পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের অর্থনজম্যাও কলকারখানা 冯翰。 জীবিকা গিয়াছে, তাহার বেকার হইয়া হয় কৃষিকাজ ধরিয়াছে না-হয় অন্ত বৃত্তি অবলম্বন করিতেছে । তাহাতে কৃষি ও অন্ত কাজে দারুণ প্রতিযোগিতা আসিয়া জগতে দুঃখ বাড়িয়াছে বই কমে নাই। সকল ক্ষেত্রেই কলের দ্বারা বেকারের সংখ্যাই ক্রমাগত বাড়িয়া চলিয়াছে। এমন কি, যেখানে কৃষিকাজেও কলের প্রবর্তন হইয়াছে, সেখানে কৃষককেও বেকার করিয়া তুলিতেছে। কলের মোটর লাঙ্গল, শস্তকাট কল, রোপণের কল প্রভৃতির সাহায্যে যাহ করা সম্ভব তাহাতে একজন কৃষক সামান্ত জনকতক মজুরের সাহায্যে এত শত জন কৃষকের উপযুক্ত জমি চাষ আবাদ করিয়া সম্পন্ন হইতে পারে। সহজে বেশী উৎপন্ন হুইবার সুবিধা যেমন একদিকে হইয়াছে, অন্যদিকে বেকারের সংখ্যা দ্রুত বাড়িতেছে। এখন এই বেকার-সমস্তাই বৰ্ত্তমান যুগে প্রধান সমস্ত হইয়া দাড়াইয়াছে। তারপর, যাহারা কল আঁকড়াইয়া পড়িয়া আছে এবং কলের কাজেই গতর থাটাইতেছে তাহদেরই বা কি দশ ! শুধু মুষ্টিমেয় জনকতক মালিক, ডিরেক্টর, ম্যানেজার বিপুল সম্পদের অধিকারী হইতেছেন, কিন্তু যাহাঁদের সাহায্যে কল খাটাইয় তাহাদের বিপুল সম্পদ স্বষ্টি হইতেছে তাহারা কি দুর্দশায় আছে তাহা একবার কুলিবস্তীগুলির দশ যাহারা দেখিয়াছেন তাহারাই জানেন । পরিশ্রমী মাকুষের যে এত দুঃখ হইতে পারে তাহা কে জানিত ? স্বামি-স্ত্রী পরিশ্রম করিয়া যাহা উপায় করে তাহতে দুঃখে কষ্টে কোনরূপে চলে, কিন্তু যখনই কেহ অনুখে পড়ে কি মারা যায়, তখন তাহার স্ত্রীপুত্রের দুঃখ অবর্ণনীয়। কারণে অকারণে সামান্ত দোষ্ট্রে কি মানবের অল্প বিরাগের কারণ ঘটিলেই তাহার কাজটি যাইবে ; ছেলেমেয়ে লইয়া কোথায় যাইবে এই আশঙ্ক তাহাকে সতত মানুষের অধম করিয়া রাখিয়াছে। এই দুর্দশার দৃগু চোখে দেখিলে আর কলের দ্বারা কোন কল্যাণ হুইবে এমন আশাই মনে আসে না। ধৰ্ম্মঘট কখন ইহার প্রতিকার করিতে পারে না। পধ্যাপ্ত বেতনের দাবি করিয়া এবং কাজের সময় কমাইবার দাবি করিয়া ধৰ্ম্মঘট করিলে অনেক সময় ধর্মঘটকারী ফেলিতে বাধ্য হইতে হয়, কারণ কারখানার কারা অনেক লাভ খাইয়া অনেক টাকা জমাইয়াছেন, জমেৰু দিন কল বন্ধ রাখিয়া তাহারা যে ক্ষতি সন্থ করিতে পারেন, ‘নি আনে দিন খায় যেসব মজুর তাহাদের পক্ষে তাহ नखद नघ्न । उषांब्र वझेि बी अंभिकग्रं८थंद्र खग्न श्झेब्र বেতনবৃদ্ধির একটা রফা হয় তবে সেই বেশী টাকার দায় কারখানার মালিকরা উৎপন্ন জিনিষের দাম বাড়াইয়া সাধারণের উপর ( indirect tax) চাপাইয়া দিবেন। ইহাতে মজুরদেরও প্রয়োজনীয় জিনিষ বেশী দামে কিনিতে হওয়ায় মজুরী বেণী পাওয়ায় তাহদের অবস্থার প্রকৃত উন্নতি । হয় না। ধৰ্ম্মঘটের ফলে কৰ্ত্তাদের বিপুল সম্পদ বাড়াইবার কোন অন্তরায় হয় না, শুধু সাধারণের ভাগ্যে ক্ষতি আসিয়া জুটে । মাঝে মাঝে দায়ে পড়িয়া বেতনবৃদ্ধি বা সামান্ত দুই একটা বিষয়ে বা সুবিধা দিয়া মানুষে-মানুষের মধ্যে এই নিদারুশ বৈষম্য কখন দূর করা যাইবে না। চাই আমূল পরিবর্তন। .. রুষ দেশ এক আমূল পরিবর্তনই ঘটাইয়াছে। অৰস্থার বৈষম্য যাহাতে মানুষের কষ্টের কারণ না হয়, সকলেই ধাহাতে এই বিপুল ধন উৎপাদনের ক্ষেত্র কলকারখানার সমৃদ্ধি ঠিকমত ভোগ করিতে পায় এজন্ত সেখানে সমস্ত কলকারখানাকে সাধারণের সম্পত্তি করিয়া ষ্টেটের সাহায্যে চালাইতেছে। এ যেন সকল দেশ এক যৌথ পরিবারভুক্ত ; সমাজ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি সকলের কল্যাণ এক বিরাট কেন্দ্র হইতে সমস্ত বলি দেশের প্রতিনিধিগণ নিয়ন্ত্রণ করিতেছেন। এমন ব্যবস্থা রাখা হইয়াছে যে, মুষ্টিমেয় লোকের হাতে সাধারণের স্বখন্থবিধ দেওয়া আর সম্ভব নয়। সেখানে নাকি কাজ বেশ ভালই হইতেছে, শুনিতেছি অন্ত দেশের তুলনায় সেই দেশের লোক কল্যাণের পথে দ্রুত আগাইয়া চলিয়াছে। আমাদের দেশে মনীষী নেতা স্বৰ্গীয় মতিলাল নেহেরু, পণ্ডিত জবাহরলাল নেহেরু, এবং বরেণ্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ রুষদেশে গিয়া সমস্ত দেখিয়া আসিয়াছেন । তাহারাও বলেন, ফল ভালই হইতেছে। জগদ্বিখ্যাত বিরাট কারখানার প্রতিষ্ঠাতা এবং শ্রেষ্ঠ ধনী হেনরী ফোর্ড অন্ত উপায়ে উভয় দিক বজায় রাখিয়া এইরূপ আমূল পরিবর্তন না ঘটাইয়াও এই সৰস্তার হার: