পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* মাঘ সম্বন্ধে এই মন্তব্য আছে —“দ্বারা” এই শব্দ করণার্থ প্রকাশ করে ; “দিম৷” এই অসমাপিকা ক্রিয়া সময়ে সময়ে করণার্থ প্রকাশ করে । - “লাঠি দিয়া” এই কারণ কারক সম্বন্ধে বলা হইয়াছে— “লাঠি দিয়া এই বাক্যাংশ করণ কারক বলিয়া তৎপরে “দিম।" অসমাপিক ক্রিয়া, লাঠি উহার কৰ্ম্ম এইরূপ পদপরিচয় দিতে হইবে।” সাধারণ বাঙালী পাঠক এক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, উক্ত পদপরিচয়ে করণ কারকের প্রসঙ্গটুকু একেবারে বাদ দিলে কি ক্ষতি হয় ? বোধ হয়, তাহা হইলে, অর্থের দুরূহত্ব অথবা ব্যাকরণের জটিলতাবুদ্ধি, ইহার কোনটিই হয় না । বিখ্যাত শবতত্ত্ববিৎ ডাক্তার স্বনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, “দ্বারা” “কর্তৃক” “দিমু|” ইত্যাদি “শবা”গুলি করণ কারকের ( ৩য় বিভক্তির ) অর্থ প্রকাশ করিবার জন্য অন্ত শব্দের সহিত ব্যবহার হয়। এগুলিকে তিনি Post-Positions (অতু শব অথবা বিভক্তিসূচক শব্দ ? ) এই নাম দিয়াছেন। “দ্বারা” দিয়া” “কৰ্ভুক" সম্বন্ধে প্রাচীনপন্থী বৈয়াকরণেরাও উপরি উক্ত মতের সমর্থক। যথা—“দ্বারা এইটি সংস্কৃত ‘দার’— শব্দের তৃতীয় । “দিম্বা'--এইটি ‘দ্বারা’র অপভ্রংশ মাত্র। “রামকর্তৃক দৃষ্ট ইত্যাদিতে রাম কৰ্ত্ত যাহার ঈদৃশ ব্যাসবাক্য হইতে পদগুলি উৎপন্ন। উত্তরকালে কর্তৃক এইটি স্বলিত হইয়া বিভক্তি হইয় দাড়াইয়াছে।”* একটি পৃথক শব্দ সমস্ত পদ হইতে “স্থলিত হইলে, অর্থাৎ অন্য শব্দ হইতে একটু দূরে বসাইয়া লিখিলে তাহা বিভক্তি বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে কি-না তাহা শব্দতত্ত্ববেত্তারা বিচার করিবেন । কিন্তু উপরি-উদ্ধৃত কথা হইতে ইহা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, “দ্বারা” “দিয়া” "কর্তৃক” ইহারা যে মূলতঃ এক একটি শব্দ, বিভক্তি চিহ্ন নহে, তাহা সকলেই স্বীকার করেন। “করিয়া” শব্দ যোগেও সমন্ন সময় করণার্থ প্রকাশ পায়—“হাতে করিয়া দাও”। এখানে “করিয়া” বিভক্তি নহে। এইটুকু যদি স্বীকার করায় আপত্তি না থাকে, তবে পৃথক দুইটি শবকে পৃথক দেখাই অধিকতর সঙ্গত । “রাম দ্বারা” অথবা “রামের দ্বারা” ইত্যাদি বাক্যাংশকে


* दृश्९ गोंश्छिा aटक्नं १e नरकब्र१ ।। কিন্তু এই পুণ্ডকেই শব্দবিভক্তি" *र्षांप्न “चांब्रा” "ब्रिा" श्छानिएक कृठौब्रा क्छिछि cनथांन इश्ब्रांtइ ।

बॉ९णों कङ्गणं ७ अक्रोशांत्र कांब्रक GeƏ “দ্বারা” শব্দ যোগে প্রথম অথবা ষষ্ঠী* বলায় কোন গুরুতর ভ্রম হয় কি নী, তাহ বিবেচনা করা উচিত। একই শবের যোগে একবচনে এক বিভক্তি আর বহুবচনে অপর বিভক্তি, এই আপত্তি উঠিলে, তাহাও খণ্ডন করা যায়। কৰ্শ্বের (দ্বিতীয়ার ) “কে” বিভক্তি সৰ্ব্বত্র ব্যবহৃত হয় না— “এমন ছেলে দেখি নাই,” “তোমার ছেলেকে ভাক ৷” কৰ্ত্তার “এ” বিভক্তি একবচনে অনেক সময়ই লোপ হয় । “দশ জন যাহা বলে,” “দশ জনে যাহা বলে।” “রাম অপেক্ষা” অথবা “রামের অপেক্ষ শুাম ভাল” ইত্যাদিরও প্রয়োগ আছে। এই সব দৃষ্টাস্তের অনুরূপ—“রাম , দ্বারা” এই বাক্যাংশে "র" বিভক্তির লোপ ( বিকল্পে ) বলা যাইতে পারে । অপাদানের কথা করণ ( ৩য়া বিভক্তি ) সম্বন্ধে যাহা বলা হইল অপাদান সম্বন্ধেও সেইরূপ বলা যায়। “হইতে” “থেকে” এই দুইটিকে পঞ্চমী বিভক্তির চিহ্ন বলিয়া সকল ব্যাকরণেই দেখান হয় । মুনীতিবাবুর গ্রন্থে ; এগুলিকেও “বিভক্তিস্থচক শব" বলা হইয়াছে। বাস্তবিক, সাধারণ বুদ্ধিতেও ইহা স্পষ্টই ধরা পড়ে যে, “হইতে” “থাকিয়া (থেকে)” “চাহিয়া ( চেম্নে )” ইত্যাদি ক্রিয়াপদ পঞ্চমী বিভক্তির অপ প্রকাশ করার জন্য অন্ত শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। “হইতে" প্রভৃতি শব্দকে যদি “বিভক্তি” বলা সঙ্গত হয়, তবে আরও অনেক শব্দকে ঐ একই কারণে “বিভক্তি” বলা যাইতে পারে। যথা--“রামের অপেক্ষা শু্যাম বড়”—এই বাক্যে “রামের অপেক্ষা” এই বাক্যাংশ, “রাম" শব্দে সংস্কৃত পঞ্চমী বিভক্তি যোগ করিলে যাহা হয় ( রামাং) তাহাই প্রকাশ করিতেছে। সুতরাং “রামের অপেক্ষা” ও “রাম অপেক্ষা” এই দুই স্থলেই "অপেক্ষ" শব্দকে পঞ্চমী বিভক্তির চিহ্ন বলা যাইতে পারে। কোন কোন স্থলে “রামের করতে খাম ভালো” এরূপ তুলনার্থক উক্তি ব্যবহৃত হয়। এখানেও

  • ब्रांछ ब्रामद्दभांइन भरै कथाई रुणिम्नाएइम । * ভাষাবোধ ব্যাকরণ । 1 Origin and Development of the Bengali Language. § Crigin and Development of the Bengali Language. P. 767.