পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

зiчгin38 & • مهم". দেশের কাজে মনপ্রাণ উৎসর্গ করব, এই আমার সঙ্কল্প । আর আপনি যে ভালবাসার কথা বললেন, আমার তাতে কোন আস্থা নেই। আমার বিশ্বাস স্ত্রী পুরুষ-মানুষমাত্রেই কেবল নিজেকে ভালবাসে, অন্তকে যে ভালবাসার ভাণ করে সে নিজের জন্তেই। মানুষমাত্রেই স্থবিধাবাদী। আপন আপন স্বখশ্বচ্ছন্দতার জন্য স্ত্রী পুরুষ মিলিত হয়— একসঙ্গে বাস করে, সন্তানও হয়, আবার কোন কারণে অল্পবিধা হ’লে সে সম্বন্ধ ভেঙে যায় ; অন্ত দেশে আইনের বলে একদম পৃথক হয়ে যায়, আর আমাদের দেশে মনে মনে পৃথক হলেও ধর্শ্বের নামে বা সমাজের শাসনে একত্র থাকতে বাধ্য হয়। এরই নাম ত বিবাহ ?” কিশোর বলিল, “কিন্তু প্রেমের আকর্ষণ, প্রেমের বন্ধন কি কিছু নেই? নচেৎ একজনের জন্ত আর একজন প্রাণ পৰ্যন্ত দিতে প্রস্তুত হয় কেন ?” “প্রেমের আকর্ষণ কাকে বলেন ? সে ত রূপের আকর্ষণ। ফুলের লাল রং দেখে প্রজাপতি আকৃষ্ট হয়, ময়ূরের বিচিত্র বর্ণের লম্বা লেজ দেখে ময়ুরী জাকৃষ্ট হয়, সিংহের কেশর দেখে সিংহী আকৃষ্ট হয়—এ ত সারা বিশ্বে একই প্রকৃতির খেলা চলছে। আমার এই ফরসা রং দেখে রাস্তার লোকে ই ক’রে তাকিয়ে থাকে, আবার আপনিও একদিন মা’র রোগশয্যার পাশে বলে তাকিয়ে ছিলেন। এ ত ক্ষপের মোহ, মরুভূমিতে মৃগতৃষ্ণার স্কায় এই রূপের মোহেই সকলে স্কুলে আছে। এর মধ্যে প্রেম কোথায় ?” । “প্রেম কোথায় তা তুমি বুঝবে না। তোমার হৃদয় দেখছি একেবারে পাবাণ—“পাষাশে নাস্তি কর্দমঃ’—জামি যে তোমার মুখপানে তাকিয়ে ছিলাম, সে রাস্তার লোকের মত স্কপের নেশায় নয় ; মা যে আকর্ষণে র্তার কুংলিঙ ছেলের মুখ দেখেন ও মুখ পান সেই জাকর্ষণে । তুমি দেশ-বিদেশের কবির লেখা কত কাব্য উপন্যাস ত পড়েছ, তাতে প্রেমের মহিম কি "দেখ নাই ? আমাদের দেশের কোন স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা कि णका क्द्र নাই ? তোমাদের এ বাড়িতেও ত ক্ষকুমার ও প্রমীলার মধ্যে বিবাহের পর প্রেম কি প্রকারে জমে উঠেছে ‘ख७ चलं झे r” .. “দৰং কিছু কিছুক্ষরেছি ষ্ট্রৰি।” ' ंश्*ं चालः श्नः कांश्छि ఏం8ం বিলক্ষণ বুঝেছি। কিন্তু তুমি ধারকরা কতকগুলি মতবাদের আবর্জনা দিয়ে তোমার অন্তরকে ঢেকে রেখেছ, সেই সকল কার্টাবনের মধ্যে পড়ে তোমার হৃদয়ের স্বাভাবিক প্ৰেমকুহুম দল মেলতে পারছে না। পাথরের প্রাচীরের অন্তস্তলে প্রেমনিঝরিণী চাপা পড়ে আছে, প্রাচীর ভেঙে দিলে সে স্নিগ্ধ স্বশীতল রূপ ধারণ করে প্রবাহিত হবে। তুমি যে রূপের আকর্ষণের কথা বললে, জীবজগতে তারও আবগুকতা আছে। উদ্ভিদের ফুলসকল উজ্জল বর্ণদ্বারা পরাগরেণুবাহী পতঙ্গদের আকর্ষণ করে, নিম্ন প্রাণীদের মধ্যেও রূপের আকর্ষণে স্ত্রী-পুরুষ মিলিত হয়, কিন্তু স্বষ্টিরক্ষার কাজ শেষ হলেই সে আকর্ষণ আর থাকে না। মানুষের মধ্যেও রূপের আকর্ষণ স্ত্রী ও পুরুষকে মিলিত করে, কিন্তু পরে তা প্রেমের আকর্ষণে পরিণত হয়। মৃতরাং তুমি প্রেমকে একেবারে উড়িয়ে দিতে পার না।” - “কিন্তু *েমে পড়লে মানুষের স্বাধীনতা থাকে না, স্বতরাং প্রেম মনুষ্যত্বের অন্তরায় ।” “কেন স্বাধীনতা থাকবে না? কোন কোন বিষয়ে স্ত্রী যেরূপ স্বামীর অধীন, স্বামীও সেইরূপ অনেক বিষয়ে স্ত্রীর অধীন। উভয়ের দাম্পত্য প্রেম জন্মিলে উভয়ের মিলিত ইচ্ছায় সব কাজ সম্পন্ন হয়। তবে একত্র থাকতে গেলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে সময় সময় দুই জনের মধ্যে মতভেদ হয় বইকি ? এক বাড়িতে থাকৃলে সেইরূপ ভাই-বোনের মধ্যেও হয়, কিন্তু প্রেমের বলে সে পার্থক্য মিটে যায়। প্রেম মমুয্যত্ব লাভের অন্তরায় নয়, বরং সহায় । প্রেম স্বাৰ্থত্যাগ শিক্ষা দেয়, তাহা দ্বারাই মনুষ্যত্ব বিকাশ লাভ করে। - - “কিন্তু আমি ত দেখতে পাই, পুরুষ স্ত্রীকে বিয়ে করে এনে তাকে খাঁচার মধ্যে পোরে, তখন সে আর ইচ্ছামত কোথাও যেতে পারে ন—এমন কি, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও মিশতে পারে না। শঙ্করবাৰুত আপনার প্রাণের বন্ধু, অথচ সেই শঙ্করবাবু আমাকে স্কুলে নিয়ে যান বলে আপনার ঈর্ষা হয়েছিল, তবু ত আপনি আমাকে এখনও বিয়ে করেননি।” “বন্ধুত্ব ও দাম্পত্য প্রেমের মধ্যে অনেক পার্থক্য। ভিক্টর footwo-Two friends meet in rient t i. but two lovers mingle-on for बङ्गबस्तित्वश्,