পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ מתf 893 রেণু সন্তাই উঠিয়া পড়িল। তার পর ঘাটের এক প্রান্তে যেখানে শুষ্ক বলিয়া বস্ত্রাদি রাখিয়াছিল সেখানে পিছন ফিরিয়া দাড়াইয়া রেণু কাপড় ছাড়িতেছে, এমন সময় যেন রেবার অফুট আৰ্ত্তকণ্ঠ শুনিয়, রেণু ফিরিয়া চাহিল, কিন্তু কোথায় রেবা ! শুধু তরঙ্গের পর তরঙ্গ, সেই তরল মধ্যে একবার মাত্ৰ দুখানি আশ্রয়প্রয়াসী বাছ উখিত হইল, তার পর কোন অতলে তলাইমা গেল । সংবাদ পাইয়া, মহেশ্রবাবু ছুটিমা আসিয়া বজ্রাহতের মতই বলিয়া পড়িলেন। নিম্পদ বক্ষে যাহাকে খুজিলেন, কোথাও তাহার চিহ্ন নাই—নদীসৈকতে শুধু কম্পমান কস্তার অৰ্দ্ধমূৰ্ছিত দেহ পড়িয়া আছ ; আর সকলের আদরিণী বংকে খুজিয়া পাগলের মতই নিতাই নদীতল আলোড়ন করিয়া চলিয়াছে। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে লোকজনে সে স্থান পূর্ণ হইয়া উঠিল । অবিলম্বে জেলের দলও আসিয়া ঘিরিয়া ফেলিল । কিন্তু ব্যর্থ চেষ্টায় ! ক্লিষ্ট চিত্তে কন্যা সহ মহেন্দ্র বাবু বাড়ি ফিরিলেন। মণীশকে সেদিন তার করা হইল, “রেবা পীড়িত, শীঘ্র এস।” গৃহে পৌঁছিয়াই মণীশ বুঝিল, রেবা নাই। পুরী যেন শূন্যতায় ছাইয়া গিয়াছে। স্পন্দনহীন বক্ষে দুহাত চাপিয়৷ মনীশ বাহিরেই বসিয়া পড়িল। রেবাকে তবে কাল-রোগেই ধরিয়াছিল। কেহ তাহাকে কিছু বলিতে আসিল না। শুধু অন্তঃপুরে মাতার ক্ৰন্দন উত্থিত হইয়া মণীশকে জানাইল, রোগে নয়—স্বস্থ আনন্দময়ী রেবা পদ্মাগর্ভে প্রাণ হারাইয়াছে। ইহার পরে গৃহ যেন মণীশের অসঙ্ক হইয়া উঠিল । উন্মনার মত পদ্মাতীরে থাকিতেই তাহার ভাল লাগে। যেন আশা করে রেবার দেখা পাইবে । রেবা কি একবার অন্ততঃ বিদায় লইতে আসিবে না। মণীশের দৃষ্টি দূরদূরান্তর রেবাকে খুজিম ফিরিল । নৌকায়, চলাপথে বহু দূর পর্যন্ত কত যে প্রহরী নিযুক্ত হইয়াছে, কিন্তু রেবা যেন নিশ্চিহ্ন হইয় আপনাকে লুকাইয়াছে। মণীশের চিরপ্রিয় পদ্ম, রাক্ষসীরূপেই তাহার প্রিয়তমাকে গ্রাল করিয়াছে । আরও দুই বৎসর কাটিয়াছে। পিতামাতার অনুরোধে মণীশকে আবার বিবাহ করিতে হইল। ৰং নীলা রূপে রেবার সমতুল। কিন্তু তাহাতে বালিকার চাঞ্চল্য নাই, শিক্ষায় তাহার রূপকে যেন আরও দীপ্তিমী করিয়াছে। দেখিয়া সকলেই খুনী হইল, কিন্তু মণীশের বুকের ক্ষত জুড়াইল না। * - معة ج নীলা সাহসী মেয়ে, ভয় তাহার মনে স্থান পায় না। তৰু মনীশ এবার দেশে গেল না। বিবাহ অন্তেই বধুসহ আপনার কৰ্ম্মস্থল পাটনায় চলিয়া গেল। নীলাকে সে যথেষ্ট ভালবাসে, কিন্তু একটি দিনের জন্য তাহাকে কোথাও যাইতে দেয় না। পরিজনের স্নেহভিখারী নীলার মন ইহাতে কাদিতে থাকে। একগুঁয়ে মণীশ তাহা বুঝিবে না। ছুটি হইলেই সে নীলাকে লইয়া ভ্রমণে বাহির হয় । এইরূপে কত দেশ যে নীল ঘূরিল, আগ্র, দিল্লী, এবং বৌদ্ধযুগের গৌরবময় স্বতি সারনাথ, নালন্দার ধ্বংসস্তুপ কিছুই দেখিতে বাকি রহিল না। কিন্তু এত করিয়াও স্ত্রৈণ নামে খ্যাত মণীশ নীলাকে খুনী করিতে পারিল না। সে কেবল বলে, “দেশে চল না, ছাই ইটপাথর দেখে যে অরুচি ধরে গেল ! পদ্মার রূপ শুধু কবির কাব্যেই রইল, চোখে আর দেখতে পেলুম না।” সেবার পূজার ছুটিতে নীলা বাড়ি যাইবে বলিয়া ধরিয়া বসিল। মণীশ এবার দেওঘর, মধুপুর প্রভৃতি সাওতালের দেশের কত বিচিত্র সৌন্দর্য্যের বর্ণনা করিল, কিন্তু নীলা অটল। ইতিমধ্যে মার চিঠি আসিয়া আরও ইন্ধন যোগাইল । মা এবার মণীশকে অনেক অনুনয় করিয়া লিথিয়াছেন, “তোমাদের না দেখে, কি করেই যে থাকি...।” বাধ্য হইয়া মণীশ যাইতে রাজি হুইল । বহু দিন পরে পূজা এবার আনন্দে কাটিল । নীলার স্বভাবে সকলে মুগ্ধ। সবাই তাঁহাকে ভালবালে। কিন্তু সে-স্নেহে কোন উচ্ছ্বাস নাই। অন্তঃসলিলার মত তাহা নীরবেই বহিয়া চলে। তাই নীলাকে লইয়া কেহ জানন্দ করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইল না। পুকুর বাগান এমনি পড়িয় রহিল। সেই কাটালগাছটি এখন অনেক ডালপালা মেলিয়া বহুবিস্তৃত হইয়াছে। গৃহিণী এখনও সেদিকে চাহিতে পারেন না। পেয়ারাবাগান দেখিলে এখনও রেবার হাসিতে উজ্জল মুখটি মনে পড়ে কাজেই কোথাও যাওয়া হয় না। নীলা তাই নিজেই সব ঘুরিয়া দেখিল । তারপর মণীশকে একদিন বলিল, “পদ্মার ধারে বেড়াতে চলে না ! চাদের আলোয় পদ্মাকে না দেখলে ষে দেখাই হ’ল না।” भकैौश्र अि-कर्पोङ्ग हेछछङः करङ्ग । नैंील आंदोब्र गिरन्,