পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ w8లి. হাবভাব নিশ্চয়ই অন্তের লক্ষের বিষয় হয়েছিল। কি আশ্চৰ্য । আপনি এ রকম লোক ?” শঙ্করও উত্তেজিত হইয়া বলিল, “নীরু দেবী, রাগ করবেন না। আপনি আমার চিত্তের অবস্থা বুঝবেন না। আপনি আমার চিত্তে যে কিরূপ মোং বিস্তার করেছেন তা আমার অন্তর্যামাই জানেন। আপনি আমার প্রতি দয়া করুন। নীরু, তুমি আমাকে পরিত্যাগ করে না। তোমার বিচ্ছেদ আমি কিছুতেই সহ করতে পারব না, আমি তোমার কাছে আত্মসমপণ করছি।” এই বলিয়া শঙ্কর আমার পদতলে বসিয়া পড়িল ও সতৃষ্ণ নয়নে আমার মুখের পানে চাহিয়া রহিল । আমি বলিলাম, “শঙ্করবাবু, আপনি যে মোহে অভিভূত হয়েছেন, তার নাম লালসা। আপনার ঐ কামদৃষ্টি আমার প্রতি নিক্ষেপ করে আমাকে আর কলুষিত করবেন না। আমি এত দিনে আপনার প্রকৃত চরিত্র বুঝতে পারলুম। আপনি উঠুন।” এই সময়ে দাদ। হঠাৎ ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া পড়িল এবং শঙ্করকে তদবস্থায় দেখিয়া ও আমার শেষ কথাগুলি শুনিয়া কিছুক্ষণ দাড়াইয়া রহিল, পরে ঈষৎ হাস্ত করিয়া বলিল, “তোমাদের এ কি অভিনয় হচ্ছে ? চমৎকার Tableux Wivant (তাবলে ভিভf )”

  • এই কথা শুনিয়া আমি সবেগে ঘরের বাহিরে চলিয়া

গেলাম । ون শঙ্করের সহিত আমার যে ব্যাপার হইয়াছে, তাহা আমি দাদাকে মুখে কিছু না বলিলেও দাদা তাহ মনে মনে বুঝিল । আমি ভবানীপুরের স্কুলের চাকরি ছাড়িয়া দিয়াছি ধাদাকে যখন এ কথা বলিলাম, তখন দাদা বলিল, “আমি ত আগেই তোকে বলেছিলাম যে তোর চাকরি করা পোষাবে না। শঙ্কয় যে কেন তোকে গরজ করে এই চাকরিতে ঢুকিয়েছিল, এখন ত তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।” আমি বলিলাম, “দা, স্থা হয়ে গেছে তার আর আলোচনা না করাই ভাল। আমি কিন্তু নিষ্কর্য হয়ে বসে থাকত্বে পারব না। তুমি আর একটা কাজ দেখ " যা মুখ ভাৱ করিয়া বলিল, “দেখা যাবে।" | একদিন বৈকালে বেথুন কলেজের আমার দুইটি সর্থী অরুণ সেন ও স্বলেখা চাটুজ্যে আমার সঙ্গে দেখা, করিতে আপিল । আমি তাহাদিগকে দেখিয়া বলিলাম— “কি রে, আমার উপর আজ তোদের বড় অনুগ্রহ দেখছি। এতদিন পরে বুঝি মনে পড়ল।" অরুণা বলিল, “তুই কি বাড়ি থাকিস্, আর তুই কি এখন আমাদের দলে আছিস ? তুই হচ্ছিস্ মস্ত একজন টীচার,-আমাদের মত কত মেয়েকে বেত হাতে তাড় করিস।” আমি বলিলাম, “আমি সে কাজ ছেড়ে দিয়েছি।” স্কলেখা বলিল, “কেন, এত শীঘ্রই চাকরির আশ মিটলো ?” - আমি বলিলাম, “সে অনেক কথা ভাই,—সেখানকার হেড মিষ্ট্রেসের সঙ্গে আমার বনিবনাও হ’ল না।” * অরুণা বলিল, “আবার বি-এ পড় না ; বি-এ পরীক্ষা দে, পরে চাকরি করিসূ ।” আমি বলিলাম, "কেন, আমার ত নাম কাটা গেছে— তোদেরও ত নাম কাট। যাবে প্রিনসিপ্যাল বলেছিলেন।" . অরুণ বলিল, “নাম এখন পৰ্য্যস্ত কারও কাটা ষায় নি । প্রিনসিপ্যাল আমাদের সকলের নামে রিপোর্ট করেছিলেন, তার উত্তর এসেছিল-মেয়েদের এই প্রথম অপরাধ, তারা ঘদি ক্ষমা প্রার্থনা করে আর ভবিষ্যতে কোন পোলিটিক্যাল ডিমনষ্ট্রেগুনে ( রাজনৈতিক আন্দোলনে) যোগ দেবে না বলে আওরিটেকিং (কড়ার) দেয় তবে তাদের এবার কণ্ডোন ( ক্ষমা ) করা যাবে। আমরা সেই রকম প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করেছি। তুইও ত করতে পারিল ?” আমি বলিলাম, “না ভাই, আমি যে তোদের দলের সর্দার, আমি সেরূপ করলে একটা ব্যাড-এগ জাম্পল সেট করা (মন্দ দৃষ্টান্ত দেখান) হবে, সেটা দেশের পক্ষে ভবিষ্যতে মঙ্গলের কথা নয়। জামি কলেজ ছেড়েছি ত একেবারেই ছেড়েছি। আর তোরা জানিনে ভাই, কিশোর কোর্টে সাজ পেয়েছে বলে তাকে আর মেডিক্যাল কলেজে পড়তে দেবে না।" মুখ নিন ৰেঞ্চ