পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক উড়িয়া কবি বাংলা ও মৈথিলী ভাষার মিশ্রণে উদ্ভূত প্রজভাষায় পদ রচনা করিতে ভালবাসিতেন।* “রুষ প্রেমের নিধান” (চৈঃ চ: ) রায় রামানন্দের একটি পদের অংশ চৈতন্য-চরিতামৃত হইতে উদ্ধৃত করিতেছি— পছিলছি রাগ নয়ন ভঙ্গে ভেল অনুদিন বাড়ল অবধি না গেল না সো রমণ না হাম রমণী দুহু মনে মনোভব পশিল জানি এ সর্থী সে সব প্রেম কাহিনী কামু ঠামে কহব বিছরব জানি । অকিঞ্চন দাস রামানদের জগন্নাথবল্লভ নাটক বাংলায় অতুবাদ করেন । “বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয়” ২য় ভাগে অতুবাদের কিয়দংশ উদ্ধৃত হইয়াছে f তারপর ‘শ্রীরাধার দাসী"দের মধ্যে গণিত ও জগতের সাড়ে তিন ‘পাত্র"দের মধ্যে অন্যতম মাধবী দাসীর পাল । মাধবীকে বাংলা বৈষ্ণব-সাহিত্যের “মীরাবাই” বলা চলিতে পারে। তাহার রচিত “নীলাচল হইতে শচীরে দেখিতে আইসে জগদানন্দ কিম্বা আগে পড়ে চলিগল| নিতাই বিরহ অনলে ভেল ধন্দ । কলঙ্ক করিয়! ভূলা ভেটিবার নীলাচলে রায়--- প্রভূতি বয়েকটি চমৎকার পদ আছে । মাধবী ভণিতাযুক্ত 'রসোপুষ্টি মনোশিক্ষা’ নামে একখানি বই পাওয়া গিয়াছে { সদানন্দ দাস নামে একজন উড়িয়া কবি মহাপ্রভুকে "হরি নাম মুক্তি” আখ্যা দিয়াছিলেন । চৈতন্যদাস সঙ্কলিত পদকল্পতরুতে একজন সদানন্দ দাস রচিত “অখিল ভূবন ভরি

  • *gs intaisa Gia artin sista History of Bengali Language and Literature o ff{RECER

“These poets ( ata afstaw, arī Rērif ) found it easier to adopt Brajabuli, than Bengali, as the former had in it a profuse admixture of Hindi which people of all parts of India spoke and understood.”

  • অকিঞ্চন দাল কি উড়িষ্যাতে থাকিতেন ? ইণ্ডিয়া জাপিস লাইব্রেরীতে অকিঞ্চন দাস রচিত “গুক্তিরসাঞ্জিকা" পুথিটি রক্ষিত আছে। তাহাতে এমন লাইনও দেখিতে পাই—
  • अग्न अग्न मिठाांनन कब्रम्लों मांशंब्र ক্রুপ কর নিকাইচাঙ্গ মো স্বয় পামর ” কী-সাহিত্যপরিং পত্রিক, ১ম সংখ্যা ১৩৩৪ ।

في ساحساس نه وي বাংলা ধৰ্ম্ম-সাহিত্যের উড়িয়া পদ-কৰ্ত্তা - 8ષ્ઠા হরিনাম বদর বরিয়ে চৈতন্ত মেঘে” একটি পদ আছে, তবে সেটি উড়িয়া সদাননের কিনা বলিতে পারি না।* - বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয়ের ২য় ভাগে জগন্নাথ দাসের “রসোজল” হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত আছে। যেমন— “শুন বিনোদিনী ধনী আমার কাওরি তুমি তোমার কাণ্ডারী কহ করে” ইত্যাদি । তবে ইনি ভাগবতকার অতিবড়ী জগন্নাথ দাস নন । , “প্রতাপরুদ্র” ভণিতায় “প্রাচীন পুথির বিবরণে” (৩য় থও, ২য় স থ্য। ) একটি পদ আছে । “তোমার লাগিয়া রাধা তোমা আরাধিমু মনের মানস জত সকল সাধীমু ” ইত্যাদি । স্বয়ং মহাপ্রভু যাহাকে “পিতা জ্ঞানে নমস্কার কৈল সেই কানাই খুটিয়ার” একটি পদ “অপ্রকাশিত পদরত্নাবলী”তে উদ্ধৃত দেখি, যথা— মনচোরার বাণী ৰাজিও ধীরে ধীরে।" শেষে— কানাই খুটিয়া কয় মোর মন হেন লয় বঁাশ হৈল অবলা বধিতে । বৈষ্ণব-সাহিত্যে স্থপণ্ডিত ৫/সতীশচন্দ্র রায় মহাশয়ের মতে “অপ্রকাশিত পদরঞ্জাবলীর “যে দেশে আছিল বাণী সে দেশে মানুষ নাই’ পদটিও কানাইয়ের রচনা + যিনি রাধার নূপুর কুড়াইয়া পাইয়াছিলেন, সেই দুঃখী বা কৃষ্ণদাস শ্যামানন্দ নামে বৈষ্ণব-চক্ষে সমাদৃত । তিনি "দীন কৃষ্ণদাস” “দীনহীন কৃষ্ণদাস” প্রভৃতি ভণিতায় অনেক পদ রচনা করিয়া গিয়াছেন। গুরু গৌরীদাসের সম্বন্ধে লিখিতেছেন— প্রেমে লক্ষ্ম ঋম্প যার পুলকিত হুহুঙ্কার ক্ষেণেকে রোদন ক্ষেণে হাল উার পদ পদ্ম রেণু ভূষণ করিয়া তনু কহে দীনহীন কৃষ্ণদাস ॥ শুiামানন্দ দাস ভণিতাও আছে । আছে শুধু প্রাণ বাকী তাও বুঝি যায় সর্থী কি করব কি হৰে উপায় । शुभांनन प्रांप्न एकग्न প্তামত ছাড়িবার নয়পায় যদি ধর গিয়া পায় ।

  • বাঙ্গালী সান দাসের ছাড়া পণ্ডিত বিনায়ক মিশ্র মহাশয়ের "ওড়িয়া সাহিত্যের ইতিহাসে এই সদানন্দ দাস নামেই আরও ওড়িয়া কবির সন্ধান পাই ।

+ সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ১ম সংখ্যা ১৩৩৪ ।