পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এদের নিজেদের ঘরের চাইতে কম নয় । গঙ্কর খাবার জিনিষের ব্যবস্থা নিজেদের খাবার জিনিষের ব্যবস্থার চেয়ে কোনও অংশে হীন নয়। এমন কি, গরুর জলখাবার পাত্রটি পৰ্যন্ত প্রত্যেকের পৃথক্ ব্যবস্থা ক’রে রাখে, রোগ-চিকিৎসার ভার উপযুক্ত ডাক্তারের উপর দেয়। এক কথায়, এরা এদের গরুর যত্বের কোনও রকমে ক্রটি করে না । এদের সঙ্গে তুলনায় যখন আমি আমাদের গোয়ালঘরের কথা ভাবি বা আমাদের গরুর খাবারের কথা ভাবি, তখন নিজেদের ধিক্কার না দিয়ে পারি না । জলের বেলায় বোধ হয় আমরা সব চেয়ে বেশী হতভাগ্য । কলিকাতা বা ঐ রকম বড় শহরের কথা ছেড়ে দিয়ে অবশু আমি পল্লীর কথা ভাবছি ; কেন-না আমাদের অধিকাংশ লোক পল্লীবাসী। একে আমাদের দেশের ভীষণ গরম, তাতে আমাদের ততোধিক ভীষণ দারিদ্র্য । পয়সার অভাবে অনেক পুকুর বহু বৎসর পর্য্যন্ত পরিষ্কার করা হয় না। বহু গ্রামে পুকুরও নাই। যাদের নাই, তার অপর গ্রামের পুকুর ব্যবহার করে । ভীষণ রৌদ্রে অনেক পুকুরের জল গ্রীষ্মকালে শুকিমে যায়। আমরা ভগবানের উপর এত বিশ্বাস করি যে র্তার দেওয়া বৃষ্টির আশায় দিন গণি । বৃষ্টি যদি না হয়, তবে হয়ত জলের অভাবে শুকিয়ে মরতেও খুব কুষ্ঠিত হব না। যা হোক, বর্ষাকালের কৃপায় পচা পুকুরগুলি কোনও রকমে যতটুকু সম্ভব জল আটকে রাখে। সেই জলটুকু আমাদের সমস্ত গ্রামবাসীর একমাত্র সম্বল। অনেক সময় আমরা একই মাত্র পুকুরে সকলে মিলে আমাদের সকল কাজ চালাই। বুড়া-বুড়ী, ছেলে-মেয়ে, যুবক-যুবতী এমন কি আমাদের গরুবাছুরগুলির সম্বল ঐ একমাত্র পুকুর । আমাদের স্বান করা, বাসন মাজা, কাপড় কাচা ও অনেক সময় অনেকের শৌচকাৰ্য্য পৰ্যন্ত ঐ একই জলে চালান হয় । ঠাকুরপূজা, আহ্নিক করা ত আছেই। নিউইয়র্কের শিশু-মঙ্গলের কথা বলতে গিয়ে দেশের কথা অনেক বললাম। কিন্তু দেশের ছবিটি এমন ভাবে আমার চোখের সাম্নে ভাস্ছে যে একটু না বলে পারলাম না। এদেশেও পাড়াগ আছে। এরাও জল ব্যবহার করে । অনেক জায়গায় জলের কলও নাই। কিন্তু এরা এদের বিচার*डिशदशंद्र क्रब्र । cष बज cषtष्ठ इव, cन लाल भद्रण নিউইয়র্কের শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠাল । §o ফেলে না, সে জলে কাপড় কাচে না, সে জলে শৌচ করে না । * - নিউইয়র্কের শিশু-মঙ্গল কাজের একটি বিশেষত্ব আছে। এটা আগে ছিল না। আগে এরা শিশু-মঙ্গল প্রতিষ্ঠান খুলে সেখানে ডাক্তার ও নাস রেখে দিত। যার দরকার হত, সে তার শিশু নিয়ে কেন্দ্রে আস্ত। ডাক্তার তখন শিশুকে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা করতেন, উপদেশ দিতেন, দরকার হ’লে খাবার পর্য্যন্ত সরবরাহ করতেন। এখনও যদিও কেন্দ্রে ডাক্তার ও নাগ থাকে, তবে তাদের কাজ এখানে বেশী নয়—বিশেষতঃ নাসের। সে সকালবেলায় ডাক্তারকে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রেই থাকে। বিকালে পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিশুদের দেখে আসে। শুধু শিশু নয়, মাদেরও। এর বিশেষত্ব হ’ল এই যে, নাসর্প ঘরের অবস্থা, বাড়ির অবস্থা ও মায়ের দায়িত্ব এতে বেশী রকম বুঝতে পারে। মাদের সঙ্গে নাস্ বেশ বন্ধুত্ব করে নেয়। মায়েরাও এ স্বযোগ হারান না। এই বন্ধুত্বের ফলে স্ববিধা আরও অনেক আছে। শুধু শিশুস্বাস্থ্য নয়, মা বাবা ও অন্তান্ত সংসারের লোকদের স্বাস্থ্যের কথাও বাদ যায় না। ফলে হয় এই যে, যদি বাড়িতে কোনও লোকের কোনও সংক্রামক রোগ থাকে, তা সময়ে ধরা পড়ে ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। এই নাসগুলি যে কি মহৎ কাজ করছে তা এদেশের স্বাস্থ্য-নেতারা বেশ বুঝতে পারছেন। ধাত্রীবিদ্যাকে তাই এখন আর কেউ ছোট চোখে দেখে না। এদের স্থান এখন এদেশে বড় উচুতে। সাধারণতঃ দুই বৎসর বয়স পর্য্যন্ত শিশুদের এই বিভাগের নাসদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। কেননা, শিশুদের জীবনের সঙ্কট এই বয়সেই বেশী। তার পরেও যদি অন্থখ হয়, তার ব্যবস্থা যদি শিশুর আপন জনে না করতে পারে, তবে অবশ্য “সিট" গবর্ণমেণ্ট করে। এদেশের আইনে কেউ বিনা চিকিৎসায় সম্ভবপক্ষে মারা যায় না। যার পয়সা খরচ করার সাধ্য আছে, অবশু সে তার নিজের ডাক্তারের কাছে যায়, বা কোন হাসপাজলে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। কিন্তু যে অক্ষম আরও ব্যবস্থা হয়। তার ভার নেয় গবর্ণমেন্ট। একটি জাইন আছে যে হাসপাতাল যত ভাল হউক, বা যত দামী উৰু, যদি কেউ কোনও মারাত্মক