পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্ষা করিয়া সেই আদর্শকে গ্রহণ করিবার চেষ্টা যে. তিনি করিয়াছেন—তিনি স্বয়ং একাধিক বার উল্লেখ করিয়াছেন। বাউলদের ভাবধারার সম্বন্ধে একটু জাভাস দেওৱা এখানে হয়ত অবাস্তর হইবে না। তথাকথিত শিক্ষা হইতে বঞ্চিত ও স্থলবিশেষে নিরক্ষর বাংলার বাউলদের গানে মানুষের মনের পরিকল্পনাটির আধুনিক মতের সহিত খুবই মিল আছে। বাহিরের জগতে ‘অর্গ্যানিজমের ধৰ্ম্মে বা জৈবধৰ্ম্মে মনোবৃত্তির আভাস তাহারা পাইয়াছেন। নিষ্ঠুর গরজী'র গরজে মানস মুকুল পীড়িত হয়, বিকশিত হয় ন—তাহাকে ফুটাইতে হইলে তাহার সহজ পথে বিঘ্ন ঘটাইলে চলিবে না। সেই ধীর প্রতীক্ষা চাই। তখন মানস মুকুল আপনি ফুটিয়া উঠে, তাহার বাস বিশ্বে ছড়াইয় পড়ে। সহজ পথের পথিক বলিয়া বাউলেরা নিজেদের “সহজিয়া” বলিয়াছেন। যে বিকাশে বিচিত্র মনোবৃত্তির সহজ সমন্বয় তাহাকেই ধৰ্ম্ম বলিয়াছেন । ইহাতে ইঞ্জিনিগ্ৰহ নাই, কৃচ্ছসাধন নাই-আছে নানা বৈষম্যের পরিসমাপ্তির গভীর আনন্দ । আধুনিক মনোবিজ্ঞান মনের পূর্ণ পরিণতির যে পথ নির্দেশ করে এই পথের সহিত তাহার বিশেষ অনৈক্য নাই । বিজ্ঞান ধীরপদক্ষেপে একাধিক শতাব্দীর বিচরণের যেখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে, কবি র্তাহার দিব্য দৃষ্টিতে ফলে সেই ক্ষেত্রের দিকেই নির্দেশ করিয়াছেন। পৃথক পথে তাহার একই তীর্থে আসিয়া পৌছিয়াছেন। ইউরোপে ও witufoto a fowl obel (The New Education Movement ) খুব বেশী দিনের ঘটনা নহে। সেখানে পুরাতন পৰী বা জ্ঞানগুৎস্থদের সহিত বিরুদ্ধতা আজও এৰল। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাক্ষেত্রে বোধ হয় সমাজমনের এই প্রবৃত্তির জন্ত বিশেষ আছুকুল্যতা পান নাই। এমন कि शशब्रा ऊँशब गशबडात्र बउँौ भन्नक cफ्रज অন্তরের অভ্যাসৰশে নিজের অগোচরে শিক্ষার আদর্শের गच्च नप्र, उषानि उांशत्र भ्रमर्ष कब्र झरेक्ष्ॐईश्वtä যাহাতে আমাদের স্বধী সমাজ বিচলিত হইতে পারেন। ও-দেশেও মনীষি-মনের উপর প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। আমেরিকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যাহারা নিজেদের অত্যন্ত আধুনিক বলিয়া গৰ্ব্ব করে, কার্যতঃ বেপ্রণালীতে শিক্ষার্থীদের গঠন করিতেছে তাহা স্বস্থ কি-না সে সম্বন্ধে পাশ্চাত্য চিন্তাশীল ব্যক্তিগণও সন্দিহান হইয়া উঠিতেছেন। স্বাধীনতার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা ও অতন্ত্রত, অভিজ্ঞতার অজুহাতে উত্তেজনার মাদকতায় মনৰে মত্ত করিয়া রাখা, সহজ হইবার জন্ত মানবের অদিম অবস্থায় প্রত্যাবৰ্ত্তন আত্মোপলব্ধির আড়ালে সঙ্কীর্ণ স্বার্থসিদ্ধি श्चाि নানা উপসর্গ আধুনিকতার দেহে দেখা দিয়াছে । হইবার কারণ হয়ত যথেষ্ট বর্তমান । কিন্তু যে পথে আমাদের ডাক আসিয়াছে, তাহ আধুনিক পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ বা অনুসরণ নহে। বহু শতাব্দীর সাধনার ফলে ভারতের চেষ্ট যে সকল সত্য উপলদ্ধি করিয়াছে সেই ভিত্তির উপরেই এই নৃতনের প্রতিষ্ঠা। পাশ্চাত্যের অভিজ্ঞতার ফল আমরা গ্রহণ করিতে পারি, কিন্তু আমাদের সমস্তার সমাধান সে দেশের সমাজের আদর্শে নহে। আজ আমরা যখন জীর্ণ পুরাতনের উপর আঘাত করিতেছি, তখন ধ্বংসের উন্মত্ততায় স্বটির আদর্শ ৰেন আমাদের মন হইতে লুপ্ত না হইয়া যায়। এ দেশে শিক্ষার ব্রজ যাহারা গ্রহণ করিয়াছেন, স্বষ্টির দায় তাহাঁদেরই। সঞ্চলের একান্ত সমবেত চেষ্টায় নীরস ক্ষেত্রগুলিকে সরস কৱিৰা তোলা অসম্ভব নহে। শিক্ষার কেন্দ্রগুলি ভাঙিয়া মৃত্তন করিয়া গড়িবার সামর্থ হয়ত আমাদের নাই—বাহিরের বাধাও বিস্তর। এবং আমাদের অধিকাংশই যে প্রণালীতে বৰ্জিত, নূতন পথে চলিবার প্রাণপণ প্রয়াস সত্ত্বেও, নিজের অগোচরে সেই চিরাভ্যন্ত পথেই মন নামিয়া আসে। নূতন আদর্শকে গ্রহণ করিবার সর্বাপেক্ষ কঠিন অভয়ায় আমাদেরই অন্তরেআমাদেরই জীর্ণ সংস্কার। - .