পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মাঘ । সন্ধি 82° দুৰ্ব্বলপ্রকৃত্ত্বি মহিষের মনকে জয় করতে পারে না। সেজন্য গাহৰ্ষ্য প্রভৃতি এক একটি আশ্রমকে আশ্রয় করে ক্রমে ক্রমে কামন-সকল ভোগের দ্বারা তৃপ্ত করে তবে মনকে জয় করতে হবে । এই সকল বাক্যের উদ্দেশ্ব এই, পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোককে ধৰ্ম্মজীবন যাপন করতে হ’লে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গাহ স্থধৰ্ম্ম পালন করতে হবে। সন্তানজননও বিবাহের একটা উদ্দেশু বইকি ? তা না হ’লে বংশ রক্ষা হয় না, স্বল্প রক্ষা হয় না। আবার নারীর মা হওয়ার একটা প্রবল আকাজক্ষ আছে, তার পরিতৃপ্তিও আবশ্যক । শাস্ত্রকারগণের মতে বিবাহের পর একটি পুত্র হওয়াই যথেষ্ট। এ:ভ করে বুঝতে পার, ' কেবল সন্তানজননই বিবাহের উদ্দেশ্য নয় । মামুষের ইন্দ্রিয়গ্রাম স্বভাবতঃ প্রবল, বিশেষতঃ যৌবনকালে তার অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ হয়ে উঠে । তাহাদিগকে ভোগের দ্বারা ক্রমশঃ দমন করতে হবে, সেজন্য বিবাহ করা উচিত ; নচেৎ তার কোন অতর্কিত মুহূৰ্বে প্রবল অনর্থ ঘটাতে পারে । শাস্ত্রে এর বহু দুষ্টান্ত আছে, তা বলবার প্রয়োজন নেই।” আমি বলিলাম, “পণ্ডিত মশায়, আপনি গাহস্থ্যি ধৰ্ম্মের এত প্রশংসা করলেন, কিন্তু বিবাহ না করেও ত সমাজের বা দেশের হিতের জন্য জীবন উৎসর্গ করে মনুষ্যত্ব লাভ হ’তে পারে। যেমন স্বামী বিবেকানন্দ প্রভৃতি করেছিলেন।” পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ অসাধারণ লোক ছিলেন, তার পরে তিনি মহাপুরুষের রুপা পেয়েছিলেন। র্তার আচরণ সাধারণ নিয়মের বাইরে। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও ত তার অন্যান্ত শিষ্যদের উপদেশ দেওয়ার সময় বলতেন, যেমন দুর্গে থেকে শত্রু জয় করা সহজ, সেইরূপ গৃহী লোকের পক্ষে ইন্দ্রিয় জয় কর সোজা। সাধারণ লোকের পক্ষে গাহৰ্ষ্য ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেই মনুষ্যত্ব লাভ করতে হবে । মনুষ্যত্বলাভ কিরূপে হয় ? না, আত্মসংযম, আত্মত্যাগ, আত্মসম্প্রসারণ দ্বারা। আমি তোমায় দৃষ্টান্ত দ্বারাই ত বুঝাচ্ছি। তুমি যদি বিবাহ না করে এরূপ চাকরি করে জীবন কাটাও, তবে তা’তে ক'রে তোমার নিজের স্বথস্বচ্ছন্দত লাভ হবে সন্দেহ নাই, কিন্তু তোমার আত্মা কেবল নিজেকে নিয়েই সঙ্কুচিত ইয়ে থাকবে । কিন্তু বিবাহ করলে তোমাকে নিজের স্বর্থपहिमडी अन्नकर्के मूकाफ़ क"cग्न चांशै, जडान ७ अछांछ - yمه আত্মীয়স্বজনের স্বখের জন্ত অনেকটা আত্মত্যাগ স্বীকার করতে হবে, তাতে ক’রে তোমার আত্মা ক্রমে সম্প্রসারিত হবে । এইরূপে পরার্থপরতা অভ্যাস করলে ক্রমে তা পারিবারিক গণ্ডী ছাড়িয়ে সমাজ, দেশ ও ঈশ্বরের দিকে ব্যাপ্ত হবে। এইরূপে মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়।” আমি জিজ্ঞাসা করিলুম, “গাহস্থ্যি জীবনে স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য কি ?” পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, “সে-সম্বন্ধে মহর্ষি মমু বলেছেন, “পতিং যা নাভিচরতি মনোবাকৃ দেহু সংষতা । স ভর্তৃলোকানাপ্নোতি সন্ত সাধ্বীতি,ঘোষাতে।” অর্থাৎ যে নারী বাক্য, মন ও দেহ সংযত করিয়া পতির সেবা করে, সে মৃত্যুর পরে স্বামীর সহিত স্বৰ্গস্থখ ভোগ করে, তাহাকে সংলোকেরা সাধবী বলেন ।” আমি বলিলাম, “কিন্তু স্বামী যদি জ্বরাচার হয়, স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে, তখন স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য কি ? স্ত্রী কি সে স্বামীরও অধীন হয়ে থাকবে ?” পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, “সকল অবস্থায়ই স্বামী-সেবা স্ত্রীর অবশ্যকৰ্ত্তব্য, কোন অবস্থায়ই স্বামীকে ত্যাগ করা উচিত নয়। তবে স্বামী যদি অধৰ্ম্মাচরণ করে, স্ত্রীর সেই অধৰ্ম্মীচরণের সহায়তা করা উচিত নয়, কারণ স্ত্রীর আর এক নাম সহধৰ্ম্মিণী । বিরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েও যে স্ত্রী তার কৰ্ত্তব্য হ’তে ভ্ৰষ্ট না হয় সেই ধন্য ।” আমি বলিলাম, “কিন্তু তাতে তার মনুষ্যত্ব লাভ হবে কিরূপে ?” পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, “কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েও সংযম, সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে কৰ্ত্তব্যে স্থির থাকতে পারলে তা’তে ক’রে আত্মার বল বৃদ্ধি হয় এবং মনুষ্যত্বের পথে অগ্রসর হওয়া যায়। আজ এই পৰ্য্যন্ত থাকুক। এখন তোমার পাঠ অধ্যয়ন কর।” - আমি সেদিনকার পড়া আরম্ভ করিলাম। পড়া শেষ হইলে পণ্ডিত মহাশয় গাত্ৰোখান করিলেন। আমিও স্বানাহার করিয়া যথাসময়ে স্কুলে গেলাম। সেদিন রাত্রে গুইয়৷ গুইয়া পণ্ডিত মহাশয়ের কথাগুলি চিস্তা করিতে লাগিলাম। তিনি প্রাচীন সমাজের লোক শাস্ত্রকারদের মতে শিক্ষিত, তাহার নিকট সেকালের মতগুলি জানিতে পারিলাম। এগুলিও