পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্মাতীরে ঞ্জীপ্রমীলা দেবী নবন্ধু সত্ব বাড়ি জাসিয়া যেন নিষ্কৃতি পাইয়াছে এমনি ভাব দেখাইয়া মণীশ মাকে বলিল, “কি বিপদেই পড়েছিলুম, মা, ওকে নিয়ে পদ্মা পার হতে যে কি দুর্ভোগই আমার হয়েছে।” মণীশদের পদ্মাপারে বাড়ি। গোয়ালন্দ হইতে যেপথটুকু ষ্টীমারে অতিক্রম করিতে হয় তাহারই বর্ণনা মণীশ মুখর হইয়া উঠিল। বলিল, “ষ্টীমারে ওঠার সময় এমনি কঁপিছিল যেন জলেই পড়ল আমাকে তাই সারাক্ষণ পাহারা দিতে হ’ল, ঢেউ দেখে যেন না মূৰ্ছা যান।” মা হাসেন । পুত্রের পরিহাসের অন্তরালে লুকায়িত মমতার ভাবটি তাহাকে পরিতৃপ্ত করে। সহাস্তে বধূকে বলিলেন, “এদেশে কি মানুষ আসে না মা ?” সেদিন সারাদিন ধরিয়া বিবাহে সমাগতা আত্মীয়াদের নিকট বন্ধুর পদ্ম-ভীতির বর্ণনা চলে। দেবর ননদর বধূকে প্রশ্ন করে, "তোমাদের চৌবাচ্চায় কত বড় ঢেউ ওঠে ८बोनि ?” কিশোরী বধু। কিন্তু স্বভাবটি তার বালিকার মতই। স্বতরাং সকলেই তাহার মনোরঞ্জনে সচেষ্ট, কখনও চোখ ছল ছল করিলেই খপ্তর বলেন, “মন কেমন করছে মা ? কলকাতা যেতে ইচ্ছে করেছে? আচ্ছা, আচ্ছ, আমি একুনি বলছি ওদের।” - কথাটা মণীশের কানে যাইতে বিলম্ব হয় না। সে নিঃশ্বাস ফেলিক্স ভাবে “ভারী মজ, গানে আমার এত বড় চুটি, —” তার পর কোন ফাকে বধূর নিকট গিয়া বলে, “আবার মুখড়ার কেন ? এ-বিচ্ছিরি দেশ ছেড়ে ত ঘাচ্ছই।” কথা না বলিলে বধুর নিস্তার নাই। হাসি-কার-মেশান স্বরে লে বলে, “কিন্তু কি করেই ষে যাব। আবার পদ্মা পার হতে হবে ভাবলেই কাপুনি ধরে ষে । । शौ्मनः शनःि भी, स्चि भ्रु श्रौव नििश बान्, “जरे ख . জুনি দেখে গুনে জয় ৰলে গেলে হত ন! আবার যদি কালৰােণেী ধাই ও&—জানামেরই জহয় তখম।" ৰদি বধুর কানের কাছে মুখ আনিয়া মৃদ্ধস্বরে বলে, “আমার ছুটি শেষ হ’লে আমার সঙ্গে যাবে। আমি তোমায় মোটে ভয় পেতে দেব না, দেখো ।” মণীশের অম্বনয়ে বধু মাথা হেলাইয়া সম্মতি দেয়। আর মণীশ সানন্দে মার কাছে বলে,—“যা তোমার ভীতু বে, বাপ মাকে দেখবে কি, পদ্মাপার হতেই যে ওর ভয়। থাক ন মা, আমার ছুটি হলে আমিই রেখে আসব খন । ” মা পুত্রের কথায় পুনরায় হাসেন। নববধূর স্বন্দর মুখের প্রতি র্তাহারও মায়া পড়িয়া গিয়াছে, তথাপি স্বামীর নিকট পুত্রের কথাটাই রং ফলাইয়া বিবৃত করেন। এইরূপে বধূর যাওয়ার কথা চাপা পড়িয়া গেল। কিন্তু সেই পদ্ম-ভীতি । বাড়িতেও সে ভয় হইতে রেব। নিস্তার পায় না । ঢেউয়ের আছাড়ে যখন পার ভাঙিয়া প্রবল শব্দে নদীগর্ভে ঠাই পায় গভীর রাত্রে তাঁহারই জাওয়াজ রেবার কানে খাসিয়া তাহাকে ঘুমাইতে দেয় না। পক্ষ তাহদের বাড়ি হইতে বেশী দূরে নয়। তরঙ্গের সে গেী গর্জন কখনও তাহার কানে অস্ফুট কাংরানির মত মনে হয়, আর কম্পিত ভীরু পার্থীটির মত সে মণীশের বুকে আশ্রয় লইয়া চক্ষু মুদিম থাকে। মণীশ বুলে, “ভয় কি, ও ঢেউয়ের শৰ, না এত ভয় ত ভাল নয়। দাড়াও, তোমার ভয় ভেঙে দিচ্ছি।” পরদিন সে রেবার আপত্তি না শুনিয়া তাহাকে গিয়া পদ্মার স্কুলে বেড়ায়। মণীশের স্বাধীন চলা-ফেরায় কেহ বাধা দেয় না। স্বতরাং সকাল সন্ধ্যায় কখনও বা রান্ত্রিতেও তাহাঁদের ভ্রমণ চলে । ধীরে ধীরে রেবার মন হইতে ভয়ের ভাৰ কাটিয়া যায়। এখন সে উত্তালতরঙ্গময়ী পদ্মার বুকে ছোট জেলে নৌকাগুলি যখন ঢেউয়ের মুখে নাচিতে থাকে তাহা দেখিয়া, বৈং শঙ্কা বােধ করিলেও লন্ডার অন্তগমনোস্থ স্বর্থের শান্তিয় জাভাল পায় । - 4.