পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইল। রঘুনাথ শেঠঙ্গী হুইয়া গণী চাপিয়া বসিল—শরণ সিঙের বাড়িতে সছিল বহাল হইল, শুধু এখানকার বালুর নামের পূৰ্ব্বে একটু লাল রং লাগিয়া রহিল মাত্র-স্থতির মত— অস্কায়ের প্রতিফলস্বরূপ । এমন সময় সত্য সত্যই বাঘ আসিল। উত্তর-পূৰ্ব্ব কোণে একটা ক্ষুদ্র পক্ষীর মত কি যেন দেথা গেল - সঙ্গে সঙ্গে একটা শৰ। রাজী-বাহাদুর উৎফুল্প হইয়া বলিলেন, এবার আর কথা নয়, এবার সত্যি। বাহিরে দাড়াইয় আবার কল্পনা-জল্পনা চলিতে লাগিল । ক্রমে আকাশবিহারী রথ কাছে আসিল—শক স্পষ্ট হইতে স্পষ্টতর হইঙ্গ উঠিল। বেলা এই তৃতীয় প্রহরে সকলে আয়াত অভুক্ত অবস্থায় উদ্ধনেত্রে প্রখর স্বৰ্যতাপ অগ্রন্থ করিয়া স্বপ্নদৃষ্ট বিমানপোতাধিরূঢ় বন্ধুর জন্ত তপস্ত করিতে আরম্ভ করিলেন । ক্রমে আরও নিকটে—আরও নিকটে—শব্দ আরও দ্রুত আরও স্পষ্ট। নিম্নে চঞ্চলত বাড়িা উঠিল—কল্পনা দূরে রাখিয়া ব্যস্তবের জন্য মৰ্ত্তবাসী আকুল হইল। বিমানপোত ঠিক মাথার উপরে আসিয়া পড়িল-- উর্দুনেত্ৰে স্পষ্ট পড়া গেল—CT-WTR তিনটি পক্ষ সঞ্চালন করিতে করিতে মেঘরথ মাথার উপর দিয়া উড়িয়া অগ্রসর হইয়া গেল । রাজী-বাহাদুর অধৈৰ্য্য হইয়া আকাশকে প্রশ্ন করিলেন,একি ! নামিবার মাঠ ভুল করিল নাকি ? আকাশের দিকে চাহিয়াই গদাধরবাবু বলিলেন,– তাহ নয়, এমন করিয়াই যে নামে। এখনও কম্ব চক্কর যে দিবে, তাহার স্থিরতা নাই । তাহার পর আবার স্তব্ধতা। ঘর্ঘর শব্দে বাম কাৎ ঘুরিয়৷ বিমানপোত আবার তাহার আল-পথে চলিল। নরলোকের দৃষ্টি সেপথে তাহকে অমুসরণ করিল। আবার দিক • * - تبیینچی عبا بیمه -- ঘূরিল, পিছন ফিরিল, ক্রমশঃ নীচে—জারও নীচে এবং আরও নীচে জাসিয়া একেবারে পদচক্ৰ দিয়া ভূমি স্পর্শ করিল। স্পর্শ করিয়াই একেবারে সোজা দোঁড়িয়া আদিতে লাগিল । তাবুর সম্মুখের উৎসুক প্রাণীর দল এই প্রকাও বিদেমের জন্ত পথ ছাড়িয়া দিয়া জালে সরিয়া দাড়াইল। ग्रंङि खक इट्रेज-विङ्क्रय शास्र श्ब्र मैंप्लांझेब्र निःश्वांग ফেলিল। কক্ষদ্বার খুলিয়া দুইটি শ্বেভকায় মানব নামিয়া wtforma i ft zing firma, His Excellency বাধা দিয়া একজন বলিল,—তিনি আসেন নাই-ট্রেনে আসিয়া এখানে উঠবেন। আমি তাহার সেক্রেটারী। । রাজা-বাহাদুর বসিয়া পড়িলেন। রায়-বাহাদুর জ্ঞকুঞ্চিত করিয়া গুৰমুখে টােক গিলিবার চেষ্টা করিলেন। মোহিত ঘড়ি খুলিয়া দেখিল, বেলা আড়াইট । প্রসাদ সাহেব তখন শুদ্ধমুখে হাসি টানিয়া তপশ্চারীদের পরিচয়প্রদানে অগ্রসর হইয়াছেন ; ইনি আমাদের রাজা-বাহাদুর— মোহিতের কানে আর কিছু ধাইতেছিল না। সে যেন চলচ্চিত্র দেখিতেছে ; একই অভিনয়ের পুনরাবৃত্তি । শত শত বৎসরেও সেই অভিনয়ের বিন্দু মাত্র পরিবর্তন হয় নাই। সেই সনাতন নটের দল পুরাতন ভূমিকাই আবৃত্তি করিতেছে— শুধু বেশ-বিন্যাস একটু বদলাইয় গিয়াছে মাত্র। সেই পুরাতন আকাশ, নিয়ে সেই পুরাতন ধরণী ; বৃক্ষ, লতা, পত্র, পুপ তেমনি জড় ও অসার। দিগন্তবিস্তৃত রৌদ্রতপ্ত মাঠের মধ্যে এই ক্লান্ত দ্বিগ্রহরে অস্নাত ও অভূক্ত অবস্থায় তাহার মনে হইতেছিল, সে যেন একটা অসীম জড়ত্বের মাঝখানে ক্রমশ: নিশ্চল হইয়া যাইতেছে—প্রস্তরীভূত দেহভার চলে না, মন স্থির—অসাড় । ইহাই কি মাতৃ ? মৃতের কি পরিবর্তন নাই ? সবার অলক্ষিতে সে একটু বালু তুলিয়া দেখিল। সাদা বালু–ভারতবর্ষের সর্বত্রই মিলে !