। খজুৱাহোর মন্দিরে তরুণের উৰ্দ্ধে উঠবার ব্যাকুল চেষ্টা ফুটিয়া উঠিয়াছে বটে, কিন্তু কোণার্কের সেই বিপুল শক্তি, প্রশাস্ত মেঘগম্ভীর আত্মস্থ ভাব এখানে কোথায়? কোণার্কের শিল্পী সেই শক্তির বশে ভাল মন্দ সকল জিনিষকে একটি বিরাট ঐক্যের স্বত্রে যোজিত করিয়া দিয়াছেন। তাহারই মহিমায় সমস্ত মন্দির যেন উদ্ভাসিত হুইয়া আছে। আজও অসংখ্য ভগ্ন প্রস্তররাশির অন্তরালে থাকিয়, কত দিনের কত আঘাত সহিয়া কোণার্কের মন্দির সে যুগের যে জলন্ত চিত্রটি আমাদের সম্মুথে ধরিয়া রাখিয়াছে তাহার মহিম কীৰ্ত্তন করিয়া শেষ করা যায় না। রাত্রির অন্ধকারে, বাউনের মর্থরতানের সহিত কোণার্কের মন্দির ফেন আমাদের সমস্ত হৃদয়কে ধীরে ধীরে অধিকার করিয় লয়। বহুদিন পূৰ্ব্বে উড়িার একটি ক্ষুদ্র পল্লীতে একজন শিল্পীর সহিত আমার পরিচয় হইয়াছিল। দরিদ্র লোক, निद्र यह उँशत्र थडि क्हे नशन इ, उर् उिनि । তালপাতায় লেখা একখানি শিয়শাস্ত্র অতি সত্ত্বে কাঠের । সিংহাসনের উপর রাখিা দিয়াছেন। তিনি তাহ নিত্য পূজা করেন, ধূপধুনা দেন ফুলচন দিয়া অৰ্চনা করেন, কখনও তাহাকে অনাবগুকবোধে পরিত্যাগ করেন নাই। উহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “বন্ধু, সে যুগ ত আর নাই, তোমার আদর ত কেহু করিবে না; তবে কেন শুধুই পুরাতনের এই স্কৃতিটুকু ধারণ করিয়া রাথিয়াছ ?” শিল্পী উত্তর করিলেন, “আমাদের যুগে হাত কিছু হইবে না, কিন্তু দেখিবেন, আমাদের যাহারা সন্তান, তাহদের আবার আদর হইবে তাহার মানুষ হইবে, দেশ তাহদের পুনরায় মূল্য দিবে। নিজের জন্ত নয়, তাহদেরই জন্য এগুলিকে অজিও সযত্নে রাখিয়া দিয়াছি।” কথাটিতে অন্তরে বড় বল । পাইয়াছিলাম। বস্তুতঃ আজ হয়ত আমরা ইন ও অধঃপতিত হইয়াছি, কিন্তু তাই বলিয়৷ সেই দুঃখেই বদ্ধ হইয়া থাকিব কেন? যে প্রচণ্ড শক্তির বশে একদিন আমাদের দেশে কোণার্কের মত মন্দির রচিত হইয়াছিল, আবার হয়ত এমন দিন আদিবে যখন আমরা তাহার যথাযথ মর্যাদিতে পারিব। আজ ভারতের বহু দুঃখ-বেদনার অন্তরালে কি আমরা সেই শুভ ভবিষ্যতের অরুণ আলোক দেখিতে পাই Fil?
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।