• “ – 2... বান্তিক cनबैोगाण ब्राख्नङ्ग जिन्यूक ممن ee এমন দুশ্চিন্তা, চক্ষের পলকে সেই নিতাইচন্দ্র লাফ মারিয়া ওদিকে ছইয়ের মধ্যেও মুম্বকণ্ঠে কথাবার্তা স্বাক্ষ হইয়াছে । উঠিয়া পুনশ্চ দোকানের খুঁটি আঁটিয়া ধরিয়া দাড়াইল । নিতুর মতে এ জগতের একটি লোকও ভাল নয়। বিধবা বলিল—দাও না গো দোকানী, ছেলেমানুষ ধরে —কৰ্ত্তাদাদু ? বসেছে—দিয়ে দাও সস্ত করে। --মারে । দোকানী বলিতে লাগিল—একটাকার কম দেওয়া যায় —মেজ কাকী, ছোট কাকী ? না মা, কল বলেই না এত দাম। এই গাড়ীটে নিন, চার —তারাও । পয়সায় দিচ্ছি। চাকা আছে, চোঙ আছে, কিন্তু টানতে হবে দড়ি বেঁধে— —আমরা দড়ি বেঁধেই টানব, কি বল খোকা ? বলিয়৷ চারপয়সার গাড়ীটা তুলিয়া সে নিতুর হাতে দিল। ক্ষেত্রনাথ চিনিতে পারেন নাই, কিন্তু রঙ্গস্থলে হৃদয় রায় আসিয়া পড়িতেই পরিচয় প্রকাশ পাইল । হৃদয়ের হাতে একবোঝা হাটের বেসাতি। বলিল—আমার কেনাকাটা হয়ে গেছে, এইবার গাড়ীতে চলুন দিদি অর্থাৎ চল্লিশ বছর পরে জগদ্ধাত্রী বাপের বাড়ির গ্রামে ফিরিতেছে, হৃদয় মুরুব্বি হইয়ু লইয়া যাইতেছে। দূর জ্ঞাতিসম্পর্কের এই দিদিটির প্রতি ভক্তি তাহার যেরূপ, গুরুঞ্জনদিগের প্রতি সেই প্রকার ভক্তি এই কলিযুগের দিনে লোকে যেন শিক্ষা করিয়া রাখে । জগদ্ধাত্রী ডাকিল— গাড়ীতে এসে থোকা—এবং নিতুকে কোলে তুলিয়া গাড়ীতে উঠিয়া বসিল । নিঃশব্দ গ্রামপথ । কচিৎ কখনও মেলার ফিরতি দু-একটি লোকের সঙ্গে দেখা হইয়া যায়। বালুপথে গরুর গাড়ীর শব্দ হইতেছে না। গাড়ীর পিছনে পিছনে ক্ষেত্রনাথ ও হৃদয় পাশাপাশি চলিয়াছেন। খানিকক্ষণ পরে হঠাৎ ক্ষেত্রনাথ কথা কহিয়া উঠিলেন--ভটচায বাড়ি এত বড় ব্যাপার, তার মধ্যে হৃদয় নেই। তোমার সেজছেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম, বললে—বাবার পেটের অমুখ, নেমস্তম্নে আসবে না। নিজে না গিয়ে গাড়ী পাঠালেই ত জগদ্ধাত্রী আসতে পারত -- হৃদয় অপ্রস্তুতের ভাবে নানা প্রকার কৈফিয়ং দিতে লাগিল—সে জন্যে নয়...এমনি গিয়েছিলাম ওদিকে ; দিদি বললেন, এত বড় মেলা হচ্ছে, দেশবিদেশ থেকে মায়যজন আসছে, দেখে আদিগে একবার।...গাড়ী ভাড়-টাড় ওঁরই সব —আমার কি গরজ পড়েছে বলুন. বাবা এবং কাকাবাবুর বাড়ি আসিবার সময় তার জন্ত নানারকম জিনিষ লইয়া আসে, সে হিসাবে ভালই ; কিন্তু অপরাধ তাদের, আবার চাকরী করিতে চলিয়া যায় ; বাড়ি থাকিতে বলিলে, কথা শোনে না—মিছা কথা বলিয়া ফাকি দিয়া ভুলাইমা চলিয়া যায়। —আর আমি ? জগদ্ধাত্রী সমস্যাময় প্রশ্ন করিয়া বসিল— আমি কেমন লোক, বল ত নিতুবাবু— নিতাই চুপ করিয়া রহিল। জগদ্ধাত্রী বলিল—এই গাড়ী কিনে দিলাম তোমায়, আমি ভাল না ? নিতাই কহিল—তোমার গাড়ী মোটে চলে না, কলের গাড়ী ভাল । —আচ্ছা কিনে দেব ঐ কলের গাড়ী-হাসিমুখে জগদ্ধাত্রী বলিল—কিনে দেব, যদি এক কাজ করতে পার— উৎসাহের প্রাবল্যে নিতাই খাড়া হইয়া বসিল । –ቫዅ€– - —বললাম ত, একটা কাজ করতে হবে— —কি বল, এক্ষুনি করব— । নিতাই গরুর গাড়ী হইতে লাফাইমা তখনই কাজে প্রবৃত্ত হইতে যায় আর কি। জগদ্ধাত্রী হাসিয়া তাহার হাত ধরিয়া ফেলিয়া বলিল-- আমায় যদি বিয়ে কর নিতুবাবু...করবে ? সঙ্কীর্ণ গ্রামপথ, পথের ধারে ছোট ছোট ঝোপজঙ্গল. আকাশে শীতের নিজীব অস্পষ্ট চাদ নিকটে-দূরে এখানে ওখানে কয়খানা ঘুমন্ত খোড়ে ঘর...হঠাৎ তাহার মধ্যে কোথা দিয়া কি হইয় গেল-–যেন এক বৈঠার আঘাতে একটি ডিঙা চল্লিশ পঞ্চাশ বছর উজান ঠেলিয়া গেল—গাড়ীর পিছনে চলিতে চলিতে ক্ষেত্রনাথ সেই কথা কয়টি শুনিতে লাগিল— আমায় বিয়ে করবে, আমায় বিয়ে করবে গো ? বছর চল্লিশ পরে লোকনাথ ঠাকুরের মেলায় জনারণ্যের
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।