পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8e B - 烹心 3. ఏంజరి ৰাফিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মরবার সাধারণ সমান অধিকা । মহাশয় বলেছেন যে, . शत्र जाइ जल, भाष बूलि, नाश् िछाड-किब्र । “cकबण मान्नैौडूrजब्र छध्रठिग्न अछ उांकनभांब शाश कब्रिग्रांप्इन, cकवन cनई काऋ*ह ऐशब्र मछाक cनलहिरेठशै। दाखिभtर्भब्र अऔिरींन-भूस्य বৃষ্টি হওয়া উচিত " . - ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্রের অনুরোধে মহর্বি মাঘোৎসবের বসবার বন্দোবস্ত করেন। ব্রাহ্মসমাজের তথা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম মহিলাগণ পুরুষদের সঙ্গে এক সভায় আসন গ্রহণ করলেন। মহিলাদের মধ্যে মহা উৎসাহের সঞ্চার হ’ল । এর পরে কেশবচন্দ্র মহিলাদের নিয়ে ডাক্তার রবসন নামক এক খ্ৰীষ্টীয় পাদরীর বাড়িতে সান্ধ্য সমিতিতে যোগ দিতে যান। শহরের বড় ঘরের মেয়েদের প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া এই প্রথম। এই ব্যাপার নিয়ে সংবাদপত্রে মহা আন্দোলন হয়, এবং দেশের লোকে ব্লাহ্মদের সর্বনেশে দল বলতে আরম্ভ করে। তখন বাংলাদেশে একটা প্রবাদ প্রচলিত হ’ল যে, জাত মারলে তিন সেন-হোটেলওয়ালা উইলসেন, ইটিসেন আর কেশব সেন । কেশবচন্দ্র অসাধারণ উদারতার বশে নানা দেশের ও নানা কালের ধর্মপ্রচারক সাধু মহাত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশুভাবে প্রচার করতে আরম্ভ করেন ; যিশুখৃষ্টের প্রতি ও মহম্মদের প্রতি যেমন র্তার ভক্তি প্রকাশ পেল, পেতে লাগল। কিন্তু দেশের লোকে কেশবের খৃষ্টভক্তি দেখে তাকে খৃষ্টান মনে ক’রে মহা আন্দোলন উপস্থিত করলেন, এবং তার সঙ্গে কলিকাতা-সমাজের সভ্যেরাও যোগ দিলেন । কাজেই কেশবের সঙ্গে কলিকাতা-সমাজের বিচ্ছে অপরিহার্য হয়ে উঠল । ১৮৬৬ সালে কেশবচন্ত্র পৃথক ভাৰে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করলেন এবং মহৰি কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের নাম পরিবর্তন করে নূতন নাম দিলেন আদি-জাক্ষসমাজ। কেশৱচন্দ্র দৈনিক উপাসনা প্রবর্তন করলেন। নবভক্তির স্বাবেগে উ্যস্থ চৈতন্যদেবের ভক্তিতত্ত্ব আলোচনা করতে লাগলেন, এবং পথে পথে খোল করতাল সহযোগে সঙ্কীর্তন করে বেড়াতে লাগলেন। সেই কীৰ্ত্তনে প্রচারিত হতে এই কথা এখনও উন্নতিশীল ব্রাহ্মদের মূলমন্ত্র হয়ে রয়েছে। ১৮৭০ সালে কেশবচন্দ্র বিলাতে যান। সেখানে মহারাণী ভিকৃটোরিয়া থেকে সাধারণ লোক সকলে, এমন কি খৃষ্টান পাদরীরা পধ্যস্ত, তার প্রতি সন্মান প্রদর্শনে ক্রটি করেন নি । স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই তিনি দেশের সর্ববিধ সংস্কারকাৰ্য্যে মনোনিবেশ করেন । ভারত সংস্কার সভা প্রতিষ্ঠা করে তার সংস্রবে স্বলভ সাহিত্য প্রচারের, নৈশবিদ্যালয় পরিচালনার, স্ত্রীশিক্ষা ও সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার প্রচারের, এবং স্বরাপান নিবারণের চেষ্টায় তিনি আত্মনিয়োগ করেন । ১৮৭২ সালে তিনিই চেষ্টা করে ব্রাহ্মদের বিবাহ সম্বন্ধীয় বিধি প্রবর্তন করান। এই সময়েই মহিলারা পর্দার বাহিরে আসন গ্রহণ করে উপাসনায় যোগ দিতে লাগলেন এবং দেশ থেকে পর্দা উঠে যাওয়ার শুভসূচনা হ’ল । তিনি উদ্যোগী হয়ে বিধবা বিবাহ নাটক অভিনয় করান এবং নিজে একজন অভিনেতা হয়েছিলেন । ১৮৭৮ সালে কেশবচন্দ্র কোচবিহারের নাবালক মহারাজার সহিত র্তার বালিকা কষ্টার বিবাহ দিতে সন্মতি প্রকাশ করেন। অনেকে এই বিবাহের প্রতিবাদ করেন। কেউ কেউ বলেন যে, কেশবচন্দ্র ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ অস্তরে লাভ করে এতে সন্মতি দিয়েছিলেন। প্রযুক্ত বিজয়চন্দ্র মজুমার লিখেছেন যে, একদিন কেশৰ দেখেন যে মহারাজ ও স্বনীতি দেবী পরম্পরের হাত ধ’রে বলে আছেন, এবং এতে তাদের পরম্পরের অনুরাগের পরিচয় পেয়ে পাতিব্ৰত্যের পবিঞ্জ আদর্শ অক্ষুণ্ণ রাখবার জন্তই তিনি এই বিবাহে সন্মতি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। g কিন্তু এর ফলে আবার ব্রাহ্মদের মধ্যে দুই দল হ’ল । কেশবচজকে সমাজের আচাৰ্য্যের পদ থেকে অপস্থত করবার চেষ্ট যখন বিফল হল তখন কেশবচন্ত্রের কার্যের প্রতিবাদ স্বরূপ অনেক ব্রাহ্ম স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন করলেন, এবং সেট সমাজই এখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ নামে অভিহিত হচ্ছে । ’ কেশবচন্দ্র ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের নাম পরিবর্তন কল্পে