পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€38 আমার নিম্নবর্ণিত স্বপ্নটা দেখিলাম— আমার চাকর ধেন আমাকে এই বলিয়া ডাকিল যে, चनंबांथ, वणब्राय ७ीद९ इङश यांभांब्र नtत्र cनशां कब्रिटङ জালিতেছেন। আমি উঠিয়া মুক্তার দিয়া দেখিলাম যে, বাস্তবিকই দেৰতাত্রয় আসিতেছেন এবং পঞ্চাশ-যাট গজ দূরে থাছেন। তাহারা আসিলে আমি প্রণাম করিব কি-না এই চিন্তা মনে হইল। সিদ্ধাস্ত করিলাম যে, প্রণাম করা একটা শিক্টাচার মাত্র এবং যখন কোটি কোটি লোক তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া থাকে, তখন আমার মত কীটেরও প্ৰণাম করাই কৰ্ত্তব্য । এই ভাবিতেছি এমন সময়ে তাহারা আসিয়া একেবারে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ কারতে করিতেই জগন্নাথ বলিলেন, “ওহে তোমার সঙ্গে কোলাকুলি কারব।" আমি হাসিয়া বলিলাম, “আপনি কোলাকুলি করিবেন কেমন করিয়া ? আপনার যে হাত—” আমার এই সভা পরিহাস গুনিয়া স্বভা ক্রুদ্ধ হইয়া সবেগে ঘুরিয়া বাহির হইয় গেলেন। তিনি এত বেগে ঘুরিয়ছিলেন যে, তাহার ঘাগরাও ঘুরিয়া তাহার পায়ে জড়াইয় গিয়াছিল। আমি বলরামের দিকে চাহিয়া দেখিলাম তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়াছে। যে বলরামকে দেখিয়া সৌতি "প্রবচনাতন SలBOT অভুখান করেন নাই বলিয়া তিনি সৌতিকে তৎক্ষণাৎ বধ করিয়াছিলেন, সেই বলরাম আমার পরিহালে রক্তচক্ষু হইয়াছেন ইহাতে আমার হৃৎকম্প উপস্থিত হইবারই কথা । কিন্তু আমার মনে কোনরূপ ভয় পরিস্ফুট হইবার পূর্বেই জগন্নাথ আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়া বলিলেন, “দেখই না কেমন করিম কোলাকুলি করি।” এই বলিয়াই তিনি আমাকে জড়াইয়৷ ধরিলেন । র্তাহার কুলো হাতের একটা খোচা আমার পিঠে লাগিল। তাহার পরই নিদ্রাভঙ্গ । দেখিলাম আমার পিঠের নীচে একটা দেশলাইয়ের বাক্স রহিয়াছে। তাহারই একটু খোচা আমার পিঠে লাগিয়া আমার নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছিল। খোচা লাগার পর ঘুম ভাঙিতে হয়ত দুই-এক সেকেণ্ড লাগিয়াছিল। ইহার মধ্যে সেই স্বপ্নটা দেখিয়াছিলাম। স্বপ্নে দেশলাইয়ের খোচাটা জগন্নাথের চুলো হাতের খোচারূপে পরিবর্তিত হইয়াছিল। আমার এই স্বপ্নবৃত্তাস্ত দুই-একবার বন্ধুদের বলিয়াছিলাম । তাহারা সকলেই ধন্য ধন্ত করিয়া আমাকে অভিনন্দিত করিয়াছিলেন ; কেননা স্বয়ং জগন্নাথ কেবল ষে আমাকে স্বপ্নে দর্শন দিয়াছিলেন তাহী নহে, আমাকে আলিঙ্গনও করিয়াছিলেন । সন্ধি ঐযতীন্দ্রমোহন সিংহ కాల్షణ(ఆఆ নীহারিকার কথা শিক্ষয়িত্রীর কার্ধ্যের অভিজ্ঞতা আমি ভবানীপুর স্কুলে কিছু কিছু অর্জন করিয়াছিলাম। কিন্তু সেখানে অন্ত আর এক জনের অধীনে কাজ করিতে হইত বলিয়া আড়ষ্ট হুইয়া থাকিতে হইত। এখানে আমিই প্রধান শিক্ষয়িত্রী, আমি স্বাধীন ভাবে সকল কাজের বন্দোবস্ত করিতে লাগিলাম। নিস্তারিণী বয়সে আমার অনেক বড় এবং এখানে অনেক দিন কাজ করিতেছেন। আমি অনেক বিষয়ে তাহার পরামর্শ লইয় কাজ করিতে লাগিলাম। ইহাতে তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকিলেন । রাজবাড়ীর স্বেরূপ বন্দোবস্তু, তাহাতে আহারাদির কোন অন্ধবিধা ছিল না। তবে বোডিঙে পশ্চিমে ঠাকুরের রান্ন, আর ক্রমাগত কলাইয়ের ডাল খাওয়া ভাল লাগিত না । মেয়েদিগকে রন্ধন শিক্ষা দেওয়ার জন্ত আমি মধ্যে মধ্যে তাহাদিগকে রাধিতে বলিতাম এবং আমিও তাহাদিগকে দেখাইমা দিতাম। আর নিজের পয়সা দিয়া মধ্যে মধ্যে বাজার হইতে মাছ তরকারি আনাইয়া খাইতাম । এইরূপে গোছগাছ করিয়া বসিয়া আমি আমার নিজের পড়ায় মন দিলাম। আমার পাঠ্য ইংরেজী সাহিত্য আমি অনেকট পড়িয়াছিলাম। সে-সকল পুস্তকের ভাল নোট ছিল। সেই নোটের সাহায্যে অর্থ বুঝিতে কষ্ট হইত না । কিন্তু সংস্কৃত অামার