পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লৰি । οι», জমে লেহুত্র ছিন্নও হতে পারে। কিন্তু দম্পতি প্লেমের স্বারা একে অন্তের সহিত মিশে যায়—যেমন দুই খণ্ড সোনা আগুনের তাপে গ'লে এক হয়, সেইরূপ ছুইটি হৃদয় প্রেমাগ্নিতে গ'লে এক হয়ে যায়। তখন আর তাদের পৃথক করা যায় না । এই প্রেমের ধর্শ আত্মসমর্পণ । সেইজন্ত ইহা প্রেমাম্পদকে অঙ্কের সঙ্গে ভাগাভাগি ক’রে নিতে চায় না । আমি যাকে আত্মসমপণ করেছি, সে কেন অন্যের হবে, এরূপ ভাব ত স্বাভাবিক। একে তোমরা ঈর্ষা, হিংস, জেলাসি (jealousy) বল আর যাই বল, এ-প্রকৃতি নিন্দনীয় নয়। তার পর, বিয়ে হ’লে স্ত্রীর স্বাধীনতা ত অনেকটা খৰ্ব্ব হবেই, গার্হস্থ্যধৰ্ম্ম পালন করতে হলে স্বেচ্ছাচার চলে না। তবে আমাদের সমাজে যতটা কড়াকড়ি আছে, ততটা না-থাকাই উচিত। আমরা আধুনিক শিক্ষিত সম্প্রদায় ইচ্ছা করলে তা শিথিল করতে পারি—অনেক পরিবারে কোন কোন স্থানে শিথিল হয়েছেও ” “ষে-বিবাহ দ্বার নারীর স্বাধীনতা খৰ্ব্ব হয়, নারী তার জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, আমি তার আবগুকত স্বীকার করি না।” “স্ত্রী ও পুরুষ লাইকু দি টু পোল্স্ অব এ ম্যাপ্লেট এক খণ্ড চুম্বকের দুইটি বিপরীত প্রবের ন্যায়) পরস্পর পরম্পরকে আকর্ষণ করবেই। ইহাই স্বভাবের নিয়ম বিবাহ না হ’লেও তারা মিলিত না হয়ে থাকতে পারে না । সেই জন্যে বনের পশু ও অসভ্য বৰ্ব্বর মানুষ ভিন্ন সকল সময়ের সকল মানুষই সমাজের মঙ্গলের জন্তে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে এসেছে। তোমার নারী-প্রগতির অর্থ কি তবে মানুষের বর্বরতা ও পশুত্বে ফিরে যাওয়া ? আর স্বাধীনতা তুমি কাকে ব’ল । এ-সংসারে বাস করে কোনে। মানুষই যার যা ইচ্ছা সে তা কখনও করতে পারে না। স্বতরাং পুরুষ বল, স্ত্রীলোক বল, কারও প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা নেই এই ষে তুমি ভবানীপুরে মেয়েদের স্কুলে সামান্য একটা চাকরি নিয়েছ, সেখানে তোমাকে হেড মিষ্ট্রেসের ভয়ে কত সন্ত্রস্ত হয়ে চলতে হয়। এইরূপে সংসারে আমাদের প্রত্যেক কাজে, যেস্থানে জন্তের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ রেখে চলতে হয়, ¢नभ:महे थrछब हेऋ शब्रा बामानब्र चाशैनउ धर्फ न शत्र খতে পারেন। পারিবারিক জীবনেও সেই কথা। বিবাহ স্নায়লেই তুমি গ্রন্থ বিষয়ে স্বাধীন ভাবে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করবে, তা কখনও মনে করে না। বেলাই স্বাধীনতা গেলবল কেন ? . . . “কিন্তু বিবাহ করলে নারীকে পুরুষের হাতে লাল ভোগ করতে হয়, সকল পুরুষ ত সমান নয়।” “আমার মতে বিবাহ না করলেই বরং নারীকে নানা লোকের হাতে অনেক বেশী লাঞ্ছনা ভোগ ও অপমান সৰ . করতে হয়। স্বামী নারীকে সেই সকল লানা ও অপমান থেকে রক্ষা করে । বিবাহিত নারীকে লোকে সন্মান না করে থাকতে পারে না ।” • . “কিন্তু স্বামীর হাতের লাঞ্ছনা থেকে তাকে কে রক্ষা করৰে ?” “希 “স্বামীর হাতের লাঞ্ছনা খুব কম স্ত্রীলোকই ভোগ করেন, যিনি করেন সেটা তার ভাগ্যের দোষ, তার কৰ্ম্মফল। তা বাস্তব জীবনে হাজারের মধ্যেও একটি মেলে কিনা সন্দেহ। এগুলি সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম। একটি যুবক বি-এ পাস করেও কোন প্রকারে টাকা রোজগার করতে না পেরে মনের দুঃখে আত্মহত্যা করেছিল, তাই বলে কি আর সব ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া ছেড়ে দেবে ?” আমি এই তর্কের অবসান করিবার জন্য সব শেষে বলিলাম, “দিবাকর শর্শ্ব যে একজন ঘোর তার্কিক, তা আমি পূৰ্ব্বেই জেনেছি। এখন আপনার নিজের কথা বলুন। আপনি এখন কি করবেন ?” কিশোর বলিল, “আমি এখন দেশে যাব, মাকে অনেক দিন দেখি নাই। তার পর, দাদা এখানে এসেছিলেন, তার সঙ্গে পরামর্শ করে আমার ভবিস্তুতের কৰ্ত্তব্য স্থির করতে হবে। তোমাকে অনেক জালাতন করলাম, কিছু মনে করে। না, নীরু। আমি যে কথাগুলি বললাম, এগুলি আমার অন্তরের কথা, তুমি এগুলি একটু ভেবে দেখো।" আমি বলিলাম, “আবার কলকাতায় এলে এখানে আসবেন ।” কিশোর বলিল, “তা বলতে পারি নে। হয়ত তোমার সঙ্গে এ জীবনে আর দেখা না-ও হতে পারে। তবে এখন আসি।” এই বলিয়া কিশোর ছলছল নেজে উঠা ধাড়াইল এবং একবার করুশ বৃষ্টিতে আমার পানে তাকাইয়া অঙ্গ গোপন ऊटष ५े विशांश्काः