龜 ‘GG मादिकांन्न बिजिष्ठारह ¢कधम P मरम कि गप्छ कबू ८कांथांब्र करब ७क ছাখাল ছেলে বাণী ৰাজাইত—আর কাঞ্চন-লত কুলের বধু কুল ভাসাইরা कलनैौ छांनाश्ब्र क्लब जानिक नाम शूüाहेठ ? आजिकब्र ७३ দুখৰাসরের মধ্যে গন্ধদীপের জালোয় হঠাৎ যদি একটি স্নান মুখ-চন্দ্র তোমার মনের দরজার সঙ্কোচে পলকের জঙ্ক তাকাইয়া যায়, তাহাকে দূর করিয়া দিও মহারাজ, দুঃস্বল্পকে মনে ঠাই দিতে নাই••• শ্রোতাদের মুখে মুখে মান হাসি। যুগান্ত-পারের একটি সৰ্ব্বব্যাপী বিরহ-ব্যথা গানের স্বরে র্কাপিয়া কাপিয়া শীতক্লিষ্ট ক্ষীণ জ্যোৎস্নার মধ্যে সকলের বুকের মধ্যে পাক খাইয় বেড়াইতে লাগিল। উমানাথ তদগত হইয়া শুনিতেছিল। নিতাই ফিস্ ফি করিয়া ডাকিল—ছোট দাহু! তারপর গায়ে নাড়া দিয়া আবার ডাক দিল । উমানাথ কহিল—চুপ ! মিনিট কতক চুপ করিয়া নিতাই ছেড়া কানাতের ফাকে আকাশের দিকে চাহিয়া আপন মনে কত কি বকিতে বকিতে আঙুল ঘুরাইতে লাগিল। আবার প্রশ্ন করিল—শোন ছোট দাদু, জয়ন্তী বলে কি, আগে নাকি আকাশ হাতে পাওয় যেত –একদিন এক বুড়ী ঝর্ণটার বাড়ি দিয়েছিল—সত্যি ? উমানাথ টানিয়া তাহাকে আরও কোলের কাছে আনিল । --ঐ শোন খোক, গান শোন— না, বাড়ি চল— মুখ না ফিরাইয়৷ উমানাথ বলিল—স্থ । আরও খানিক বসিয়া থাকিয়া নিতাই আস্তে আস্তে সামিয়ানার বাহিরে আসিল । তাকাইয় দেখিল, ছোট দাদু কিছুই টের পায় নাই, তেমনি এক মনে গান শুনিতেছে । গায়ক তখন গাহিতেছে -- ওগো মাধব, গোকুলে চাদ ওঠে না, ভ্রমরের গুঞ্জন নাই, যমুনা কলধ্বনি ভুলিয়া গেছে আর তোমার গরবিনী রাষ্ট আজ ধূলায় পড়িয়া আছে। দশমী দশায় কণ্ঠ তাহার নিরন্ধ, শ্বাস বহে কি না বহে ; কবর খুলিয়া পড়িয়াছে, চোখের জলে শতধারা নদী বহিতেছে ; সর্থীরা তাহাকে ঘিরিয়া তোমার নাম কত শোনায়, ক্ষীণ কাঞ্চন-রেখা তযু ঈষৎ কঁাপিয়া কাপিয়া উঠে—কিন্তু চোখ মেলিৰাৱ ক্ষমতা নাই । অভাগিনী এতদিনে মরিয়া জুড়াইল বুৰি--- কৃষ্ণ অভয় দিলেন—ভয় করিও না। সখি বৃন্দ, তোমাদের কিশোর একজন দোয়ার আসরের পাশে সরিয়া তামাক খাইতেছিল, হাত নাড়িয়া উমানাথকে কাছে ডাকিল। কহিল—কেমন গান গুনছেন ছোট চাটুজ্জে মশাই ? উমানাখ বলিল—খাসা । উই—বলিয়া লোকটা ঘাড় নাড়িল বলিল—জারে মশাই, মাথুর পালা হ’ল এর নাম—চোখের জলে এতক্ষণ সতরঞ্চ ভিজে যাবার কথা। এ পাল কিছু বাধতে পারে নি। আর এ যা শুনলেন, শুনলেন ; শেষটা একেবারে কিছু হয় নি । আপনাকে মশায়, পালাট আগাগোড়া একবার ঠিক করে দিতে হবে। কর্তাবাৰু বলছিলেন আপনার কথা— উমানাথ ঘাড় নাড়িল । ইতিমধ্যে নিতাই ছুতারপট, লোহাপটী, তরকারীর হাট পার হইয়া সার্কায়ের তাবুর চারিদিকে বার আষ্টেক ঘুরিল । কিন্তু স্থবিধা কোনদিকে নাই, তাবুর কোথাও একটু ছেড়া রাখে নাই। দরজার সামনে পরদ টাঙানো, তার ফাক দিয়া একটু আধটু নজর চলে বটে, কিন্তু সেখানে জনকয়েক এমন মারমুখী হইয়া দাড়াইয়াছে যে ভিতরে - চাহিতে সাহসে কুলায় না । ওদিকে এক সারি দোকানে বড় বাহার করিয়া গ্যাসের আলো জালিয়া দিয়াছে, ঠিক যেন দিনমান। ছেলে-ছোকরার ভিড় সেখানটায় কিছু বেশী। একটা দোকানের সামনে গিয়া নিতু অবাক হইয়া গেল, তাহার বয়সী আরও তিনচারিটি ছেলে দাড়াইয়া দাড়াইয়া দেখিতেছে। অত্যাশ্চৰ্য্য ব্যাপার, একটা ইঞ্জিন আর তার সঙ্গে খান তিনচার রেলগাড়ী—পূজার সময় মামার বাড়িতে ষে গাড়ী চড়িয়া গিয়াছিল, অবিকল তাই - তবে অতিশয় ছোট—আবার লাইনও পাতা রহিয়াছে। দোকানী দূম দিয়া ছাড়িয়া দেয়, গাড়ী লাইনের উপর গড়গড় করিয়া একবার আগাইয়া যায়, আবার পিছাইয়া আসে... মজা আরও আছে অনেক। এদিকে নাগরদোলা ঘুরিতেছে, পাশের একটা দোকান হইতে রকমারী বঁাশীর স্বর আসিতেছে, মাঠে বাজী পোড়ান হইতেছে, শো-শো করিয়া হাউই আকাশে উঠিয়া তারা কাটিতেছে...অস্ত ছেলে কয়টি ছুটিয়া বাজী দেখিতে গেল। নিতাই আগাইয়া গিয়া ইঞ্জিনের গায়ে সন্তপণে একটু আঙুল বুলাইমা দেখিল। —নেবে খোকা ? পয়সা আছে কাছে ? ছ—বলিয়। রাঙাদিদির কাছ হইতে আসিবার সময় কয়টা পয়সা জানিয়াছিল, তাহাই বাহির করিয়া দেখাইল ।
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।