পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉషి উদেশে কিল তুলিয়া নিতু বলিল--বুড়ী ! —বুড়ী বলেই ত বলছি, মাণিক। কাজ করতে পারিনে, তোর কাকীরা মনে মনে কত রাগ করে। এমন বেী নিয়ে আসবে যে দু’বেল আমাদের কাজকৰ্ম্ম রান্নাবান্না করে খাওয়াবে, কোলে করে সকাল বিকাল তোমায় পাঠশালায় দিয়ে আসবে... কেমন ? - নিতু লজ্জা পাইয়া একদৌড়ে পলাইয়া গেল । তারপর হাসিতে হাসিতে উমানাথের দিকে ফিরিয়া বলিল—তুমিও একটা জামা গায়ে দাও, শীতের দিন—এতে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না গো--- উমানাথের অত অবকাশ নাই। কাধের চাদরের উপরেই একটা কামিজ ফেলিয়া সে পা বাড়াইল। পিছন হইতে তবু -বাধা । —শোন---- তরঙ্গিনী কহিতে লাগিল—ভাস্কর ঠাকুর খেতে বসে বডড দুঃখ করছিলেন ; আমায় শুনিয়ে শুনিয়ে সব বলছিলেন—। ভূমিকার রকম দেখিয়৷ উমানাথের মুখ শুকাইল। এককথায় ই-না করিয়া সরিয়া পড়িবার ব্যাপার ইহা নহে । ওদিকে খোল করতালের ধ্বনি ক্ষণপূৰ্ব্বে থামিয়া গিয়াছে ; অর্থাৎ গৌরচন্দ্রিক সারা হইয় নিশ্চয় এইবার পালা আরম্ভ ङ्झेल । তরঙ্গিনী বলিল—তুমি সাতেও থাক না, পাচেও থাক না । আমন দাদা-বাপের মতন বললেই হয়--র্তার সঙ্গে এসবের কি দরকার ছিল বল ত ? উমানাথ সাহস সঞ্চয় করিয়া বলিল—কিন্তু কথাটা মিথ্যে নয়। সহায়রামের ভিটে থেকে এক সরষেই বিক্রি হয় বছরে কত টাকার ? এত কাল জগদ্ধাত্রী দিদি বিদেশে পড়ে ছিলেন, নিতে-খুতে আসেন নি—এখন কিছু না দিলে চলবে কেন ? তরঙ্গিনী ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া তীব্ৰকণ্ঠে কহিল—এই যুক্তিগুলো কার শেখানো ? জমাজমি আমাদের কি আছে, না জাছে কোন দিন তুমি চোখ মেলে দেখেছ, না খবর রাখ ? জগদ্ধাত্রী-দিদির স্বায়ায় বড় টনক নড়ল। অনাথ বিধবা মানুষ—আপন পেটে ভাত জোটে না, সে তোমাকে নেমন্তয় করে চৰ্ব্বচোপ্ত খাওয়ায়, এ সমস্তই কেবল ভাইয়ে ভাইয়ে লাগিয়ে ঘর ভাঙবার মতলব ! - w কিন্তু শেষ কথাগুলি উমানাথ বোধ করি গুনিলই না। সহসা উচ্ছ্বসিত হইয়া কহিতে লাগিল—সত্যি বউ, দিদি বডড অনাথা। সত্যিই তার পেটে ভাত জোটে না। সমস্ত শুনেছ তা হলে ! কোথেকে শুনলে ? . তরদিনী আঙুল তুলিয়া দেখাইল –ঐ ভাঙী দেরাজটা খুলে দেখ। দেশে এসেছেন শ্রাবণ মাসে, সেই অবধি হুগুয়ে হুপ্তায় চিঠি। হৃদয় ঠাকুর-পো পৈতৃক শত্রুত সাধতে লেগেছে, ও-ই হয়েছে আজকাল মন্ত্রী, সে যা শিখিয়ে দেয় ঠাকরণ তাই লেখেন— উমানাথ আদ্র স্বরে বলিল—কিন্তু অবস্থা দিদির সত্যিই বড় খারাপ। সাক্ষী আমি নিজে। নিজের চোখে দেখে এসেছি। দেখে জল আসে চোখে । —তারই মধ্যে ত এই নেমস্তন্ন-আমস্তন্ন-দুধ-বি-মিষ্টিমেঠাই ! মানে বুঝতে পার ? তরঙ্গিনী সপ্রশ্নদৃষ্টিতে চাহিল । - কিছু না, কিছু না,--- উমানাথ ঘাড় নাড়িয়া কহিতে লাগিল—সমস্ত বাজে কথা বউ, আমি ওঁর বাড়ি নিজেই গেছলাম। খেতে বসেছি, হঠাৎ বৃষ্টি এল। তারপর বাইরের বৃষ্টি থামল ত ঘরের বৃষ্টি আর থামে না। ভাতের থালা নিয়ে কোথায় গিয়ে বসি-লজ্জায় দুঃখে দিদি মুখ তুলতে পারেন না। আর সেই মোট মোটা বীরপাল চালের ভাত সহায়রাম রায়ের মেয়ে, গুরু সহায়রামকে গড় না করে তিনটে জেলার কেউ কবির আসরে নামতে সাহস করে নী—তার মেয়ের এই রকম হাল ! বলিতে বলিতে উমানাথের কণ্ঠ ভারী হইয়া আসিল; হঠাৎ অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া জামাটা পরিয়া লইবার অত্যন্ত তাড়াতাড়ি পড়িয়া গেল । গান চলিতেছে । বকুল ও মাধবীলতার কুঞ্জবন, তাহারই পাশে হাটু গাড়িয়া বসিয়া মূল গায়েন মুখরা বৃন্দাদৃতীর বিদ্রপ-বাণী বিনাইয়া কৃপা কহিতেছে—মুখে জাছত মথুরার রাজা ? তোমার নবগজিনীকে श्रोएल जईब्राँ हिङअर्टांtब अकबांग्न मैंक्लिो७-cप्रथेि, रौीक छांब जांग्र कूखां