পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo(to ੋ। কলে, মাস কাবারেই দিয়ে দেব। ফল ফলতেও বেণী দেরি হল না। রমেন নিজের অক্ষমতা জানিয়ে সংসারের টানাটানি, জয়ধ-বিমুখ প্রভৃতি কান্থনি গাইতে গাইতে হঠাৎ একটা ছুতা করে চলে গেল। নিজের বুদ্ধিকে একটু তারিফ দিয়ে অজিত কাজে মন দিলে। . २ দুপুরে ঘণ্টা দুয়েক মাত্র ঘুমানো ছাড়া বাকি সমস্তটা দিনই অজিত তার প্রসাধন-কাব্যের উদ্যোগপর্কে কাটিয়েছে । , জামাটা কেচেই শুধু সে ক্ষাস্ত হয় নি। একটা ঘটার মধ্যে কাঠকয়লার আগুন পুরে সেটা সে আবার ইন্ত্রি করেছে। কাপড়খানার পাট খুলতে এক জায়গায় খানিকট ছেড়া বেরিয়ে পড়ে, সেটুকু ঢাকবার জন্তে অতি সন্তপণে আবার সেটা কোচাতে হয়েছে। সবচেয়ে মুস্কিলে পড়েছিল সে জুতা নিয়ে। ধে-জোড়া পরে সে আপিলে যায় সেটা একেবারে ছিড়ে না গেলেও উপরকার চামড়াটার এমনি শোচনীয় অবস্থা হয়েছে ষে, এককালে তার রংটা কি ছিল তা অনুমান করা কঠিন। নিমন্ত্রণের পোষাকের সঙ্গে জুতাজোড়া ঠিক খাপ খায় না ব'লে অজিত আর এক জোড়ার সন্ধান করতে লাগল তার পুরাণে জুতাগুলার মধ্যে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সিন্ধুকের পিছন থেকে একপাটি আর একপাটি বেরুলো কয়লার ঝুড়ি থেকে । কিন্তু পায়ে দিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে অজিত হুতাশ হয়ে পড়লে-দুপাটিই বঁ-পায়ের। অগত্যা জাগের জোড়ারই জীর্ণ সংস্কার করে নিতে হ’ল । আগে দোয়াতের কালিটুকু নিঃশেষে লাগিয়ে শুকিয়ে নিয়ে তার পর পালিস মাখিয়ে যখন শেষ করলে তখন জুতাজোড়ার চেহারার বাস্তবিকই অনেক উন্নতি হয়েছে । সন্ধ্যা হ’তে সাজগোজ সেরে অজিত আয়নার সামনে । এসে লড়াল। বারে বারে পরীক্ষা করে দেখলে প্রসাধনে কোথাও খুৎ থেকে পিছে কি-না। পাঞ্জাবীর ভাজটা হাত দ্বিয়ে স্থ-বার লম্বান করে নিলে। কপালটা অনাবশ্বক „RESPIG" SనO{BO রগড়ে রগড়ে লাল ক'রে ফেললে । তার পর নিজের স্বাত ছায়ার প্রতি খানিক ক্ষণ একদৃষ্টি তাকাতে তাকাতে হঠাৎ একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে সে বেরিয়ে পড়ল । وc\ ভবানীপুরে বন্ধুর বাড়ির সামনে এর মধ্যেই অনেকগুলী ঘোড়ার গাড়ী ও মোটর জমা হয়েছে । অজিতও বাস থেকে নেমে আট আনা দিয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে এসেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সে ষে মোটরে এসেছে এটা দেখবার জন্তে দ্বারের কাছে সে-সময় কেউ উপস্থিত ছিল না । ভিতরে হলের মধ্যে যেতেই বন্ধুকে দেখতে পেলে । সে নিজে যে এক জন বিশিষ্ট অতিথি একথা অপর সকলকে জানিয়ে দেবার জন্তে বেশ একটু উচু গলাতেই বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাস্বচক আলাপ আরম্ভ কবুলে। কিন্তু বেশীদূর অগ্রসর হতে পারলে না। ঠিক সেই সময়েই কয়েক জন নৃতন অভ্যাগত এসে পড়াতে তাদের অভ্যর্থনার জন্তে বন্ধু তাকে বসতে বলে দরজার দিকে এগিয়ে গেল । - অজিত একটা কোচের উপর এসে বসল। বেশ সাজিয়েছে চারদিকে ! বড় বড় অয়েল পেণ্টিং, আয়না, ঝাড় লণ্ঠন, রেশমী পরদা ফুলের মালাতে ঘরখানি একেবারে ইন্দ্রসভা করে ফেলেছে। ঘরের মধ্যে ছোট ছোট এক একট দল বসেছে। সকলেই খুব প্রফুল্প ভাবে গল্পগুজব হাসি তামাশা করছে।. সকলেরই এক একটা দল আছে, কেবল অজিতই একা । ঘরভরা লোক কিন্তু ওদের মধ্যে কেউই তার পরিচিত নয়। এত যে উৎসবমুখরত, এত ষে আনন্দের উচ্ছ্বাস তা ওকে কেন যেন স্পৰ্শই করতে পারছে না। বন্ধু মাঝে মাঝে এদিকে আসছে বটে, কিন্তু সব সময়েই সে এত ব্যস্ত ষে, তাকে দাড় করিয়ে এক মিনিটও কথা কইবার উপায় নেই। চুপ করে বলে থাতে থাকৃতে অজিত অতিষ্ঠ হয়ে উঠল। দেওয়ালের গায়ে একখানা ছবির দিকে নিতান্ত মনোযোগের ভাণ করে সে একাষ্টে তাকিয়ে রইল। ধেন চিত্র সম্বন্ধে সে কতই অভিজ্ঞ। কিন্তু কাহাতক আর একদিকে