পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈলপাদমূলে স্বর্গাশ্রমের শেষভাগে লছমনকোলা সেতু অদূরে পরিদৃপ্তমান মধ্যে গৃহপালিত পগুরাও আশ্রয় পাইয়া থাকে। ইহাদের গ্রামগুলি ক্ষুদ্র এবং মৃৎপ্রস্তরে গ্রথিত গৃহগুলি বুরুজ turret ) বিশিষ্ট ক্রীড়নক-দুর্গবিশেষ। তাহাতে দরজাজানালার পরিবর্ভে বন্দুকের গুলি চালাইবার স্ববিধার্থে ছত্র রাখা আছে মাত্র। এই গিরিবন্ধে ভারবাহী উষ্ট্র ও অখণ্ডরের সারি আফগান ও ব্রিটিশ রাজ্যাভিমুখে গমনাগমন করিতে দেখা গেল। রেলপথে এই গিরিমালা অতিৰে খনি উভয় রাজ্যের প্রান্তসীমা লাণ্ডিখান পর্যন্ত পৌঁছিতে চৌত্ৰিশটা স্বয়ঙ্গ অতিক্রম করিতে হয় । আলি মসজিদ নামক স্থানের রেল ষ্টেশনটির নাম সাহগাই এবং জামরুদের পর এখানেই ইংরেজদের খাইবার সঙ্কটস্থিত প্রথম ছাউনী বা সেনানিবাস। ক্রমে নানারূপ অভিনৰ কৃষ্ঠের মধ্য দিয়া ৰেলা প্রায় সাড়ে সাতটায় গাণ্ডিকোটাল নামক বৃহৎ ছাউনী ষ্টেশনে পৌছিলাম। ইহার পর লাণ্ডিখানা পৰ্য্যস্ত ছয় মাইল রেলপথটি ইদানীং সাধারণের গতিবিধির জন্ত বদ্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। সাহুদেশস্থ ব্রিটিশ ছাউনী ও দুর্গ দেখিতে চলিলাম। স্থানীয় তত্বশীলদার সাহেব দুর্গমধ্যেই কাছারী করিয়া থাকেন। পৰ্য্যটকদল দুর্গের সিংহদ্বারে দণ্ডায়মান দেখিয়া তিনি ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিলেন এবং তাহার কাছারীতে অপেক্ষা করিতে বলিয়া আমাদের আশপাশ বেড়াইয়া দেখার জন্ম স্থানীয় ঠিকাদারদের তিনখানা মোটর-বাস সংগ্ৰহ করিয়া দিলেন। এই পাঠানবীরের আকৃতি-প্রকৃতি দেখিয়া প্রথমে র্তাহাকে ইংরেজ সৈনিক বলিয়া আমাদের ভ্রম হইয়াছিল। আমরা আরও তিন মাইল অগ্রসর হইয়া পথিপাখস্থ এক শৈলচূড়াস্থিত ফাড়ি বা আউটপোষ্ট হইতে লাণ্ডিখানার ব্রিটিশ ছাউনী ও তরিকটবর্তী অপর এক শৈলশিখরস্থ আফগান সীমান্তের ফঁাড়ি স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম। কাবুল নদ ও হিন্দুকুশ পৰ্ব্বতের গগনচুৰী শৃঙ্গরাজি এই স্থান হইতে দৃষ্টিগোচর হইল। লাণ্ডিখানা পৰ্যন্ত যাইবার সময়াভাবে অবিলম্বে ষ্টেশনে প্রত্যাগত হইতে বাধ্য হইলাম। এই সকল অভিনব দৃপ্ত আমাদের মহিলা সঙ্গীদের বিশেষ