• १8 "হোমষ্ট ఏరిజం করে?” মুকুমার আমাকে এখন “তুমি বলে, আমিও তাহাকে যাবে। আমার বিবেচনায় এসব কথা নিয়ে ঘটাতে গেলেই ‘তুমি বলি। তার বিপরীত ফল হবে।” স্বকুমার বলিল,—“তুমি যে আর আমাদের বাড়িতে যাও না, ব্যাপার কি ?” আমি বলিলাম--“কোন দরকার ত পড়ে নাই, দরকার পড়লে তোমরাই ডেকে পাঠাবে জানি।” স্বকুমার হাসিম বলিল—“ও, সেই ডাক্তারের টাক দেওয়ার কথা ? কিন্তু এবার যাওয়ার খুব বেশী প্রয়োজন হয়েছে। নীরুর ভাবগতিক বড় ভাল বোধ হচ্ছে না। আজ বৈকালে তাদের কলেজের কয়টি মেয়ে এসেছিল, তারা কি একটা সমিতি করেছে, তার উদ্বেগু হচ্ছে, আমি যতদূর বুঝতে পারি, পুরুষদিগকে দমন করা–তার নাম দিয়াছে ‘নারীপ্রগতি সমিতি । নীরকে তারা সেই সমিতির সেক্রেটারী করতে চায়। আজ তার এ-সম্বন্ধে অনেক ক্ষণ পৰ্যন্ত আলোচনা করেছিল। নীরুর মত ত তুমি জানই, একে মনসা তায় ধুনোর গন্ধ । সে এ-সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে অনেক লেখালেখি করেছে।” - আমি হাসিয়া বলিলাম—“ই, দিবাকর শর্শার সঙ্গে ।” স্বকুমারও হাসিয়া বলিল—“সেই পাপাত্মা দুঃশাসনের সঙ্গে। এখন দিবাকর শর্শ্ব কি চুপ করে থাকবে ? নীরু যাহাতে এই হুজুগে না মতে, তোমার সেই চেষ্টা করা উচিত।” আমি বলিলাম—“আমি কি করতে পারি ভাই ? তিনি আমার কথা শুনবেন কেন ?" “কেন শুনবে না ? মাত তাকে তোমার হাতেই সঁপে দিয়ে গিয়েছেন। অবগু এখনও বিয়ে इम्न नदे, ७७ গীজ হতেও পারে না।” “তিনি যে বিবাহে সম্মত হবেন, তার নিশ্চয়তা কি ?” “আমি তবে সে কথা পাড়ব ?” “না ভাই, এখন সে কথা পাড়া উচিত নয়। তাড়াতাড়ির প্রয়োজন কি ? আমি ষে-ভাবে আছি, সেই আমার ভাল।” “কিন্তু এই উপস্থিত অনর্থ নিবারণের উপায় কি ?” "দেখা যাক, ব্যাপায় কতদূর গড়ায়। এ সকল সভাসমিতি একটা হুজুগ বইত নয়, কিছুদিন পরে আপনিই থেমে “আচ্ছা দেখা যাক, তুমি মধ্যে মধ্যে যেও। একেবারে নিলিপ্ত হয়ে বসে থাকা উচিত নয়।” এই বলিয়া হুকুমার বিদায় হইল । “আমি যে-ভাবে আছি, সেই আমার ভাল" এই কথা আমি বারে বারে মনে আন্দোলন করিতে লাগিলাম। এই রিস্ফুল আনসার্টেন্ট, এই মধুর অনিশ্চয়তাই, আমার জীবনের সম্বল। আমি ইহাকে ছাড়িলে কি লইয়া বঁচিয়া থাকিব ? এই ভাবে আরও কয়েক দিন কাটিল । এক দিন সন্ধ্যাবেলায় শঙ্কর আসিল । যে-শঙ্করকে আগে দেখিবার জন্য আমি পাগল হইতাম, এখন তাহাকে দেখিলে মনে একটা অনিশ্চিত আশঙ্কার উদয় হয়। সময়ের পরিবর্তনে আমাদের মানসিক অবস্থার কত পরিবর্তন ঘটে ! শঙ্কর আসিয়া বলিল,—“কি রে কিশোর, তুই যে আর স্বকুমারদের বাড়িতে বড় যাস না ? তোর কি হয়েছে ?” আমি বলিলাম, “তুমি সেখানে গিয়েছিলে নাকি ?” শঙ্কর বলিল, “আমি সেখান থেকেই আসছি। তোকে একটা নতুন খবর দিচ্ছি।” আমি বলিলাম, “নীর দেবীর বুঝি বিয়ে ?” “না রে না—তিনি বিয়ে করবেন না, সেই খবর।” “বেশ ত। তোমাকে আজ বললেন বুঝি? তুমি বুঝি নিজেই বিয়ে করবার প্রস্তাব করেছিলে ?” শঙ্কর হাসিয়া বলিল, “আমার ততদূর ধৃষ্টত নেই। এই যে তোর মুখ বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে দেখছি। তবে সব কথা বলি শোন ।” এই বলিয়া শঙ্কর পকেট হইতে একটা খাতা বাহির করিয়া বলিতে আরম্ভ করিল। তাহার মর্শ্ব এই-- বেথুন কলেজের কতকগুলি মেয়ে একটা সমিতি গঠন করিয়াছে, তাহার নাম দিয়াছে “নারীপ্রগতি সমিতি।" নীর দেবী তাহার সেক্রেটারী হইয়াছেন। আজ সেই সমিতির নিয়মাবলী স্থির করা হইল। নীর দেবী শঙ্করকে তাহদের একজন চ্যাম্পিয়ন (সহায়ক ) বলিয়া জানেন, সেজন্ত তাহাকে সেই নিয়মাবলী দেখাইয়াছেন এবং উহা ছাপাইতে কত খরচ পড়িবে তাহা একটা প্রেসে গিয়া জানিয়া আসিতে আরোধ
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।