পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88s যে এদের অনেক শিশুর প্রাণ রক্ষা করেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই দুটি প্রথা সম্বন্ধে এখানে দু-কথা বলা সময়োচিত হবে মনে হয়। শিশুস্বাস্থ্য ক্রমবিকাশের ইতিহাসের প্রথম ও প্রধান অধ্যায় বোধ হয় এদেশের জল পরিষ্কারের ব্যবস্থা। এবং দ্বিতীয় ( প্রকৃতপক্ষে কোনটি প্রথম—কোনটি দ্বিতীয় তার খাটি বিচার করা বড় কঠিন) অধ্যায় হ’ল এদেশের দুধ গরম করার ( pasteurization ) ব্যবস্থা। আগে যখন বহুশিশু পেটের অস্থখে বা অন্যান্ত শিশুরোগে মারা যেত, তখন এরা উপায় খুঁজে পায় নি। কেন-না, তখন কেউ এর কারণ জানৃত না। চিকিৎসা-শাস্ত্রের ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অনেক রোগের কারণ যখন জানার উপায় হ’ল তখন একটুখানি আশার আলো দেখা গেল। কিন্তু প্রথম প্রথম সাধারণ লোকে বিশ্বাস করতেই পারে নি যে জল বা দুধের দোষে শিশু মারা যায়। তাদের ধারণা ছিল, মৃত্যুর কারণ–শিশুর হজম শক্তি কম। যুগ-যুগান্তর থেকে পুরুষাঙ্গক্রমে যে ধারণানিয়ে আমরা থাকি তা সহজে কেউই ছাড়তে চায় না। এরাও চায় নি এবং সহজে পারেও নি। এজন্ত বিশুদ্ধ (pasteurized) ছুধ চালাতে এদেশে প্রথম বড় কষ্ট পেতে হয়। লোকে নানা আপত্তি করে, বাধা দেয় । কিন্তু যখন সকলকে বেশ হাতে কলমে বুঝিয়ে ও দেখিয়ে দেওয়া হ’ল যে, দুধের সঙ্গে ও জলের সঙ্গে অনেক রকম রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে—ও সেই সব জীবাণু নষ্ট করার একমাত্র উপায় হ’ল দুধ সিদ্ধ করা ও জল পরিষ্কার করা (chlorization ) তখন অনেকের চৈতন্ত হ’ল। ক্রমশঃ অনেকের আপত্তি আর থাকৃল না। আর এখন হয়েছে ঠিক এর উন্টো ; অর্থাৎ এখন যদি কোথাও জল পরিষ্কার না করে—ব W fix (pasteurize ) R xn, szą ng হুলস্থুল পড়ে যায় । জল ও দুধের সঙ্গে যে শিশুস্বাস্থ্য ও শিশু-স্বত্যুর অতি নিকটসম্বন্ধ, তা এদের শিশুমৃত্যু-হার দেখলে বেশ সহজে ८वांक्षी शांछ । छल ७ कृष दिछक कब्रांब्र गrण शात्र नितমৃত্যুসংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাতেই স্পষ্ট প্রমাণ হয় জল ও দুধ থেকেই রোগ-জীবাণু গিয়ে শিশুদের ধ্বংস করত। चांवरमब्र ८मानंब्र चषशe ऎक महे ब्रक्व । चायब्रा GEEIGIG, S3{BO ुन७ ग्रय खtशशांश्व खण ও দুধের জবাবা করতে পারিনি, তাই আমাদের শিশুমৃত্যুর হার এখনও এত বেশী। তুলনার জন্য এখানে গবর্ণমেণ্টের রিপোর্ট থেকে তুলে দিচ্ছি। দেখে হয়ত অনেকে অবাক হবেন যে, বরিশাল জেলায় ১৯২৯ সালে হাজার-করা ৪৪৮টি শিশু এক বৎসর বয়স পূর্ণ না হতেই মৃত্যুমুখে পড়ে । স্থানের নাম বৎসর হাজার-করা মৃত্যুহার সমস্ত ভারতবর্ষ ১৯২৯ ১৮৬.১(পুং) ১৭০ (স্ত্রী) বাংলা দেশ ১৯২৯ ১৮৫(পুং) ১৭৪.৩ (স্ত্রী) বরিশাল জেলা ১৯২৯ ৪৪৮(পুং ও স্ত্রী) ইংলণ্ড ও ওয়েলস্ ১৯২৯ ৭৪ ইউনাইটেড ষ্টেটুস ১৯৩০ ৬৫ আমাদের দুধ-পরবরাহের দুরবস্থার কথা বলা নিম্প্রয়োজন । ভাল খাটি দুধ অনেক সময় বাজারে পাওয়া মুকঠিন । যা পাওয়া যায় তা যে সম্পূর্ণ রোগবীজশূন্ত তা বলা যায় না; আমার মনে হয়, আমরা যে এখনও হাজার-করা হাজারটি শিশুর মৃত্যু দেখি না, তার কারণ আমাদের দুধ জাল দিয়ে ব্যবহার করার নিয়মের জন্ত । যে-কোনও কারণে ইউক আমাদের পূর্বপুরুষরা দুধ জাল দিয়ে খাবার ব্যবস্থাটা করে গিয়েছিলেন—এটা যে কত বড় আশীৰ্ব্বাদের কাজ তা বলা কঠিন। আমরা গরুর পূজা করি, গরুকে মায়ের মত মনে করি, গরুকে অপমান করলে তার প্রতিশোধের জন্ম না করতে পারি বোধ হয় এমন কাজ নাই ; কিন্তু আমাদের সেই গো-মাতার শারীরিক অবস্থা যা করেছি তা দেখলে চোখে জল আসে। গোমাতার সেবার নামে যে কঠোর নির্দয়ত দেখাই, তা বোধ হয় “গো-মাতার সস্তান” ব্যতীত মানুষে সহজে দেখাতে পারে না। তবু আমরা হিন্দু বলে গৰ্ব্ব করি, গো-খাদকদের ঘৃণা করি। আর পাশ্চাত্য দেশের লোকের গরুকে মা বলে না, গরুকে পূজাও করে না। তৰু তাদের দ্বধ নিতে হয় বলে তাদের যেমন যন্ত্র করে, তা দেখলে অবাক হতে হয়। তাদের খাবারের ব্যবস্থা, ঘরের ব্যবস্থ, শারীরিক উন্নতির ব্যবস্থা করতে এ সব দেশে যত কষ্ট করে, তবে না দেখেছে তাকে কথায় বুখান কঠিন হৰে। শীতকাল रडक, औअकन इफेक, भक्द्र रथचाव्हलाह बादश निचनब