পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসজ-কারিগরদের সমবায় সমিত্তি 8ఙ সমবার-সমিতিসমূহ সমবায়-সমিতিসমূহের সংখ্যাগতপূৰ্ব্ব বৎসরের ২৩৬৭৬ হইতে বাড়ির গত বৎসর ২৩৭৭৭ হয়, সভ্যসংখ্যা ৮•৬৫৬৭ হইতে বাড়িয়৷৷৮১৭৭৬• হয়, কাজ চালাইবার মুলধন ১৫-৭৯ লক্ষ হইতে বাড়িয়া ১৬৩৩ লক্ষ হয়, এবং এই প্রচেষ্টায় নগদ যত টকা খাটে তাহ ১৯৫৯ কোটি হুইতে বাড়িয়া ১১-২২ কোটি হয় । সমবায় প্রচেষ্টা প্রধানতঃ ঋণদামেই ব্যাপৃত ছিল—যেমন কৃষিঋণদাম । জগুও কৃষিসমবায়-সমিতি ছিল ; যথা; ক্রয়বিক্রয়-সমিতি, জলসেচন-সমিতি (বাঁকুড়া ও বীরভূমে ৮•৫টি সেচন-সমিতির ১১৫২২৪ বিঘা জমীতে জলসেচন করিবার কথা ), সমবায় কবিসভা, দুগ্ধ উৎপাদন ও বিক্রমের সমবায় সমিতি । কৃষিঋণ ছাড়া অন্ত রকমের ঋণ দিবার সমবায় সমিতিও আছে । কারিগরদের সমবায় সমিতি অনেক রকমের কারিগরদের সমবায় সমিতি আছে । দুঃখের বিবঙ্গ, প্রেসিডেন্সি বিভাগে মধ্যগ্রামের চিকন সমিত্তির কারৰার গুটাইয়া ফেলিতে হইয়াছে । বৰ্দ্ধমান বিভাগে ইলামবাজারের খেলনা-নিমাতার ঋণ লইয়া কারবার চালাইতেছে । হুগলীর ঘোলেসারার কংসবণিক সমিতি কাজ বদ্ধ করিয়াছে, ইহাও দুঃখের বিষয় । বাঁকুড়া জেলার ৫টি শাখারী সমিতির মধ্যে চারিটি ঋণ গ্রহণের ভিত্তিতে কাজ চালাইতেছে। রাজশাহী জেলার ঘাটাগাওয়ের কলুদের সমিতি ঋণ গ্রহণ দ্বারা কাজ চালাইতেছে। পাবনা জেলার স্বভাৱাড়ার লোহ-কৰ্শ্বকারদের সমিতির কাজ মোটেই সন্তোষজনক হয় নাই। দিনাজপুরের টিনের পাতের কারিগরদের সমিতি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সকলের ফরমাইল পাওয়া সত্বেও কিছু লোকসান দিয় কাজ চালাইমাছিল। পাৱন জেলার क्व छनॉईची चक्र णांछ कब्रिबन्छ । छकब चाँts *ीषाबैौ ঋণদান ছাড়া অন্ত রকমের কাজ করিবার সমিতি এ বৎসর কোন কাজ করে নাই, এৰু তাইনের ও ঢাকার শিল্প ইউনিয়নের মধ্যে বনিৰনাও নাই । চট্টগ্রাম বিভাগে ব্ৰাহ্মণবাড়িার পিতলের কারিগর গতি, লোকসান দিয়া কাজ চালাইয়াছিল, ইহার পরিচালকরা ধীরে যে-সব জিনিষ বিক্ৰী করিয়াছেন তাহাঁর মূল্য দাদায়ে ক্ষণ দেওয়া উচিত, কারণ তাহাতে ইহাঁর মূলধনের অনেক অংশ আবদ্ধ আছে। পাহাড়তলী কলু সমিতি গুচাই লওঁ৷ হইয়াছে। পাঠানটুলী “জাগ্রাবাদ ঘোঁৰ শিল্প সমিতি" অনেক লোকসান হওয়ায় দড়ি তৈরি করার কাজ বন্ধ করিয়াছিল; এখন ঋণ লই আবার কাজ আরম্ভ করিয়াছে। মিরাজপুর কুম্ভকার সমিতি পুনর্গঠিত হইতেছে। আমীরাবাদ মহাদেবপুর গুড় প্রস্তুতি সমিতি কাজ চালাইয়া অল্প লাভ করিয়াছে। ইহা একখণ্ড খাসমহল জমি লইয় তাহাতে আকের চাষ করে, এবং আক মাড়াইয়ের " একটি কলও ইহার আছে। গুড়ের কাটুতি হইয়াছিল। " সরকারী রিপোর্টে কারিগর সমিতিগুলির এই যে বৃত্তান্ত আছে, তাহা পড়িলে মনটা দমিয়া যায়। ইহা হইতে বুঝা যায়, বঙ্গের কারিগরদের অবস্থা কোথাও সন্তোষজনক নয়। উপায় কি ? সরকারী রিপোর্টে কেবল তথ্য দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু কারিগরদের কারবারের অবস্থা কেন খারাপ, এবং কিরূপেই বা তাহার উন্নতি হইতে পারে, সে-বিষয়ে কিছুই লেখা হয় নাই। এ-বিষয়ে কোন সরকারী অনুসন্ধান হইয়াছিল কি ? বেসরকারী কোন সভা সমিতি বা একক কোন কৰ্ম্মী দেশী निद्रौप्रब चदश পর্যবেক্ষণ করিয়া তাহার উন্নতির কোন উপাৰি৷ করিয়াছেন কি? বড় বড় কারখানার যুগে তাহানের কৌলিক কাজ যদি ন-ই চলে, তাহ হইলে তাহজের জন্ত কাজ ফুটাইবার ব্যবস্থা হওয়া উচিত। সরকারী রিপোর্ট বান্ধ, লিখিত হইয়াছে, তাহ পড়িয়া ত মনে হয়, ৰঙ্গের নানা কারিগরশ্রেণীর লোকেরা হয়, লম্ব পাইজেছ, নয় ।