পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ নারীর ও পুরুষের নিজের নিজের স্বতন্ত্র প্রয়োজন আছে এবং সাধন আছে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমি ইহাও বিশ্বাস করি, যে পুরুষ ও নারীর সাহচর্ঘ্যে পরস্পরের শিক্ষা হয়।” ইহার মানে অষষ্ঠ এ নয় যে, অসৎ গুনেরও পরস্পর সাহচর্য্যে সুশিক্ষা হুইবে । একটি ছোট প্রবন্ধে এত বড় একটি বিষয়ের সম্যক্ আলোচনা হইতে পারে না। আমি যাহা লিখিলাম, তাহাতে চিন্তার উন্মেষ হইলেই সন্তুষ্ট इश्य ॥ - আমার মনে হয়, দেশের বর্তমান জাথিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা निडहेब्रटर्कब्र नि७मजण अडिéाम 86హి করিলে জাপাততঃ যথেষ্ট সাবধানঙ্গ অবলম্বনপূর্বক সহাধ্যয়ন না চালাইলে নারীশিক্ষার বিস্তৃতি ও উন্নতি সুদূরপরাহত, কিন্তু যেখানে যেখানে, কেবল মেয়েদের জন্ত বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপন ও পরিচালনের টাকা জুটৰে; সেই সব জায়গায় সেই প্রকার স্বতন্ত্র শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠিত করা বাঞ্ছনীয় । পুরুষ ও নারীর সাধারণ শিক্ষণীয় ক্লিয় ছাড়া এইসব নারীশিক্ষালয়ে নারীদের বিশেষ শিক্ষণীয় ব্যয়গুলি শিখাইবার স্বন্দোবস্তু হইতে পরিবে । বঙ্গলক্ষ্মী—অগ্রহায়ণ ১৩৪০ নিউইয়র্কের শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠান শ্ৰীশরৎ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় নিউইয়র্কের শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠানটি ( The Bureau of Child Hygiene ) আজ পচিশ বছরের উপর মহা উদ্যমে কাজ করে আসছে। ১৯০৮ সনে সিটি গভর্ণমেণ্ট ( City of New York ) এ কাজ নিজেদের হাতে নেয়, যদিও এর অনেক আগে থেকেই এ আন্দোলন এদেশে চলে আসছে, তৰু এর আগে গবর্ণমেণ্ট এ কাজের পূর্ণ দায়িত্ব কখনও হাতে নেয় নি। বিভিন্ন গির্জা ও নানা রকম সমাজহিতৈষী Assissio (Social Service Associations ) নিজেদের মনের মত, সুবিধামত ও সামর্থ্য অনুযায়ী নিউইয়র্কের শিশু স্বাস্থোর ব্যবস্থা করত। এই সব সমাজহিতৈষী সঙ্ঘগুলির আস্তরিক উৎসাহেই কাজ চলছিল বটে, কিন্তু এর একটা দোষও ছিল । দোষ হ’ল এই ষে ঠিক যেখানে দরকার, সেখানে হয়ত কাজ হত না । কেন-ন গির্জা ও সাধারণ সঙ্ঘ তাদের সভ্যদের ছেলেমেয়েদের ব্যবস্থাই করত । হয়ত, এরকম ব্যবস্থায় আপত্তি করাও চলে নী । যে গির্জার পয়সা বেশী তাদের ব্যবস্থা অবশু অন্য গরিব গির্জাদের চেয়ে ভালই হ’ত। তাই অনেক সময় যার প্রকৃত গরিব, এবং যাদের অভাৰ সত্যই বেশী, তাদের দুঃখ দূর করতে কেউ চেষ্টা করত না । এই সব দেখে নিউইয়র্কের সটি গবর্ণমেণ্ট এদের সকলের দায়িত্ব নিজের হাতে নেয়। মিজের শিশু-দায়িত্ব সব দেশেই স্থানীয় গবৰ্ণমেণ্টের নেওয়া তি। এখন জান্তে আস্তে অনেক দেশে নিচ্ছেও। নউইয়র্ক শহরের শিশুমনদের ব্যবস্থাদিও গলনেষ্ট করছে

    • $ : ९२-ss *

তবু এখনও অনেকগুলি "প্রাইভেট সঙ্ঘও তাদের কাজ একেবারে বন্ধ করে নি । - বর্তমানে এই নিউইয়র্ক শহরের মধ্যেই থাস গবৰ্ণটের তত্ত্বাবধানে সত্তরটি শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠান আছে । পাড়ার লোকসংখ্যার অনুপাতে এই সব প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। অর্থাৎ যে পাড়ায় যত বেশী লোক ও যত বেশী শিশু এবং যে পাড়ার আর্থিক অবস্থা যত বেশী খারাপ, সেই পাড়ায়ই প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয় ও সংখ্যার উপযুক্ত ডাক্তার, নাস" ও সমাজকৰ্ম্মী ( social worker) নিযুক্ত করা হয় । এই প্রতিষ্ঠানের ক্রমবিকাশের ইতিহাস খুবই স্কুন্দর । অতিক্ষুদ্র আরম্ভ থেকে আজ কত বড় বৃহৎ ব্যাপার! আগে লোকের ধারণাই ছিল না যে, শিশুদের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব তাদের বাপ-মা ব্যতীত গবৰ্ণমেণ্ট নিতে পারে। আর আজ এর নিজেদের গবর্ণমেণ্টের উপর সমস্ত ভার দিয়ে বেশ শাস্তিতে বসে আছে। এ অবস্থায় আসতে যদিও যথেষ্ট সময় লেগেছে, তবু এই মানসিক পরিবর্তনের ছবিটি দেখলে এখন খানিকট অবাক হতে হয় । । পচিশ-ত্রিশ বছর আগেকার লোকের মানসিক অবস্থা, চিন্তা, ধর্মের গোড়ামী সবই বর্তমানের চেয়ে অন্ত রকমের ছিল। নূতন কিছু করতে তার সহজে রাজী হত না ; যা পুরুষানুক্রমে চলে আসছে তাতেই তারা সন্তুষ্ট ছিল। শিশুস্বাস্থের ক্রমবিকাশের সঙ্গে এ-দেশের দুটি অতি পুরাতন স্বভাবের পরিবর্তন হয়েছে এবং এই পরিবর্জনই