পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেয়াবনের পথ স্ত্রীরাধিকারঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় इरे श्राप्ण cकबाब क्न वन-अंशब्रहे डिउद्र बि निउाख् ভয়ে ভয়ে একটি গ্রামপথ রেখার পর রেখা টানিয়া জাকিয়বাৰিয়া বহর পর্যন্ত গিছে। দক্ষিণপাড়া হইতে উত্তরগাড়া আসিতে হইলে উজানী গামের এইটিই সোজা পথ। কিন্তু বেশী রাত হইয়া গেলে এ-পথ দিয়া চলাচল করিতে স্বতঃই মনে ভয়ের সঞ্চার হয়—কারণ কবে নাকি এক দিন গ্রামের কাহাকে যেন এই পথেই সাপে কামড়াইয়াছিল। অবশু, কোবনে সাপ থাকা এমন কিছু বিচিত্র ব্যাপার নয়; কাজেই ॐ चन बनि भिषाe श्छ, डबू e-*थ uज़हेिब छगाई স্ববুদ্ধির পরিচ , বিশেষ করিয়া যখন একটু ঘুর হইলেণ্ড আর একটি ভাল পথ আছে । কিন্তু সেদিন সদ্ধার অন্ধকার ঘনাইয় আসা সত্বেও উত্তরপাড়ার মানি ওরফে মানদা তাহার ছোট ভাই বিজু ওরফে বিজনকুমারকে সঙ্গে লইয়া দক্ষিণ-পাড়ার মালা ওরফে মণিমালাদের বাড়ি হইতে ঐ পথেই জাসিতেছিল। মানির দুর্জয় সাহস সত্য, কিন্তু অপরের সাহসের উপর নির্ভর করিয়া সন্ধ্যার পরে ঐ সাপবহুল পথে যাওয়া তো চলে না, কাজেই বিজু ও-পথে আসিতে প্রথম রাজী হয় নাই। কিন্তু মানি দুই ধমকে তাহাকে রাজী হইতে বাধা করিয়াছিল। সে বলিয়াছিল,—ষা তুই তবে একাই ওপৰ দিয়ে, আমি অত যুরে এখন যেতে পারি নে। মরণ তোমার। এত রাত পৰ্যন্ত মালাদের বাড়িতে পড়ে থাকা কেন, কি মধু ওখানে আছে শুনি ? বাড়ির কথা আর মনে থাকে না, না ? এই পথেই হতভাগা তোমাকে বাড়ি ফিরতে হবে, সাপে বাঘে কাটে তে কাটুক গে–কাটলে পরে মালাদের বাড়ি এত রাত পৰ্যন্ত আজ্ঞা মারা তোমার ঘুচে যাৰে। জিব কাটা বলিয়াছিল,—দিদি, ম-মন্ত্রী বল, ‘ম-মল্লা বল শগগির, রাত করে সাপ বলতে নেইরে। মানির এ সত্য ভাল করিয়াই জানা ছিল, কিন্তু রাগের মাথায় ম-মনসার নাম করিতে সে জুলিয়া গিয়াছিল, যে ভূল হইয়া গিয়াছে তাহ শুধরাইয়া লওয়ার কিছুমাত্র চেষ্টা না করিয়া সে বলিয়াছিল,—সাপের নাম নিলে মামনসা যদি চটেন তো চটুন গে। তোর পোড়ারমুখোর জন্তেই না এ-দুর্ভোগ আমার কপালে লেখা ছিল । অগত্যা বিজু যতটা সম্ভব দিদির গা ঘেষিয়া পথ চলিতে লাগিল। আর মানি তাহা লক্ষ্য করিয়াই বলিল,— ভয় করে তো তুই আমার হাত ধরে চল না বিজু। বিজু কি যেন একটু চিন্তা করিয়া লইয়া বলিল,—তুই এখন অনেক বড় হয়ে গেছিল দিদি, তোর গা ছুতে কেন জানি আজকাল ভারি লজ্জা করে। নইলে তোর হাত ধরেই চলতাম বইকি ? আমার কিন্তু ভারি ভয় করচে ।...... কেয়াফুলের ভারি মিঠে গন্ধ, না দিদি ? মানি সহসা বিজুর কথায় চকিত হইয়া উঠিল। মানির যে বয়স হইয়াছে তাহ মানি এতদিন ভাবিয়া দেখে নাই। বিজুর কথায় সহসা তাহার আপাদমস্তক কেমন অস্বস্তিকর এক জালায় জলিতে লাগিল। হতভাগা এসব আবার বলে কি ! বিজুর এতক্ষণে খেয়াল হইল যে, কথাটা সে নিতান্ত বেফাঁস বলিয়া ফেলিয়াছে, কিন্তু যাহা একবার বলিয়া শেষ করা হইয়াছে তাহা তো আর ফিরাইয়া লইবার কোন উপায় নাই, থাকিলে না-হয় তেমন ব্যবস্থা করা যাইত। বিজু আপনাকে বিশেষ রকম বিত্ৰত মনে করিয়া তাড়াতাড়ি আবার বলিতে স্বর করিল,—আচ্ছা দিদি, ওই মিঠে কেয়ার ঘোরান পেয়েই বুঝি ম-মল্লা এখানে ঠাই নিজেচে । মানি বিজুর পূৰ্ব্বোক্ত অপ্রত্যাশিত কথারই রেশ টানিয়া শ্লেষ হানিয়া বলিল,—আমি কি সৰ্ব্বজ্ঞ ষে মীমনসা কিলের জন্তে এখানে ঠাই নিজেচেন তাও ৰ’লে দিতে পারবো তৰে বনবাদাড়েই তো ম-মল্লার ঠাই।