পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e8 দোকানী কহিল—ণ্ডতে হবে না ত, টাকা লাগবে। কার সঙ্গে এসেছ ? যাও বাবাকে ডেকে নিয়ে এস, দশটা অবধি আমার দোকান খোলা আছে। যাও-- নিতুর অদৃষ্ট ভাল, ছোট দাদু অবধি যাইতে হইল না, সামনেই পড়িয়া গেলেন ক্ষেত্রনাথ। রোজ বিকালেই ক্ষেত্রনখকে মেলাম আদিতে হয়। সঙ্কীর্তনের আকর্ষণে নয় ; মেলার মধ্যে চারিদিককার গ্রাম হইতে বিস্তর খেজুর গুড় আমদানী হয়। প্রতি বছর এই সময়টায় । তিনি কিছু গুড় কিনিয়া রাখিয়া বর্ষাকালে দক্ষিণের ব্যাপারীরা আসিয়া পড়িলে ছাড়িয়া দেন। এই প্রকারে দু-পক্ষস লভ্য হইয়৷ থাকে । নিতাই ক্ষেত্রনাথকে জড়াইয়া ধরিল। ক্ষেত্রনাথ কহিলেন—এসেছ আজ আবার ? কি বলবে বলে ফেল— দেরী কেন দাদ, ক্ষিধে ? বাড়ি থেকে পা বাড়ালেই ক্ষিধে অমনি সঙ্গে সঙ্গে পিছু নেয়— নিতাই হাসিয়া আবদারের স্বরে কহিল—কৰ্ত্তাদাদু ইদিকে একবার এস-শীগগীর এসে দেখে যাও— —গাট খালি—এই দেখ, আজ কিছু হবে না— কিন্তু উন্টাগাট উচু হইয়া রহিয়াছে, নিতুর সেদিকে নজর আছে। বলিল-না কৰ্ত্তাদাদু, আমার ক্ষিদে পায়নি— সত্যি পায়নি-বিদের কিরে। তুমি একটিবার এসে শুধু দেখে যাও... গাড়ী ও ইঞ্জিনের দাম দোকানী ইাকিল পাচ সিক। অগ্নিমূৰ্ত্তি হইয় ক্ষেত্রনাথ বলিতে লাগিলেন–দিনে ডাকাতি করতে এসেছ এখানে ? ঐ ত টিনের পাত, জিল-জিল করছে, তিনটে দিনও টিকবে না । আয় খোকা, চলে আম— কি হবে ৪ দিয়ে ? আমরা নেব ন!— দোকানী নিরুত্তরে প্রিঙে দম দিতেছিল। ছাড়িয়া দিতে ইঞ্জিন লাইনের উপর ছুটিতে মুরু করিল। —চলে জায়—বলিয়া ক্ষেত্রনাথ নিতুর হাত ধরিয়া টানিলেন; কিন্তু সে নড়ে না। আর একবার টান দিতে দোকানের খুঁটি জাপটাইয়া চীৎকার শৰে নিতাই কারা জুড়িয় দিল । —সব তাতে তোমার ইয়ে—না ? পাজী কাহাকা— ক্ষেত্ৰনাথ বড় টানেন তত জোরে সে খুঁটি জাটা ধরে। SOBO उाब्रभद्र भू िशज्राहेब cशन उ कान शब्रिरङ यांश् । नानान ন পাইয়া সেইখানে মাটির উপর আছড়াইয় পড়িল। —ছুসনি, ছুসনি—অ হতচ্ছাড়া ছেলে, দিলি বুঝি এই রাত্তিরে ছয়ে ? শঙ্কিত ব্যস্ত স্ত্রীকণ্ঠ। সে মেলায় আসে নাই, রাস্তার ধারে ছইওয়ালা একখান। গরুর গাড়ীতে বসিয়া , অপেক্ষ করিতেছিল। গণ্ডগোল ও ছোটছেলের কান্না শুনিয়া কয়েক পা আগাইয়া উকি দিয়া ব্যাপারটা দেখিতেছিল। একদিকে শুপাকার বাঁশের চাচাড়ি পড়িআছিল, সেইখানে বসিয়া মেলার যাবতীয় বঁাশের কাজকৰ্ম্ম হইয়াছে—স্ট্রিীলোকটি স্পর্শদোষ বাচাইতে ছুটিয় তাহার উপর উঠিল। লোক জমিয়া যাইতেছে দেখিয়া ক্ষেত্রনাথ নিতুকে ছাড়িয়া এক পাশে দাড়াইলেন । জনমত ক্ষেত্রনাথের প্রতিকূলে। যার যেমন খুণী মন্তব্য করিতে লাগিল –আচ্ছ গোয়ার গোবিন্দ হে ! মেরেই ফেলেছিল ছেলেটাকে ।-শাসন করতে হয় বলে এমনি শাসন ?...রক্ত পড়ছে যে-লোকটা কে হে - ধরে জেলে দেওয়া উচিত.. নিতুর হাতে-পায়ে আঁচড় লাগিয়া দু-এক ফোট রক্ত পড়িতেছিল, তাহা ঠিক । ক্ষেত্রনাথকে যাহারা চিনিত তাহারা অত দরদ দিয়া সম্বৰ্দ্ধনা করিতে পারিল না। বলিল—যা হবার হয়েছে চাটুজ্জে মশায়, রাগ না চণ্ডাল--আর দাড়িয়ে থাকবেন না তুলে নিন নাতিকে, বাড়ি গিয়ে কাট জায়গায় তেলটেল দিন গে। ..হাটিয়ে নেবেন না যেন – গাড়ী ক'রে চলে যান। স্ত্রীলোকটি ইতিমধ্যে নিৰ্ব্বিগ্ন স্তুপ হইতে নামিয়া নিতুকে কোলে তুলিয়া শাস্ত করিতে বসিয়া গিয়াছে। প্রৌঢ় বিধবা ; দেহু ক্ষীণ বটে, কিন্তু কণ্ঠস্বরের জোর যেমন অসামান্ত তেমনি উহা যেন মধু ছড়াইতে ছড়াইতে বহিয়া যায়। ক্ষেত্রনাথের দিকে এক পলক তীব্র দৃষ্টি হানিয়া বিধবা কঠিল—পয়লাকড়ি চিতের সঙ্গে নিয়ে উঠবে না কি ? অতিশয় সঙ্গীন প্রশ্ন। উচিতমত উত্তর দিতে গেলে মেলাক্ষেত্রে আবার একদফা দুৰ্যোগ ঘটিবার সম্ভবন । বিশ গ্রামের লোকের সম্মুখে ক্ষেত্রনাথের আর তাহাতে উৎসাহ নাই। কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই, যাঁহাকে লইয়া এত, লোকের