পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগিয়া গেছিল 'এৰুি বাস্তব ব্যাপার, না সেও স্বপ্ন দেখিতেছে ? কে এই দময়ন্তীরূপিণী রণি, কোন ভাবেভোল কবির উদেশে এই লিপিক-দূতীকে প্রেরণ করল ? সে কেমন? কোথায় থাকে সে ? শিশির এক নিমেষে ইট কাঠের তুচ্ছ অন্ধকার বাড়িখানা হইতে উড়িয়া কোন এক অপরূপ রোমান্সের রাজ্যে গিয় উপস্থিত হইল। সেখানে রাজপুত্র রাজকন্যার ছড়াছড়ি। দৈত্যপুরীর লৌহপ্রাচীর সেখানে প্রেমিকের অন্ত্রাঘাতে নিতাই ধূলা গুড়াইম যাইতেছে, বন্দিনী রাজকন্তার গাথা ফুলের মাল খসিয়া আসিয় পড়িতেছে বিজয়ী বীরের গলায়। কিন্তু হায়রে কল্পনার পথ ধরিয়া এত শীঘ্র সে যেখানে পৌছিতে পারিল, বাস্তব জগতে সেখানকার পথ সে খুজিয়া বাহির করিবে কেমন করিয়া ? তাহার ধ্যান ভাঙিল নীচে হইতে মায়ের এবং বামুনঠাকরুণের সমবেত চীংকারে। মা হাক দিতেছেন, “হ্যারে বেল কি হয়নি ? কখন চান করবি, কখন খেতে বসবি ? ভোর আপিস আজ নেই নাকি? । বামুন-ঠাকরণ চেচাইতেছে, “ও দাদাবাবু, ভাত যে ঠাও। হয়ে গেল ? এর পর আবার গরম করে আনতে বলবে নাকি বাপু ? সেই তখন থেকে মাছি বলার ভয়ে থাল আগলে বলে আছি।” ভিতর বন্ধ করিয়া স্নান করিতে নামিয়া গেল । অন্যদিন স্নান করিতে ভাঞ্ছার আধ ঘণ্টার উপর কাটিখা যায় । আজ পাচ মিনিটের মধ্যেই মাথা মুছিতে মূছিতে সে বাহির হইয়া আসিল । কাপড় পরিয়া আলিয়া অতি অল্পমনস্ক ভাবে খাওয়া শেষ করিল এবং মসলা না থাইম্বাই রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িল । হয়, রাস্তার দুই দিকের বাড়ির সারের ভিতর কোনটার দিকে সে তাকাইবে ? কোন বাতান-পথে দুটি পিয়াসী কুরনিয়ন তাহারই আশায় পথের দিকে চাহিয়া আছে ? সেই ষে রাশির ভাবে ভোল কবি, তাহ সে ধরিয়াই লইছে। মাস্থ্য অতিশয় আকুল আগ্রহে যাহা বিশ্বাস করিতে চান, তাছা বিশ্বান করিতে বেশী দেরি তাহার হয় না। ੋਂ প্লু-পাশে তাঙ্কাইতেकरें তাকাইতে ত লে যাইতে

  • वं देशंब्रईकिंग्लैश्कें★

८न ४रीझै पशिक पारेन्ड আপিসে লেটু হওয়া চলে না, বড়বাবুর মেজাজ ৰা,তিনি যে কবিত্বের অজুহাতে লেট হওয়া মার্জনা করিবেন, তাহ ভুলিয়াও বোধ হয় না। শিশির ট্রামের অপেক্ষায় বড় রাস্তার মোড়ে আসিয়া দাড়াইল । আপিসেও কিন্তু সে মাথা হইতে এ চিন্তা কিছুতেই দূর করিতে পারিল না। মেমোটর বাড়ি নিশ্চয়ই তাহাদের বাড়ির খুব কাছে, না হইলে ঐ টিনের ভিতর তাহার চিঠি আসিবে কি করিয়া ? কিন্তু চিঠিখানা রীণিই ফেলিয়া দিয়াছে, না লীনার পড়া হইয়া গেলে সে-ই ফেলিয়া দিমাছে, তাহাই বা হতভাগা শিশির বুঝিবে কি করিয়া ? কিন্তু প্রিয় সখীর এমন গোপন-কথায় পূর্ণ চিঠি এমনভাবে কেহ কি ফেলিম দেয় ? অস্ততঃ চার টুকরা করিয়। ছিড়িয় ত ফেলিত ? কে জানে মেয়েদের মধ্যে কি নিয়ম প্রচলিত। আচ্ছা, টিনটা ত তাহাদের বাড়ির খুবই কাছে, ইহার পর আর কত দূরে টিন আছে কে জানে ? বাড়ি ফিরিয়া দেখিতে হইবে, এই দুই টিনের মধ্যবর্তী রাজ্যেই তাহাকে হারামণির অন্বেষণে ঘুরিয়া ফিরিতে হইবে । কি করিয়া সে সন্ধান করিবে? না আবার ডান দিকেও খানিকদূরে একটা টিন আছে যে ? তাহা হইলে অনেকখানি জায়গাই তাহাকে খুজিতে হইবে দেখা যাইতেছে। এ পাড়ায় বাঙালী ত খুব বেশী ঘর নয়, তাও তাহার ভিতর ছোটলোক অনেক, খুজিয়া পাওয়া খুব শক্ত হইবে না হত। এখানে শিশির ভিন্ন আর কেহ তরুণ লেখক আছে নাকি কে জানে ? তাহা হইলে কি আর শিশির জানিত না ? অন্তঃপুরবাসিনী রাণি যাহার খবর পাইয়াছে, শিশির নিশ্চয়ই তাহার খবর পাইত । কাগজপত্রে লেখা যাহার বাহির হয় তাহাকেই লোকে চেনে, কাহার ঘরে কি লেখা আছে, তাহা ত আর পাড়ার লোকে দিব্য দৃষ্টিতে দেখিতে পায় না? রীপি, রাণি, রণি, কি মিষ্টি নামটি । ঠিক যেন রূপবতীর পায়ের নূপুরের নির্ণ। নাম যার এত স্বন্দর, না জানি লে দেখিতে কেমন। সুন্দরী না হইয়া যায় না। নিশ্চয়ই স্বশিক্ষিত এবং তরুণী, চিঠি হইতেই ত তাহ বোৰ