পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেঞ্জারেও ড্যাল ও স্ববিখ্যাত পারেী গং সাহেবের সহিত সম্মিলিত হয়ে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি নামে এক সভা স্থাপন করেন এবং সেই সভার সংস্রবে কলুটোলায় তার নিজের বাড়িতে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করেন, তাতে তিনি তার বন্ধুদের নিয়ে শিক্ষা দিতেন। পর বৎসর তিনি আপনার বাড়িতে গুড উইল ফ্রেটানিটি নামে এক সভা স্থাপন করেন, তাতে তিনি প্রসিদ্ধ পাশ্চাত্য ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যদের গ্রন্থ থেকে অংশ নির্বাচন করে পাঠ করতেন, লিখিত প্রবন্ধ পড়তেন, অথবা মৌখিক বক্তৃতা দিতেন। এই সভাতে তার ভাবী বাগ্মিতার স্বত্রপাত হয়। কেশবচন্দ্রের সমাধ্যায়ী বন্ধু ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের মধ্যম পুত্ৰ সত্যেন্ত্রনাথ ঠাকুর। সত্যেন্ত্রনাথের অকুরোধে এক সভার অধিবেশনে মহর্ষি সভাপতিত্ব করেন এবং সেই সূত্রে যুবক কেশবের ধৰ্ম্মামুরাগ ও বাগিতার -প্রমাণ পান । ১৮৫৮ সালে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজের প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর ক'রে ব্রাহ্মসমাজভূক্ত হন। এর পরে ব্রাহ্মসমাজ নব নব কাব্যক্ষেত্রে প্রবেশ করতে লাগল। কেশবচন্দ্র ঐ-সকল কাৰ্য্যের উদ্ভাবনকৰ্ত্ত আর দেবেন্দ্রনাথ তার পৃষ্ঠপোষক হতে লাগলেন। ১৮৫৯ সালে ব্ৰহ্মবিদ্যালয় স্থাপিত হ’ল এবং তাতে কেশব ও দেবেন্দ্রনাথ উপদেশ দিতে লাগলেন, এবং সেই উপদেশাশ্বত শোল্বার জন্তে তখনকার বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সন্মানিত ছাত্র সেই বিদ্যালয়ে আকৃষ্ট হতে লাগলেন। ১৮৬৪ সালে সঙ্গত সভা নামে ধৰ্ম্মালোচনার এক সভা স্থাপিত হয়। এই সঙ্গত সভাই ব্রাহ্মসমাজের আধ্যাত্মিক শক্তির উৎসস্বরূপ হয়েছিল। সৰ্ব্ববিধ প্রশ্ন আলোচনা করতেন, এবং যা সভ্য ও পালনীয় বলে মনে হত তা কধ্যে পরিণত করবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতেন । ‘ইণ্ডিয়ান মিরার’ পাক্ষিক পত্র প্রকাশ, কলিকাতা কলেজ স্থাপন, জাহ্মধর্ম প্রচার, ও নব্য যুবকদের উদ্বোধিত করার কর্ণে কেশবচন্দ্র আত্মনিয়োগ করলেন ; এই সময়ে তার প্রসিদ্ধ *डिक“इंक ८वक्रण निम् ३छ कब देछे" अकनिङ इंज । কেশব মধ্যবঙ্গের জৰিসাভিনেতা হয়ে দাড়ালেন। দণ্ড সালে তিনি আমেরিকান ইউনিটেরিয়ান মিশনী এখানে যুৰকাল জলস্কোচে । ge@ ? ঠাকুর মহাশয়ের ধারা কলিকাতা-সমাজের জাচার্কের পরে वृठ झ्न ५वर अशांमक फेनार्षि थांश श्न अपर ८कपक्छ्वre দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে মহর্ষি নামে পরিচিত করেন। ঐ দিন তিনি দ্বীয় পীকে ঠাকুরবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। হতে হয়। কেশবচন্দ্র পুনরায় স্বগৃহে স্বপরিবারের মধ্যে यडिाँडैड श्tब उंब्र यथध भूजब्र नायकबtनब्र थइéाम নবপ্রণীত ব্ৰাহ্মপদ্ধতি অনুসারে সম্পন্ন করেন । । o কেশবচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মবন্ধু সভ নামে এক সভা স্থাপন করেন, তাঁর প্রধান উদেশ্ব ছিল জৰীপুরে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তার " " সংস্কারকর্ঘ্যে প্রবৃত্ত করেছিলেন—এতদিন পর্যন্ত উপবীতধারী: উপাচাৰ্যগণ ব্রাহ্মসমাজের বেদীতে আলীন হয়ে উপাসনার কাৰ্য্য নিম্পন্ন করতেন। কেশবচক্সের প্ররোচনায় মৰি দুই জন উপৰীতত্যাগী উপাচার্ককে ঐ কর্থে নিযুক্ত করেন। । কেশবচন্দ্রের প্ররোচনাতে এই সময়ে দুইটি জলৰণ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ কেশবের প্ররোচনায় নিজে উপৰীত ত্যাগ করলেও সমাজে অসবর্ণ বিবাহ প্রচলন সমর্থন করতে পারলেন না। ব্রাহ্মসমাজে বিষম আন্দোলন উপস্থিত হ’ল। তত্ত্ববোধিনী পত্রিক কেশব-বিরোধী দলের হস্তগত হওয়াতে কেশবচন্দ্র “ধৰ্ম্মতত্ব” নামক অপর এক পত্র প্রকাশ করতে আরম্ভ করলেন এবং ব্রাহ্মধর্মের উদেণ্ড প্রচার ও সমর্থন করতে লাগলেন । . . . ; কিন্তু কেশবচন্দ্রকে কলিকাতা-সমাজের সম্পাদকের পক্ষ পরিত্যাগ করতে হ’ল । ব্রাহ্মধর্শকে হিন্দুভাবে হিন্দুসমাজের মধ্যে প্রচার করা মহৰ্ষির চিরদিনের জাদশ ছিল। সেই আদর্শের ব্যাঘাতের আশঙ্কাতেই তিনি কেশবচক্সের হাত খেৰে সমাজের কর্তৃত্ব প্রত্যাহার করলেন, কিন্তু কেশবের প্রতি র্তার ক্ষ্মেছের হ্রাল হ’ল না । ১৮৬৫ সালে কেশবচন্দ্র, বিজয়কৃষ্ণ গোখী ও জন্ধোরনাথ গুপ্ত মহাশয়েরা পূৰ্ব্ববঙ্গে গ্রচার করতে আসেন। এই সময়ে বহু যুবক ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন, এবং পূর্ববঙ্গ বোপে হুলস্থুল পড়ে যায়। । - o এই সময়ে কেশব মলিদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্ত