পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিমলা কালীবাড়ির কারুকার্য্যখচিত প্রস্তর-নিৰ্ম্মত মন্দির যোগস্থত্র-বন্ধন এবং জাতীয় চরিত্র প্রস্ফুরণের জন্য একটি সাধারণ মিলনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা এই সকল প্রতিষ্ঠানের অন্ততম মুখ্য উদ্দেশু ছিল। বঙ্গের বাহিরের যে-সব বাঙালী বিগত শতাব্দীর প্রারম্ভে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে বিদেশে বাঙালীর নিজস্ব সভ্যতা ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিবার স্থায়ী ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন, তাহাদের নিকটে বর্তমানের প্রত্যেক প্রবাসী বাঙালী চিরকৃতজ্ঞ থাকিবেন। এই প্রবন্ধে আমি ভারত-সরকারের গ্রীষ্মকালের রাজধানী সিমলা-শৈলস্থ বাঙালী প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কালীবাড়ির কথা বলিব। বঙ্গের বাহিরে, এক বৃন্দাবনে অবস্থিত বাঙালী প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যতীত, সিমলা কালীবাড়ির মত বাঙালীর নিজস্ব এমন একটি বিরাট প্রতিষ্ঠান আর কোথাও আছে বলিয়া আমার জানা নাই। অতীতের কোন শুভ মুহূৰ্ত্তে এই কালীবাড়িটি প্রথম রূপ ধারণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তাহার জন্মপত্রিকা কেহই লিপিবদ্ধ করিয়া রাখেন নাই। তবে, যতদূর জানা যায় তাহা । যে, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে গুর্খাযুদ্ধে জয়ী হই ইংরেজরা সিমলা-শৈল অধিকার করে এবং ১৮২৩ খ্ৰীষ্টাে নবার্জিত প্রদেশটি জরিপ করিবার জন্ত তাহার কলিকা হইতে কয়েক জন সামরিক কৰ্ম্মচারীদ্বারা গঠিত যে জরিপদ সিমলায় প্রেরণ করে, তাহার সঙ্গে ভুবনমোহন বন্দ্যোপাধ্যা : রামগতি সাম্যাল, বৃন্দাবন হালদার, হরিশচন্দ্র রায়, গোবিন্দচন্দ্র হালদার প্রভৃতি কয়েক জন বাঙ্গালী কেরাণীও নক্স এবং নকলনবীশরুপে সিমলায় আসেন। সিমলা তখন হিংস্ৰজন্তুপরিপূর্ণ ভীষণ অরণ্য ছিল। এখন যেখানে ভারত সরকারের ‘রেলওয়ে বোর্ড' দপ্তরের বিরাট অট্টালিকা সগৰ্ব্বে মাথ৷ তুলিয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে, তাহারই নিকটে কোন এক স্থানে এই জরিপ-দলের শিবির স্থাপিত হয়। জনপ্রবাদ, বর্তমানে যেখানে কালীবাড়ি রহিয়াছে, সেখানে তখন এক স্ববৃহৎ দেবদারু বৃক্ষতলে এক গুহার মধ্যে একজন তান্ত্রিক সাধু চণ্ডীদেবীর বিগ্রহ স্থাপন করিয়া তাহার পূজাৰ্চনাদি