পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা করণ ও অপাদান কারক . ঐীরমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে রাজা রামমোহন রায় তাহার ইংরেজী ভাষায় লিখিত বাংলা ব্যাকরণে লিখিয়াছিলেন যে, “বাংলায় বোধ হয় কারকের (ease) সংখ্যা কমাইয়া চার করা যায়—কৰ্ত্তা, কৰ্ম্ম, সম্বন্ধ ও অধিকরণ ” সম্বন্ধকে এখন অনেক বৈয়াকরণ "কারক” পৰ্য্যায়ে ফেলিতে চাহেন না :# ঐটি বাদ দিলে, রাজা রামমোহনের কথায় বলিতে হয় তিনটি কারক হইলে চলিতে পারে। কিন্তু বাস্তবিক, শুধু কওঁ, কৰ্ম্ম ও অধিকরণ লইয়া বাংলা ভাষা কেমন দেখাইবে ? এবিষয়ে আমাদের সঞ্চিত সংস্কারে আঘাত লাগিলেও, একটু আলোচনা করিম দেখিতে বাধা নাই ; কারণ ইহা দ্বারা কাহারও ক্ষতিবৃদ্ধি হইবে না। সংস্কৃত ও বাংলা সংস্কৃত-ভাণ্ডার হইতে বাংলা ভাষা বহু রত্ব গ্রহণ করিয়াছে এবং ভবিষ্যতেও করিবে। সংস্কৃত বাংলার জননী কি না, এবিষয়ে কাহারও কাহারও সন্দেহ থাকিলেও, সংস্কৃত যে বাংলার স্তন্তদায়িনী তাহাতে সন্দেহের কারণ নাই। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণের ছাপ বাংলা ব্যাকরণে স্পষ্ট দৃষ্ট হইলেও, সংস্কৃত ও বাংলা ব্যাকরণে যে অনেক গুরুতর প্রভেদ আছে, তাহার সবিস্তার উল্লেখ বাহুল্য মাত্র। তবে, কয়েকটি স্কুল বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করিলেই আমরা বুঝিতে পারিব যে সংস্কৃত ব্যাকরণের সহিত মোটা মোটা প্রভেদ সত্ত্বেও বাংলা ভাষা স্বচ্ছন্দ গতিতে চলিয়া আসিয়াছে। ६५ी 3 ( ১ ) বাংলায় দ্বিবচনের বিভক্তি (চিহ্ন ) নাই (দ্বয় প্রভৃতি পৃথক শব্দদ্বারা দ্বিবচন প্রকাশ করা যাইতে পারে ), সংস্কৃতে আছে । (২ ) বাংলা ক্রিয়ায় একবচন, দ্বিবচন, ও বহুবচনে বিভক্তির পার্থক্য নাই যেমন সংস্কৃতে আছে। (৩) সংস্কৃতে “ঔচিত্য” ও “জাণীৰ্ব্বাদ” ইত্যাদি বুঝাইতে ক্রিয়ার পৃথক্ রূপ হয় k বাংলায় সেরূপ কিছুই নাই। ( ৪ ) নিজের জন্য কাৰ্য্য করিলে, “আত্মনেপদ,” পরের জন্য “পরন্মৈপদ” এ প্রকারের কোন পার্থক্য বাংলায় কোন কালেই ছিল না। ( ৫ ) ভিন্ন ভিন্ন স্বরান্ত ও ভিন্ন ভিন্ন ব্যঞ্জনান্ত শব্দের রূপের ও লিঙ্গভেদে রূপের পার্থক্য বাংলায় নাই । (৬) আধুনিক অনেক বাংলা ব্যাকরণকার বাংলায় সম্প্রদান কারকের আবশ্বকতা স্বীকার করেন না । ( রাজা রামমোহনের কারক সম্বন্ধে এই মত এক্ষণে অনেকে গ্রহণ করিয়াছেন । ) সংস্কৃতের সঙ্গে বাংলা ভাষার এতগুলি পার্থক্য নিজে নিজেই বাংলা ব্যাকরণের অঙ্গীভূত হইয়া পড়িয়াছে । সম্ভবত, কেহ প্রকাগু চেষ্টা করিয়া এই প্রভেদগুলি স্থাপন করেন নাই বলিয়া সংস্কৃত ব্যাকরণের পক্ষপাতী কাহারও মনে আঘাত লাগে নাই । করণ ও অপাদনের বিশেষত্ব সম্প্রদান কারক ব্যতীত আরও দুইটি কারক সম্বন্ধে সংস্কৃত ও বাংলা ব্যাকরণে গুরুতর প্রভেদ আছে বলিয়া মনে হয়। এই দুইটি—করণ ও অপাদান। অন্ত কারকগুলিতে যে বিভক্তির চিহ্ন ব্যবহার হয়, তাহ শব্দের সহিত যুক্ত হইয়া যায়। যথা—রাম-কে, ঘরে-তে, আকাশ-এ। কিন্তু করণ ও অপাদান পৃথক শব্দ সংযোগ করিয়াই অনেক সময় প্রস্তুত হয়— কলম-দ্বারা, অথবা কলমের দ্বারা, ঘরহইতে, আকাশ-থেকে। করণ ও অপাদানকে এই জন্ত বাক্যাংশ কারক (phrase cases ) বলা বাইতে পারে। করণ কারকের কথা একখানি বহুল প্রচলিত ব্যাকরণেী “ৰাৱা” “দিন৷”

  1. to wou Genitive of case I
  • বিধিলিঙ, ও আশীলিণ্ড । + জীনকুলেশ্বর ৰিভারত্ব প্রণীত ভাষাবোধ ৰাঙ্গাল ব্যাক 8ণ।