পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ একবার শেষ চেষ্টা করিয় ভাবিতে লাগিল, নিষ্কৃতি সত্যই কি নাই ? অপরিচয়ের তীর বইতে দু-দিনে যে গভীরতম অন্তরের উপকূলে উত্তীর্ণ হইয়াছিল, তাহাকে ছুদিনেই আবার অপরিচয়ের পারে নির্বাসিত করা কি যায় না ? নিজের উপর মানুষের এতটুকু জোর কেন থাকিবে না ? ভালবাসাই যদি হয়, তাহাই বা মানুষের নিজের অপেক্ষা বেশী শক্তিশালী কেন হুইবে ? পরের দিন ভোরের দিকে নরেন্দ্রনারায়ণ আসিয়া পঢ়িলেন । হৃষীকেশের মহলে, র্তাহার পড়িবার ঘরে পিতাপুত্রীতে সাক্ষাৎ হইল। নরেন্দ্র ও হৃষীকেশ দুইজনে নিঃশব্দে মুখোমুখি বসিয়াছিলেন, ধীরে অগ্রসর হইয়া গিয়া ঐন্দ্রিলা পিতার পায়ের ধূলা লইল, কিন্তু তাহার সমস্ত মুখ-চোখ ভরিয়া আজ দুরপনেয় বিষাদের ছায়া। এতদিন পর পিতাকে দেখিতে পাইয়া কিছুমাত্র যে সে খুসি হুইয়াছে এমন মনে ইইল না । নরেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার পরীক্ষা কি হয়ে গিয়েছে ?” সে বলিল, “না, এখনো দিন দশ-বারো দেরি আছে।” কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়াছিল, নরেন্দ্র “আচ্ছ, যাও, তোমার পড়ার ক্ষতি হচ্ছে” বলিতেই সে-ঘর ছাড়িয়া চলিয়া আসিল । হেমবালার মুখে হর্ষ বা বিষাদ কোনও কিছুরই আজ প্রকাশ নাই। ভক্তিতত্ত্ব সম্বন্ধে বইখানা এতদিনে প্রায় শেষ হইয়াছে, শেষের দিকে এক জায়গায় কতগুলি কথার কিছুতেই অর্থগ্রহ হইতেছে না, এমন সময় নরেন্দ্ৰ আসিয়া দরজায় দাড়াইলেন। তাহাকে ভিতরে আসিতে ৰলিয়া হেমবালা ধইয়ের সেই পাতাটা উন্টাইলেন। তারপর হঠাৎ একসময় বইটা বন্ধ করিয়া বলিলেন, “বোলে৷ ” তাহার হইতে যথেষ্ট দূরেই স্থান নির্দেশ করিয়া স্বামীকে বসিতে বলিয়াছিলেন। তবু নরেন্দ্র বলিলে নিজে আর-একটু সরিয়া বসিয়া বলিলেন, “জাদার সঙ্গে তোমার দেখা হয়েছে ?”

  • ্য !" “া কিছু জানেন না, সন্দেহও কিছু করেন নি।” “अब गछिहे भूष भूकै रुणावr" - "ইলুর ইলুগিয়েছিল তোমার পক্ষেরেখা করতে " |

শৃঙ্খল । হচ্ছে, অনাবশুক ওকে উৎপীড়ন না করাই জল । 8e: “ধ্য, এই ত এইমাত্র তার সঙ্গে দেখা হল।" }, কিছুক্ষণের মত স্তব্ধতা। তারপর হেমবালাই , আবার কথা কহিলেন । * - “জাসবার আগে আমাদের ফেরবার সব ব্যবস্থা করে রেখে এসেছ ?” * - “অন্তরকম ব্যবস্থা কোনোদিন কিছু করা হয়নি।” -- “যে-কোনোদিন আমরা এখান থেকে রওনা হতে পারি ” “যখন খুলি পার।” “ইলুর পরীক্ষাটা হয়ে যাওয়া অবধি হয়ড অপেক্ষা করে যাওয়াই উচিত হবে। আগে সেটা ভাষিনি, এখন মনে wडांझांग्लाँ আমাদের অভিপ্রায় ওকে এখন বুঝতে দিতেও চাই না, সে-সব পরে সময় বুঝে বললেই হবে।” . . . “তুমি যা ভালো মনে কর তাই হবে।" . "দাদার ওপরে ইলুর বিয়ের ভাৱ যদি দেওয়া চলত তাহলে তোমাকে কষ্ট করে আসতে আমি বস্তাম না।" ` “ত জানি।” “তবে এটা তোমাকে বলতে পারি, বাইরে যেমনই দেখাৰু, আসলে মনে মনে ইলু তোমাকে খুব বেশী ভালই বাসে। আমি যে ওর জন্তে এত করেছি, আমি গুর জ্বচক্ষেয় বিষ। তুমি বুঝিয়ে বললে বিয়ে করতে ও খুব সহজেই রাজি হয়ে যাবে।” - “আশা করি হবে।” হেমবালা আবার কিছুক্ষণ অকারণেই কোলের বইটার কয়েকটা পাতা উন্টাইলেন, তারপর বলিলেন, “জার একটা কথা গোড়াতেই তোমাকে আমার বলা দন্থকার। কোথাও কারুর কিছু বোঝবার ভুল থাকে, এ আমি চাই না। আমি ষে ফিরে যাচ্ছি তার কারণ একমাত্র এই, যে, ফিরে যাওয়া ছাড়া আমার অন্ত উপায় নেই। এদেশে মেয়েজাতকে এমন করেই রাখা হয়েছে, ৰে কোনো অবস্থাতেই খামী ছাড়া তাদের আর গত্যন্তর কিছু না থাকতে পারে। চিঠিতে এলৰ লিখিনি, লেখা যায় না। তুমি অবন্থটিকে মেনে নিতে নরেজ কছিলেন, “ফিরে যদি এস, কেন ফিরে এলে তা আমি কোনোদিই জানতে চাইব না : ,