পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ প্রমিককে তাহার উপযুক্ত অংশ যতদূর সম্ভব বেশী বেতন ও লাভের অংশ দিতে হইবে (ইহাকে ফোর্ড “wage motive” বলেন ), ইহাতে কারখানার শ্রমিকগণকেও প্রাণপণে ভাল ও বেশী উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করিবে। নতুবা স্বফল হ্রাশ। কৃষকের কল্যাণও উদারচেতা কৰ্ম্ম ফোর্ডের দৃষ্টি এড়ায় নাই। তিনি দেখিলেন কলকারখানা অনেক আগাইয়া গিয়াছে আর কৃষি তাহার পুরাতন সংস্কার লইয়া এখনও বহু পিছনে পড়িয়া আছে—তাই মৃদুর কৃষিক্ষেত্র হইতে লোক কারখানায় না টানিয়া যাহাতে কারখানার ছোট ছোট অংশ শহর হইতে গ্রামে দূরে দূরে বসাইয়া কৃষককেও মাঠের কাজের সঙ্গে তাহার অবসর সময়ে কারখানার কাজের সুবিধা দেওয়া হয় সেই চেষ্টা করিয়াছেন । অনেকে মনে করেন, কল ও কৃষি আলাদা রকমের কাজ, পরস্পরে মিল নাই। কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহার বেশ খাপ খায়— ক্লষিকাজের এক এক সময় কাজকৰ্ম্ম থাকে না, আবার কলকারখানার এক এক সময় মন্দ চলে। যদি দুইটি পরস্পর সহযোগিতার ক্ষেত্র পায় তাহাতে সকলের পক্ষে সস্তায় খাদ্যদ্রব্য এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিষ উৎপন্ন হইতে পরিবে । সমগ্র মানবের কল্যাণের প্রেরণা জাগিয়াছে কৰ্ম্ম ফোর্ডএর অন্তরে। আমরা প্রতি মানবকে জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বযোগ দিতে চাই যে স্বযোগের সাহায্যে মানুষ র্বাচিম মুখ পাইবে । রুষিয়ার বলসেভিক কৰ্ম্মীদের কাজ এবং হেনরী ফোর্ডের মত উদারভৃষ্টিসম্পন্ন কৰ্ম্মীর কাজ দেখিয়া আশা হয় যে, কলকারখানার মধ্যে মানুষের যে কল্যাণ নিহিত আছে তাহার ফুরণ একদিন হইবে। যেদিক দিয়াই দেখি প্রকৃত কল্যাণ ফুটাইতে ইলেমানুষকে হীন স্বার্থ ছাড়িয়া সমগ্রেব মঙ্গল দেখিতে শিখিতে হইবে। নতুব যাহা হইবে কল্যাণের আকর, যাহার সাহায্যে গড়িয়া উঠিবে লক্ষ্মী, ঐসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানবসমাজতাহাই স্বার্থপর অস্কর-স্বভাব লোকের হাতে হইয়া দাড়াইতেছে বিরোধ, বৈষম্য ও দুঃখের মূল। মানুষ নীচের বৃত্তি হইতে মুক্ত হইয়া সত্যকার দৃষ্টিতে জগৎ দেখিতে শিখিলে তাহার অর্থসমস্ত ও বৈষম্যের সমাধান হইবে। মানুষ শক্তির দর্শন পাইয়াছে, কিন্তু সত্যের দর্শন এখনও পায় নাই। তাই শক্তিকে পাইয়াও তাহার প্রকৃত কল্যাণ হয় নাই। যেদিন ‘লে গঞ্জের দর্শন পাইবে, সেদিন হইতে শক্তিকে প্রকৃত আমাদের অর্থসমস্যা ও কলকারখানা ૭ઠ્ઠ মঙ্গলের পথে চালাইভে পরিবে। আর পরিমিত পরিশ্রমে জগতের সকল লোকেরই তখন মুখে-স্বচ্ছদে খাওয়া পরা ও বাসের ব্যবস্থা হইবে। সত্যের অনুশীলনে সৌন্দৰ্য্য শক্তি ও আনন্দে-ভরা এক নূতন যুগ আদিবে। তাই কলকারখানার ভিতরের প্রকৃত মঙ্গলকে ফুটাইতে হইলে মানুষকে প্রথমে সত্য দৃষ্টি লাভ করিতে হইবে । * বর্তমানে - কলকারখান যে ক্রমাগত বেকারসমস্ত বাড়াইতেছে তাহারও কারণ সত্যদৃষ্টিহীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থ। জগতের প্রত্যেক লোকে স্বশিক্ষিত করিতে হইলে, প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্ঘ্য পূর্ণ আৰাল নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা করিতে হইলে, সকলের আনন্দবিধানের ক্ষেত্র ফুটাইতে হইলে, কলাবিদ্যা ও স্থাপত্যের দেশমন্ত্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন করিতে হইলে কত কত লোকের কি" বিপুল বিরাট কাজ পড়িয়া আছে তারা ভাবিয়া উঠা বাৰ না। জগতে কাজের ক্ষেত্র অপরিসীম, অথচ মানুষ ব্যবস্থার দোষে, দৃষ্টিহীনতায় বেকার হইয়া পড়িতেছে। এখানে সমস্ত হইতেছে সমগ্রের। সত্যদৃষ্টি রাষ্ট্র ও সমাজের মনে পৃথিবীকে স্বৰ্গরাজ্যে পরিণত করিবার যে প্রেরণা আনিবে তাহাতে কাজের ক্ষেত্র ও পরিসর এত বাড়িবে যে বেকারসমস্তার কথা তখন উঠতেই পারে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রকৃতি প্রতিভা ও অস্তরের স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত প্রেরণা মত কাজের ক্ষেত্ৰ পাইবে এবং কৰ্ম্ম তখন প্রাণে স্বাক্টর নিবিড় আনন্দ ও শক্তি জাগাইবে । হেনরী ফোর্ডের কথায় আবার বলি-- The function of the machine is to liberate man from brute burdens and release his energies to the building of his intellectual and spiritual powers for conquests in the fields of thought and higher action. अर्गी९-कळीब्र नाबोब्रिक शब्रिअभद्र उत्ठांब श्रेष्ठ श्रृङ कहिता কলকারখানা মামুষের মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও ཧན་ཧྥུ་ཥའཡག་སྟག་ལྷ།ཨ་མ་ས་ཆ་ཐ་ཨ་ཡིག་ཀ་པ་ཙམ་ཐ་ད་ལ་སྣའི་ཅོ་ཝ་ एु । কলকারখানা মানুষকে বেকার করে নাই, কলকারখানা জগতে যে মূক্তন কল্যাণের যুগের স্বচনা করিবে মানুষ তাহাকে ধরিতে ও বুঝিতে না পারিয়াই বেকার হুইয়াছে। গতান্থগতিক চিন্তার ধারা ও কাজের ধারা বদলাইয়া নূতন চোখে ।